"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।"
চুলকে কাল রঙে রঞ্জিত করা হারাম।
হাদীসে কাল খেজাব সম্পর্কে যে হুশিয়ারী উচ্চারিত হয়েছে তাতে একথাই
প্রমানিত হয় । এ প্রসঙ্গে রসুল (সঃ) বলেছেন, " শেষ জামানায় একদল লোক কবুতরের বুকের রঙের ন্যায় কাল খেজাব ব্যবহার করবে । আর এ
কারনেই তারা জান্নাতের কোন সুগন্ধি পাবে না।" আবু দাউদ ৪/৪১৯....।
অনেক চুলপাকা ব্যক্তিকে এ কাজ করতে দেখা যায়। তারা কাল রঙ দ্বারা সাদা চুল রাঙিয়ে নিজেদেরকে যুবক কিংবা অপেক্ষাকৃত কম বয়সী বরল যাহির করে। এতে প্রতারনা, আল্লাহর সৃষ্টিকে গোপন করা ও মিথ্যা আত্মতৃপ্তি ছাড়া আর কোন কিছুই হয় না। এর ফলে ব্যক্তিগত চালচলনের উপর নিঃসন্দেহে এক প্রকার কুপ্রভাব পড়ে। আর অন্য মানুষ এতে প্রতারিত হয়। নাবী করিম (সঃ) পাকা চুলে খেজাব লাগাতে বলেছিলেন মেহেদী বা এধরনের কোন জিনিস দ্বারা, যাতে হলুদ , লাল ইত্যাদি মৌলিক রঙ ফুটে ওঠে। তবে কাল রঙ দ্বারা রসুল (সঃ) কখোনোই খেজাব
লাগাবার অনুমতি দেন নাই ।
আবু বকর (রাঃ) এর পিতা আবু কুহাফা (রাঃ) কে মাক্কা বিজয়ের দিন যখন রসূল (সঃ) এর সামনে হাজির করা হয় তখন তাঁর চুল দাড়ি এত সাদা হয়ে গিয়েছিলো যে, তা সাগামা অর্থাৎ কাশ ফুলের ন্যায় ধবধকব দেখাচ্ছিল। তখন রসুল (সঃ) তকে দেখে বলেছিলেন, "তোমরা কোন কিছু দ্বারা এটা পরিবর্তন করে দাও। তবে কাল রঙ থেকে বিরত থাকো।" মুসলিম ৩/১৬৬৩ ।
এভাবে নারীদের চুলে খেজাব ব্যবহার করার বিধান পুরুষদের চুলে খেজাব ব্যবহার করার মতই।
এই দুনিয়াতে আমাদের মধ্যে নিষিদ্ধ যে কোন বস্তুর প্রতি আকর্ষন
সিদ্ধ যে কোন বস্তুর তুলনায় অতুলনীয়ভাবে বেশী। সকল রঙকে চুলে লাগানোর জন্য বৈধ করা হয়েছে মাত্র একটি রঙ বাদে। অথচ এই একটি
রঙের প্রতি আকর্ষন অন্য সকল রঙের তুলনায় হাজারো গুন বেশী। ইচ্ছা করলেই আমরা শরীয়াত বিরোধী এ কাজ থেকে বেচে থাকতে পারি।
আল্লাহ আমাদের হেফাজাত করুন।