সেদিন বসে ছিলাম হাছান ভাইয়ের ফোনের দোকানে।
কথায় কথায় রাত ১২টা বেজে গেলো।
হঠাৎ রিকসা্ থেকে নেমে একটি মেয়ে দোকানে ডুকলো।
মেয়েটি দারুন মায়াবতি!
মায়াবতির মুখে হাজারও ভয়ের ছাপ।
মায়াবতি অস্থির ভাবে তিন জনকে ফোন করলো।
মায়াবতির কথা শুনে বুঝতে পারলাম-
বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে।
মায়াবতি যার জন্য পালিয়ে এসেছে সে মোবাইল বন্দ করে রেখেছে!
মায়াবতি এখন কোথায় যাবে?
ফোনের বিল দেওয়ার টাকা মায়াবতির সাথে নেই।
রিকসা্ওয়ালাও দাঁড়িয়ে আছে।
ভয়ে মায়াবতির মুখ নীল হয়ে গেছে।
মায়াবতির চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পরছে।
এক ফোটা এসে পড়লো আমার হাতে।
অনেকদিন আগে পড়া একটা কবিতার লাইন মনে পড়লো-
''ফুল ফুটূক আর না ফুটুক আজ বসন্ত।
গভীর মমতায় আমি মায়াবতির হাত ধরলাম।
মায়াবতির আর কোনো ভয় নেই।