আমি যখনই সময় পাই,চোখ বন্ধ করে নীল শাড়ী পরা মেয়েটার কথা একটু ভেবে নিই।এতে আমি অনেক আনন্দ পাই।আমার ক্লান্তি,দুঃখ,কষ্ট,ব্যাথর্তা সব ভুলে যাই।সেদিন বিকেলে বেলী রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি,হঠাৎ রাস্তার পাশে শাড়ীর দোকানে চোখ পড়লো।একটা পুতুলকে নীল শাড়ী পড়িয়ে রেখেছে।কী সুন্দর শাড়ী!নীল পাড়,সাদার মধ্যে ছোট ছোট নীল ফুল।এতো সুন্দর লাগলো কিনে ফেললাম শাড়ীটা।তারপর নীল কাঁচের চুঁড়ি,নীল টিপ।
সেদিন আমি একটুর জন্য নীল শাড়ী পরা মেয়েটাকে ধরতে পারিনি।দুপুরবেলা নিউ মার্কেটের সামনে ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরিয়ে রাস্তার জ্যাম দেখছিলাম।হঠাৎ দেখি নীল শাড়ী পরা মেয়েটা হেঁটে যাচ্ছে।আহ্ কী সুন্দর করে হাঁটে মেয়েটা!সুন্দর একটা নীল জামা পরা।দৌঁড়ে নিচে নেমে মেয়েটাকে আর খুঁজে পেলাম না।কষ্টে চোখ ভিজে উঠলো।ইচ্ছা করলো ঢাকা শহরটা ডিনামাইট দিয়ে ঊঁড়িয়ে দেই।
গতকাল রাতে ঘুম আসছিল না।ভাবলাম ছাদে যাই,অনেক দিন সপ্তর্ষি মন্ডল,কাল পুরুষ দেখি না।এক মগ চা আর বাইনোকুলার নিয়ে ছাদে গেলাম।আমার কপাল টাই খারাপ আকাশ জোড়া মেঘ।মন খারাপ করে বসে চা খাচ্ছি।আবছা অন্ধকারে দেখি আমার গোলাপ ফুল গাছটার সামনে কে যেন দাঁড়িয়ে আছে।শাড়ী পরা।অনেক লম্বা চুলে বেলী ফুলের মালা গোঁজা।দুই হাত ভরতি কাঁচের চুঁড়ি।তাকিয়ে আছে আমার দিকে।আমি কিছুই বুজতে পারছি না।সব কিছুই আবছা আবছা ধোঁয়াটে মনে হচ্ছে।চারিদিকে কী সৌরব।আর কী আশ্চর্য আমি গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই নীল শাড়ী পরা রাজকন্যাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেললাম।
ঘুম থেকে উঠেই মনে হলো-আজ কিছু একটা ঘটবে।
রাজকন্যাকে আকাশে দেখি-উঁড়ে বেড়ায়
নীল শাড়ী পড়ে রাজকন্যা আমার হাত ধরে সমুদ্রে নামবে।
এলোমেলো চুলে,ছাড়া আঁচলে
আকাশের দিকে তাকিয়ে বলি নীল রাজকন্যাকে আমায় দাও।
আমি ভুল সুরে গান শুনাবো রবি বাবু'র।
আমি অপেক্ষা করি,অপেক্ষা করতে আমার ভালোই লাগে।
সপ্নের ডানা মেলে দূর আকাশে উঁড়তে জানে
এই মেয়েটা অনেক ভালোবাসতে জানে
এক মুহূর্তে সব কষ্টের মেঘ সরিয়ে দিয়ে
মেয়েটা অনেক গুলো সুখের আবেশ গড়তে জানে
খুব সহজে সারাক্ষন নির্মল হাশি হাসে
মেয়েটা নিজের না পাওয়ার দুঃখ গুলো আঁড়াল করতে জানে
এই মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসি।