জেন্ড সার্টিফাইড মন্সটার স্লেয়ার
আসুন আজ আপনাদের ZCE নিয়ে সামান্য কথা বলি। তবে আমি বলব না কোথায়, কি, কেন ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক ZCE পৃথিবীতে আছে। তারা সকলেই নিজের ব্লগে এ নিয়ে বিষদ বিবরণ দিয়েছে। আর বাংলায় পড়তে চাইলে তো লেনিন ভাই আছেই। সুতরাং একই আলু দুইবার ভত্তা করে লাভ নেই। আসুন তার চেয়ে আমি অন্য রকমভাবে অন্য কিছু বলি। আমি অবশ্য জানি না যে আপনাদের কাছে অন্যরকম মনে হবে কিনা।
আমি বর্তমানে একজন ZCE । আশাকরি সবাই জানেন ZCE কি। না জানলে লেনিন ভাই এর ব্লগ থেকে একটা ঢু মেরে আসুন। ২৯-১২-২০০৯ তারিখে রাত ৯:৩০ মিনিটের একটু আগে আমি নিজে জানলাম যে আল্লহ আমাকে বাংলাদেশের ২১ নম্বর ZCE বানিয়েছেন। আল্লর লাখ-কোটি – [আমি জানি না কত] শোকরিয়া। আমি দীর্ঘদিন এই ব্লগে বেওউল্ফ নামে পরিচিত। আসুন আজকে আমি নিজের মুখোশ খুলে ফেলি যদিও আমার চেহারা আহামরি কিছু না (মন্সটার স্লেয়ারের চেহারার কি দরকার!)। আমার নাম মাজহার আহমেদ। আমি অনেকের কাছে মাইটি মেইজ নামেও পরিচিত। আমার বংস পরিচয় চান? সমস্যা নেই আমি আমার দাদার দাদার দাদার দাদার নামও জানি। আমার দাদা মারা যাবার আগ পর্যন্ত এগুলো মনে রেখেছিল। আর বর্তমানে আমি রাখছি। দেখি, স্বরন শক্তি ভাল এমন একটা ছেলেকে নিজের ছেলে বানাতে হবে যেন সেও মনে রাখে হাঃ হাঃ হাঃ। নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনারা জেন্ডের ইয়োলো পেজে আমার নামও দেখতে পারেন।
Click This Link
ঘটনার শুরু প্রায় ২ বছর আগে। আমার বন্ধু মৃদুল রায় একবার আমাকে বলেছিল জেন্ডের কথা। আমি তখন বলেছিলাম যে “দেখ মৃদুল, আমি কি এটা আমি নিজে তো জানি, দুনিয়াকে জানানোর কি দরকার?” কিন্তু কিছুদিন আগেও যখন ব্লগিং শুরু করলাম এই ভেবে যে আমার লেখা দেখে হয়ত অন্যরা সামান্য কিছু হলেও জানতে পারবে। তখন আমি বুঝলাম অন্যকে জ্ঞান দিতে হলেও দুনিয়ার সামনে নিজের কথাগুলো বলতে হবে। এরই মধ্যে লেনিন ভাই এর সেই এ্যাডা বাইরন কে নিয়ে লেখা একটা ব্লগ পড়লাম। আমি অবশ্য লেনিন ভাইকে আগে থেকেই চিনতাম। আমার বন্ধু মৃদুল একবার কি কারনে যেন লেনিন ভাইকে মেইল করেছিল। আমি আগে থেকেই ওর সিগনেচার হিসেবে গালাগালি লিখে দিয়েছিলাম। ব্যাস। ঔ সময়ই লেনিন ভাই সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান হল আমার। যদিও আমি জানি লেনিন ভাই এর স্বরণ শক্তি অনেক ভাল তবুও কেন যেন তিনি মনে করতে পারছেন না ঘটনাটা।
তো হঠাৎ একদিন দেখলাম লেনিন ভাই ZCE হয়ে গেল। আমি চিন্তা করলাম কি সাহস। আমি এই ব্লগের মন্সটার স্লেয়ার। আর আমাকে না বলে সে কিনা ZCE হয়ে গেল!!! মৃদুলের কথা আর নিজের সামান্য চিন্তা মিলিয়ে অবশেষে ঠিক করলাম আমিও Zend Certified Monster Slayer হব। লেনিন ভাইকে বলতেই তিনি মনে হল হেসে খুন কেননা এই সামান্য সময়ের মধ্যেই কিনা ZCE হবে!!! হা হা হা। উনি বোধহয় আমাকে পাগলই মনে করেছিল। ব্যাস এবারের ঈদে বাড়িতে গিয়ে সে কি প্রোগাম করা শুরু করলাম। একটু ব্যাখ্যা করে দিই।
আমি সবসময়েই একটু মজা করি। যেমন আমার প্রায় প্রতিটা প্রোগ্রামের শুরুতেই যে কমেন্ট লিখি সেখানে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে লেনিন ভাই এর নাম থাকত। মৃদুল দেখে কি যে হাসত। যেমনঃ
/*
* .....
* Lenin bro, I’m coming
*/
/*
* .....
* Lenin bro, There’s a ZCE in your next door
*/
/*
* .....
* Lenin bro, Tag me in dude
*/
ইত্যাদি ইত্যাদি। আরও সব নতুন নতুন স্টাইলে, গেমের মত করে লিখতাম। তার মধ্যে বেশি লিখতাম Beyond the call of ZCE . হাঃ হাঃ হাঃ। আবার প্রোগ্রাম করার স্টাইল সামান্য বলি। যেমন আমি একটা এ্যাবসট্রাক্ট ক্লাস বানালাম নাম স্লেয়ার, দু’টা ইন্টারফেস বানালাম মন্সটার আর ডিমন, একটা ক্লাস বানালাম নাম বেওউল্ফ যে স্লেয়ার ক্লাসকে এক্সটেন্ড করে এবং মন্সটার ইন্টারফেসকে ইমপ্লিমেন্ট করে। হা হা হা। আর তারপরেই একটা ক্লাস বানালাম নাম মাজহার আহমেদ যে কিনা স্লেয়ার ক্লাসকে এক্সটেন্ড এবং মন্সটার ও ডিমন দু’টো ইন্টারফেসকে ইমপ্লিমেন্ট করে। হা হা হা।
অবশেষে রেজিস্ট্রেশন করে দিন তারিখ ঠিক করে টাইম মত অর্থাৎ ২৯ তারিখ সকাল ১১:০০ টাতে পরীক্ষার জন্য রওনা হলাম আমি আর আমার বন্ধু মৃদুল, বাপ্পী, রন্জন এই চার জন। শীতে রাস্তাতে আমার বারবার মনে হচ্ছিল যে আমি হিটম্যান ২ সাইলেন্ট এ্যাসাসিন গেমের এ্যানাথেমা মিশনটা হাতে কলমে খেলতে এসেছি। জায়গায় যেয়ে আমারা সকলে হা কেননা তারা আমার জন্য তখনও রেজিস্ট্রেশনই করেনি। তো আমরা কিছু না বলেই চলে এলাম। আমি এসেই ঘুম। ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ার জন্য অপেক্ষা করছি এসময় আমাকে ফোন করে নিউ হরিজোনরা জানাল রেজিস্ট্রেশন হয়েছে আমি কবে পরীক্ষা দেব। আমি ঠিক করলাম রাত ৮:০০টা। টাইম মত গেলাম যদিও তখন আর হিটম্যানের মত পরিবেশ ছিলনা। পরীক্ষা দিয়ে ফিরে আসতে গিয়ে দেখি ম্যাক্স পাইনের মত পরিবেশ হয়ে গেছে। হা হা হা। ভালই লাগল।
কেউ ভাববেন না যেন যে আমি এই কয়দিন গেম খেলা বাদ দিয়েছি। এরই মধ্যে আমি মডার্ন ওয়ারফেয়ার ২, ট্রায়ালস ২, ট্রায়ান, ব্যাটম্যান আরেকবার শেষ করা সহ আরও ছোট খাট অনেক গেমই শেষ করেছি। আর মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে স্যাবোটার, নিনজা ব্লেড, ডার্ট ২, ড্রাগন এজ অরিজিন, স্টার ওয়ারস ফোর্স আনলিসড, স্টার ওয়ারস রিপাবলিক হিরোস, রেসিডেন্ট ইভিল ৫ [সেভগেম একবার ডিলিট হয়ে না গেলে শেষের লিস্টে থাকত], ম্যাসিনারিয়াম। তাছাড়াও অনেক পুরোনো গেমই আবার খেলছি যেমন মিররস এজ, এ্যাসাসিনস ক্রিড, ফারক্রাই ২, ক্রাইসিস, ডাবল এজেন্ট, ফুয়েল, সেগা র্যালি ইত্যাদি।
ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক
বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন