ক'দিন হল ঢাকা শহরে বেশ ভালই শীত পড়ছে। না শীতের সময় শীত পড়বে এতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। আপত্তি আমাদের ও নাই শীতের ব্যাপারে। বরং বলবো শীত না আসলেই বরং চিন্তা বাড়তো জলবায়ুর খামখেয়ালিপনা নিয়ে। তবে আপত্তি কিন্তু এক জায়গায় ঠিকই আছে। সূর্য একটু একটু করে যখন তার উপস্থিতি জানান দিচ্ছে তখন যদি পাওয়া যেত! বেশি না শুধু একগ্লাস। আহা এই আকারার দিনে এক গ্লাসই বা কম কিসে? মনে পড়ে ছোট বেলার স্মৃতি। কুয়াশার ভেজা চোখ অক্লেশে অবজ্ঞা করে উঠে যেতাম জগ বা মগ হাতে। উপর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতাম কখন নামবে মধু পাগল। ততক্ষণে হয়তো মা অথবা বাবা নয়তো কাকা উঠে পড়েছেন ঘুম থেকে। ওই বয়েসে এমন সময় কি আর শত্রুর অভাব ছিল? উহু, মোটেও না। কেউ না কেউ ঠিকই দেখে ফেলতো আর ধমকে উঠতো 'ওই যা ঠান্ডা লাগবে কিছু গায়ে দিয়ে আয়।' কিন্তু কে শোনে কার কথা? মধু পাগল নামলে কাপতে কাপতে উদোম হাত টা বাড়িয়ে দিতাম তার দিকে। মুরুব্বির দিকে এক বার তাকিয়ে মুচকি হেসে বলতো 'যা, খাই গতরে কাপড় লাগা'। এই বলে গ্লাস ভরে ঢেলে দিত ঘোলাটে অথচ অকত্রিম একগ্লাস খেজুরের রস। এক চুমুকে সব টুকু সাবাড় করে কাপতে কাপতে ছুটতাম ঘরের দিকে গরম কাপড়ের খোঁজে। সেই কাপুনি, আহা কত দিন খেজুরের রস খেয়ে সেই কাপুনি আর পাই না। মধু পাগল তুমি কি জান এই শীতে তোমাকে এই ইট পাথরের ঢাকা শহরে বসে বসে ভাবে কেউ একজন? আহা এই শীতে মধুপাগল তুমি আসনা একবার, শুধু একটি বারের জন্য। এই শীত, সেই গ্লাস আর ওই মধু পাগল, সাথে রস...............
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৮