এক সময় মনে হলো
কাগজে-কলমে আর কবিতা লিখবো না।
এবার কবিতা উঠাবো তারে;
দুঃখিনী বেহালায় হেঁটে বেড়াবে
আমার অকর্মাপ্রায়, বিরহী বিশেষতঃ ক্লান্ত
আঙ্গুলগুলো।অথচ হতভাগ্য আমি তো কবিতা
ছাড়া আর তেমন কিছুই শিখিনি জীবনে।
এ নিয়ে এক লব্ধপ্রতিষ্ঠিত ও আত্নবিশ্বাসী
কবি কাম বুদ্ধিজীবী বন্ধুকে প্রশ্ন করলাম।
কিন্তু, তার মন্তব্যে নিরুৎসাহ ঝরে পড়লো
প্যাচ নষ্ট হওয়া পানির কলের মত।
বলল, কাগজ কলমের রয়েছে এক
দীর্ঘতর, কালানুক্রমিক ইতিহাস।
প্যাপিরাসের কথা বাদ দিলেও আমাদের
তালপাতা আর বাঁশের কঞ্চিতো রইলই!
অবজ্ঞাকুঞ্চিত নাকে চন্দ্রঁবিন্দুর প্রাধাণ্যে বলল
বেহালা! বড়জোর তিনশত বছর।
শ্লোগানের সুরে বলল, 'গীটার- মিলবে না ভোটার'।
আমি অনেক হতাশার ভীড়ে নবজাতক
আরেক আশাহত বেদনা নিয়ে পতিত হলাম।
আবার ভাবলাম, দৃঢ় গ্রন্থিবদ্ধ তারের
ইতিহাস কি এতই অপক্ক! এতই অর্বাচিন!
প্রাচীনতম মানবিকবোধ 'ক্ষুধা'
উৎসারিত চেষ্টার তীর-ধনুক?
পেশীবহূল অভিজ্ঞ হাতের, সঠিক গতিপথ
ধরে ছুটে যাওয়া তীর
আর ফেলে আসা তার টংকার ধ্বন্নি
কি কম্পিত করতো না বুবুক্ষু একদল
নারী-পুরুষ ও শিশুর অভিজ্ঞতাকে?
তারের এই প্রাগৈতিহাসিক বংশধরকে
এভাবে অগ্রাহ্য করাটা বোধহয় বলারাম বা শোনারাম
কারই ঠিক হলো না।