somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদকের এ কি অবস্থা (যা আমি চোখে দেখিনি তা খেয়েছি)।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অফিসের কাজ করতে করতে আমি একেবারে কাহিল। কিন্তু মন চাচ্ছিল ঢাকার বাইরে কোথার থেকে ঘুরে আস্তে। জল না চাইতেই পানির মত চলে এলো অফারটা। আমার এক অন্তরংগ বন্ধুর বিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে ২৫শে ডিসেম্বর। তাদের বাড়ি যশোরের বেনাপোলে। আমি ও আমাদের আর এক বন্ধু বৃবস্পতিবার অফিস করে বাসের টিকেট কাটলাম। বাস ছাড়বে রাত ১২.০০ টায়। কিন্তু সেই বাস ছাড়লো রাত ১.০০টায়। বাসে উঠেই দিলাম এক ঘুম আর যখন ঘুম ভাংলো তখন আমি বেনাপলে আর তখন সময় সকাল ৭.০০টা। যাই হোক বাস থেকে নামলাম। আমাদের বন্ধু তারেক তার আর এক স্থানীয় বন্ধুকে দিয়ে এক হোটেলে আমাদের জন্য আগেই রুম বরাদ্দ করে রেখেছে। সে জানাল বিয়ের বাড়িতে অনেক লোকজন সেখানে তোমাদের কস্ট হবে ভেবে তারেক এই ব্যবস্থা করেছে। অবশ্য তারেকের বাড়ি আর আমাদের হোটেলের দুরত্ত্ব খুব বেশী নয়। ১ কিঃমঃ হবে হয়তো। প্রথমে একটু খারাপ লাগলেও পরে বুজলাম তারেক খারাপ কিছু করে নাই। হোটেলে এসে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিয়ে গেলাম তারেকের বাড়িতে। তারেক বলল দোস্ত বাসর বা গাড়ি কোন্টাই সাজানো হয় নাই। তাই তোরা যদি একটু হেল্প করিস তাহলে হয়ে যাবে। সে আমাদের সাথে আরো ৫-৬ জন লোক দিলো। তাদেরকে নিয়ে গাড়িটা মোটামুটি সাজালাম। বাসর ঘর আর আমাকে সাজাতে হলো না দেখী তার আর কিছু স্থানীয় বন্ধুরা এটা করে ফেলেছে। তারপর আমরা তারেককে বললাম দোস্ত তোরা কমিউনিটি সেন্টারে চলে আয় আমরা হোটলে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে তারপর যাব সোজা কমিউনিটি সেন্টারে। আমরা হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে ভাল জামা কাপড় পড়লাম শুনেছি তারেকের সুন্দরী এক স্যালিকা আছে। যদি লাইগা যায়। গেলাম কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে দেখি তারেকরা আগেই চলে এসেছে। গিয়ে আমরা ঠিক তারেকের চারপাশে বসলাম। আমার চোখ শুধু তারেকের শ্যালিকাকে খুজছে পেয়েও গেলাম তারপর ……………………..


খাওয়া দাওয়া পর্ব শেষ করার পর তারেকের বন্ধু ইকবাল আমাদের বলল আপনারা আজ যা যা খেতে চাবেন তাই পাবেন। আমি কথার অর্থ ভালো ভাবে বুজতে পারি নাই। আমার বন্ধু যোবায়ের বলল হ্যা এখন আমরা কল্কি খাব। তারপর কমিউনিটি সেন্টারের ছাদে বসে শুরু হলো কল্কির টান। আমার প্রথমে একটু খারাপ লাগলেও পরে আস্তে আস্তে ভালো লাগতে লাগলো। আমি ইকবালকে বললাম এটা দিয়ে হবে না আর কি আছে। পরে গেলাম তার সাথে একটা ছোট্ট বাড়িতে। আমাদেরকে দেখে তারা প্রথমে মনে করছে পুলিশ বা গোয়েন্দা কিনা। পরে যখন বুজলো না আমরা আসলে তাদের ক্লায়েন্ট তখন আমাদেরকে ২ বোতল বের করে দিলো। খেলাম কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া হোল না। ইকবাল বলল দস্ত অনেক চিনি দিয়ে একটা চা খাও তারপর দেখবা ভাল লাগবে। চা খাওয়ার পর বুজলাম মাথার ভিতর ঝিন ঝিন করছে। তারপর ইকবালকে বললাম দস্ত বাংলা ছিনেমায় দেখি নায়ক বউ হারিয়ে মদ খেয়ে গভীর রাতে বাসায় এসে আবল তাবল বলছে। আমার এখন সে রকম করতে ইচ্ছা করছে। তাহলে আমার কি খেতে হবে সে বলল বাংলা খেতে হবে। বললাম খাব তুই খাওয়া। সে আমাকে বাংলা খাওয়ালো। কিন্তু এবারও কোন প্রতিক্রিয়া নাই। মনে মনে বললাম ধুর গুস্টি কিলাই মাদকের।


আজ সকালে ফিরলাম ঢাকায়। আর মনে মনে ভাবছি মাদকের এ কি অবস্তা। আপনি মনে মনে চাইলেই তা পেয়ে যাবেন চোখের সামনে। পুরা বেনাপোল মাদকের কারখানা। এই সকল মাদকের উতস হচ্ছে ইন্ডিয়া। সেখান থেকেই আসে এ সকল মাদক দ্রব্য।
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×