somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফুওয়াং ক্লাবের ডিসকোতে অশ্লীল নৃত্য : অবৈধ মদের রমরমা ব্যবসা {১৮++}

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আলো আঁধারে উচ্চ ভলিউমে হট সংগীতের সঙ্গে চলছে উন্মাতাল ডিসকো নৃত্য। প্রায় অর্ধনগ্ন তরুণীরা পাশ্চাত্যের কালচারে বেসামালভাবে নাচছে। চলছে অশ্লীল সব কর্মকাণ্ড। মদ, বিয়ার খেয়ে মাতাল বা অর্ধমাতাল যুবক ও মধ্য বয়সী সমাজের নামিদামি লোক সুন্দরী তরুণীদের টানাটানি করছে। তাদের জড়িয়ে ধরে অশালীনভাবে নাচছে। এটি ব্যাংকক বা পাশ্চাত্যের কোন বিশেষ নাইট ক্লাব নয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, অশ্লীল এই ডিসকো নৃত্য প্রতিরাতেই প্রকাশ্যে চলছে রাজধানীর অভিজাত ফুওয়াং ক্লাবে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এদেশের মুসলিম মূল্যবোধকে ধ্বংস করে ফুওয়াং ক্লাব বেলেল্লাপনা ও অপসংস্কৃতির যে নজির স্থাপন করেছে, তাতে যুবসমাজকে ভয়াবহভাবে বিপথগামী করছে।



প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে বছরের পর বছর প্রকাশ্যে এই বেলেল্লাপনা চলছে। মাদকদ্রব্য অধিদফতরের বার লাইসেন্সের শর্ত সরাসরি ভঙ্গ করে অনুমতি ছাড়াই চলছে এই ডিসকো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে চলে খোলামেলা লাইভ ডিসকো। পাশাপাশি ক্লাবটির বিভিন্ন রুমে চলে দেহব্যবসা। সমাজের উঁচু ও ধনী শ্রেণীর যুবক থেকে মধ্য বয়সীরা তাদের কথিত বান্ধবীদের এনে ডিসকোতে অংশ নেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়-য়া সুন্দরীরা, অভিজাত শ্রেণীর কলগার্ল ও সোসাইটি গার্লরা এখানে নাচে অংশ নেয়। তারা কামাই করছে অর্থ।

নারকোটিক্স কর্মকর্তারাও অংশীদার : অভিযোগ রয়েছে, যারা ফুওয়াং ক্লাবের এসব অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, তারাও ক্লাবটির ভিআইপি মেহমান হিসেবে প্রায় রাতেই ডিসকোতে অংশ নেন। সরেজমিন অনুসন্ধানকালে উচ্চ পর্যায়ের বর্তমান ও সাবেক অনেক সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদেরও ক্লাবটিতে সঙ্গী নিয়ে আনন্দফুর্তি করতে দেখা গেছে। বার লাইসেন্সের অপব্যবহার করে বেআইনি এই ব্যবসার অংশীদার নারকোটিক্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। তারা নিয়মিত মোটা অংকের মাসোহারার বিনিময়ে ক্লাবটির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। এভাবে বছরের পর বছর ধরে আইন ভঙ্গের কাজ চলছে ফুওয়াং ক্লাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারকোটিক্স কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, ফুওয়াং বোলিং সার্ভিসেসের নামে বার লাইসেন্স নেয়া হলেও তা শুধু ক্লাবের পারমিটধারী সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য। বোলিং খেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেই মদ বিক্রি করার কথা। কিন্তু এখন আর বোলিং খেলা হয় না। দ্বিতল ভবনের পুরো ভবনটিই লাভজনক বারে পরিণত হয়েছে। একাধিক কক্ষে যেভাবে বারের নামে মদ বিক্রি হচ্ছে, তা লাইসেন্স অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও প্রভাবশালীদের আশীর্বাদ থাকায় ক্লাবটির বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছে না।

শুধু তাই নয়, ক্লাবটির রঙমহলে রাজধানীর শীর্ষ সন্ত্রাসীও অংশ নিচ্ছে। দায়িত্বশীল সূত্র স্বীকার করেছে, এভাবে ক্লাবটিকে ঘিরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। বিনিময়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ বাধাহীন নিরাপত্তায় মদ, বিয়ার আর ডিসকো ক্লাব চালিয়ে মুনাফার পাহাড় গড়ছে।

লাইসেন্স পরিপন্থী হলেও পদক্ষেপ নেই : জানা গেছে, ৪১১ গুলশান তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত ফুওয়াং বোলিং এন্ড সার্ভিসেস নামে প্রতিষ্ঠানটি বার চালানোর জন্য মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত। ক্লাব শ্রেণীর এই বার লাইসেন্সের প্রধান শর্ত হচ্ছে, বারে কোন ধরনের নাচ-গান কিংবা টিকিট বিক্রয়ের মাধ্যমে কোন অনুষ্ঠান করা যাবে না। অপসংস্কৃতি বা আইন-শৃংখলা পরিপন্থী যে কোন ঘটনার জন্য লাইসেন্সি দায়ী থাকবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য লাইসেন্স বাতিল করা যাবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। এছাড়া বারে পারমিটধারী সদস্য এবং বিদেশী নাগরিক ছাড়া অন্য কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না। কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। যে কেউ সন্ধ্যার পর ক্লাবটির বার ও ডিসকোতে অংশ নিয়ে মদপান করছে। কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্লাবটি অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বেপরোয়াভাবে।

আমদানি নেই, তারপরও মদের উৎস কি : সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, আমদানি লাইসেন্স থাকলেও আজ পর্যন্ত এক লিটার মদ, বিয়ার আমদানি করেনি ফুওয়াং ক্লাব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করে বসে আছে। তাহলে কোন উৎস থেকে কোটি কোটি টাকার বিদেশী মদ, বিয়ার আসছে? এ প্রশ্নের কোন জবাবই দিতে পারেনি ফুওয়াং কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের ম্যানেজার মেজর (অব.) জাহাঙ্গীর দাবি করেছেন, আমদানি করা হয়নি সত্য, তবে পর্যটন কর্পোরেশন থেকে বৈধ শুল্ক দিয়ে মদ, বিয়ার কেনা হচ্ছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোন প্রমাণ তারা দেখাতে পারেননি। পর্যটন কর্পোরেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ফুওয়াং ক্লাব তাদের কাছ থেকে কোন মদ ক্রয় করেনি। এমন কোন আবেদনও তারা করেনি। পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক ফুওয়াং ক্লাবে আজ পর্যন্ত কোন মদ বা বিয়ার বিক্রি করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার বিদেশী মদ ও বিয়ার বিক্রি হচ্ছে ফুওয়াং ক্লাবে। দেখা গেছে, অভিজাত এলাকার তরুণ-তরুণীসহ বিত্তবানদের বেসামাল ভিড় ওই ক্লাবে। বিদেশী ক্রেতাদের চোখে পড়েনি। সমাজের প্রভাবশালীরা ডিসকোতে অংশগ্রহণ করছে। বার কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদামতো অবৈধ বিদেশী বিয়ার আর মদ সরবরাহ করছে।

প্রশ্ন উঠেছে, লাইসেন্সের প্রধান শর্ত হচ্ছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার থেকে কোন অবস্থাতেই সরকার অনুমোদিত বৈধ উৎস ছাড়া অন্য কোন উৎস হতে বিক্রয়ের জন্য মদ সংগ্রহ করা যাবে না। জানা গেছে, ফুওয়াং ক্লাবের আইন লংঘন এবং সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কালোবাজার থেকে উচ্চ শুল্কের মদ নামমাত্র মূল্যে সংগ্রহ করে বার চালানোর বিষয়টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরও অবগত। কিন্তু পারস্পরিক সমঝোতায় বেআইনি এ কাজ অবাধে করে যাচ্ছে ক্লাবটি। বিনিময়ে নিয়মিত মোটা অংকের মাসোহারাও পাচ্ছে নারকোটিক্স কর্মকর্তারা। এভাবে থানা-পুলিশসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নামেও নিয়মিত মোটা অংকের অর্থ লেনদেন হচ্ছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অভিজাত ক্লাবটির সদস্য হওয়ায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে ‘ফ্রি স্টাইলে’। সেখানে আইন-কানুনও অসহায়।

আলো অন্ধকারের লোভনীয় জগত : সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, লাইভ ডিসকোতে ঢুকতে হলে ১৫শ’ টাকা পরিশোধ করতে হয়। পারমিট থাকুক আর না থাকুক, যে কোন পুরুষ বা মহিলা ডিসকোতে অংশ নিতে পারেন। এজন্য অর্থ পরিশোধ করলেও কোন টিকিট দেয়া হয় না। আলো-আঁধারের এ লোভনীয় জগতে ঢোকার সময়ে সবার হাতে বিশেষ সিল দেয়া হয়। বলিষ্ঠ গড়নের কঠিন চেহারার যুবকরা ডিসকোর সামনে পেছনে কড়া নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। যাতে অতিরিক্ত মদ খেয়ে বেসামাল হয়ে কেউ কোন বিশৃংখলা সৃষ্টি না করতে না পারে। তারপরও প্রতিরাতে হৈ-হট্টগোল আর মাতলামির দৃশ্য চোখে পড়ে। অনেক সময় সমাজের নামিদামিদের অংশগ্রহণে এ বেলেল্লাপনার সময় অপ্রীতিকর ঘটনা সামাল দিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষকেও হিমশিম খেতে হয়। গত বৃহস্পতি ও শনিবার সরেজমিন ফু ওয়াং বোলিং ক্লাব পরিদর্শন করে দেখা গেছে, লাইভ ডিসকো সামাল দিতে তাদের বিশেষ নিরাপত্তা রক্ষীরাও হিমশিম খাচ্ছে। প্রায় দেড়শ’ নারী-পুরুষ মদ খেয়ে ডিসকোতে অংশ নিয়েছে। তাদের অশ্লীল কর্মকাণ্ড এতই বেপরোয়া যে, ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।

সরেজমিন আরও চিত্র : বিশেষভাবে তৈরি দ্বিতীয় তলা এ ক্লাবটির নিচতলায় রিসিপশন পেরোলেই দেখা যায় বামপাশের লবিতে অসংখ্য তরুণ-তরুণী মদের নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। ক্লাবের কর্মীরা এসব তরুণ-তরুণীকে সরবরাহ করছে বিদেশী মদ ও বিয়ার। সিঁড়ি বেয়ে দ্বিতীয় তলায় বাম হাতে বিশাল বার। কাউন্টারে থরে থরে সাজানো অবৈধ বিদেশী মদ আর বিয়ার। বারের সামনে দিয়ে একটু এগিয়ে গেলেই বড় হলরুম। এখানে চলছিল উচ্চস্বরে গান-বাজনা। মদের নেশায় টালমাটাল তরুণ-তরুণীরা মিউজিকের তালে নাচছে। তাদের দেহে পোশাক ছিল না বললেই চলে। বিশেষ করে মেয়েরা ছিল স্বল্পবসনা। কেউবা জিন্স প্যান্ট এবং দেহ প্রদর্শন করা টি-শার্ট কেউবা ঘাঘরা পরে আলো-আঁধারিতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে প্রকাশ্যেই অশ্লীলতা করছিল। ওয়েস্টার্ন স্টাইলে হলরুমে একজন তরুণীর ওপর হামলে পড়ছিল ৪-৫ জন তরুণ। হলরুম ছাড়াও ক্লাবটিতে রয়েছে সংখ্য ছোট ছোট কক্ষ। এসব কক্ষ প্রতিরাতেই পরিণত হয় এক-একটি রঙমহলে। প্রতি ঘণ্টা ২ হাজার টাকা ভাড়ায় সেখানে চলে আমোদ-ফুর্তি। মদের নেশায় বুঁদ হয়ে তরুণ-তরুণী এবং মধ্যবয়সী সমাজের নামিদামি অনেকেই সুন্দরভাবে সাজানো এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে একান্তে সময় কাটাচ্ছিল। দোতলার ১ নং রুমে দেখা গেছে, প্রাইভেট নৃত্যানুষ্ঠান। যাতে উচ্চ ভলিউমে শরীর গরম করা সংগীতের বাজনায় অশালীন ড্রেস পরা সুন্দরীরা নাচছে। এছাড়া বড় হলরুম ছাড়াও মাঝারি আকৃতির আরও কয়েকটি হলরুম রয়েছে ফু ওয়াং ক্লাবে। বড় লোকের বখে যাওয়া ছেলেমেয়ে এবং ধনাঢ্য ব্যবসায়ীরা এসব হলরুম ভাড়া নিয়ে রাতভর উš§াতাল ডিসকো নাচে মশগুল থাকে। এ ধরনের একটি হলরুমে গিয়ে দেখা যায়, অর্ধনগ্ন একাধিক তরুণী আলো-আঁধারিতে মিউজিকের তালে উš§াতাল নাচছে। তাদের ঘিরে ৭-৮ তরুণ টাকা ছিটাচ্ছে।

সোসাইটি গার্ল আর কলগার্লদের আনাগোনা : স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দৃশ্য এক রাতের নয়, প্রতি রাতের। এমনকি শুক্রবারও এখানে মদ বিক্রি হয়। পতিতা বেচাকেনা চলে। সরেজমিন পরিদর্শনকালেও দেখা গেছে, ফু ওয়াং ক্লাবকে ঘিরে সুন্দরী সোসাইটি গার্ল আর কলগার্লদের আনাগোনা। এসব কর্মকাণ্ডে এ এলাকার পরিবেশই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ক্লাবের নামে সুন্দরী তরুণী সংগ্রহ করে এখানে চলছে দেহব্যবসা। বারের নামে চালানো হচ্ছে অবৈধ মাদক ব্যবসা। আর এই দুই অবৈধ ব্যবসাকে ঘিরে সন্ত্রাসীরা আস্তানা গেড়েছে ফু ওয়াং ক্লাবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিদেশীদের উপস্থিতি দেখিয়ে ফু ওয়াং ক্লাব বারের জন্য বিদেশী মদ-বিয়ার বিক্রি জায়েজ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে সেখানে বিদেশীদের উপস্থিতি নেই। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়-য়া তরুণ-তরুণী এবং উঠতি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে বিদেশী মদ-বিয়ার। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রতিটি কক্ষেই বিদেশী মদ ও বিয়ার সরবরাহ করা হচ্ছে। চড়া দামে ক্লাবের বিভিন্ন কক্ষ ভাড়া নিয়ে চলছে রমরমা নারী ব্যবসা আর সেইসঙ্গে চলছে চোরাচালান হয়ে আসা মাদক বাণিজ্য।

মদের অর্থে পাঁচতারা হোটেল : একাধিক সূত্র বলেছে, উত্তর বাড্ডার দুলাল এবং তার ভাই টিপু দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ওয়্যারহাউস থেকে শুল্কমুক্ত বিদেশী-মদ বিয়ার সংগ্রহ করে ফু ওয়াং ক্লাবে অবৈধভাবে সরবরাহ করে থাকে। আর এ ব্যবসা করে দুলাল ও টিপু শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। মাদক ব্যবসায়ী দুলাল ও টিপুর সঙ্গে ‘হট কানেকশন’ থাকায় ওই ক্লাবে মদ, বিয়ারের ঘাটতি নেই। অপেক্ষাকৃত নিুমানের মদ চালিয়ে দেয়া হচ্ছে সেখানে। সূত্র বলেছে, ওই ক্লাবটি ঘিরে আরও অন্তত অর্ধশত মাদক ব্যবসায়ী তৎপর রয়েছে। ফু ওয়াং ক্লাবের এমডি নূরুল ইসলামের সম্পর্কেও পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ক্লাব ব্যবসার নামে অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে তার রয়েছে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। ভারতের মুম্বাই এবং দুবাইভিত্তিক মাফিয়া ডনদের সঙ্গেও রয়েছে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। অবৈধ বাণিজ্য করে নূরুল ইসলাম এখন শত কোটি টাকার মালিক। বারের উচ্চ মুনাফার অর্থ দিয়ে নূরুল ইসলামের মালিকানায় কক্সবাজারে একটি পাঁচতারা হোটেল নির্মাণ হচ্ছে। বিলাসবহুল এই হোটেলে শত কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, থাটি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ফু ওয়াং ক্লাব আয়োজন করেছে জমকালো অনুষ্ঠানের। এদিন রাতে সাধারণ যুগলদের জন্য টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ৩ হাজার টাকা। আর বিশেষ শ্রেণীর জন্য তরুণ যুগলদের টিকিট ৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে এ অফারের প্রায় সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফু ওয়াং ক্লাবের একজন কর্মকর্তা।

যুগান্তর রিপোর্ট
৮২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×