আমার রোপন করা একটা লিচু গাছে
একটা জ্বীন আয়েশে আছে
মাঝেমধ্যে আমার মারে জ্বালাতন করছে
বাড়িতে গেলাম বেরাতে
লিচু গাছটা ধরলাম শক্ত হাতে
কইলাম তোর খবর আছে
এরপর যদি করিস জ্বালাতন
তোর ল্যাঞ্জা দিয়া চুলকামু ন্যাড়ি কুত্তার কান
এরপর থাইকা সে হয়ে গেল অতি নরম
তয় কাহিনীটা নয় অতিরঞ্জিত
ছোটকালে দেখতাম মায়ের হাতে
তার অত্যাচারের চিহ্ন
এর আগে থাকত আমার জলপাই গাছে
গাছটা কেঁটে ফেলার পর বেচারা পড়ল মহাবিপদে
রাতের বেলা শুধু ঢিল ছোরে
মা তারে দেখতো ঘুমের আবেশে
কাছে আসত বিভিন্ন বেশে
কখনও ভালুক কখনও বিকট সাজে
একটাই শুধু সান্তনা
বড় কোন ধরণের ক্ষতি করত না
শুধু খামচি মেরেই দিত যাতনা
মাঝে মধ্যে মাকে লোভ দেখাত
সোনাদানার কলস নিয়ে আসত
বিনিময়ে একটা সন্তান চাইত
মায়ের একটা প্লাস পয়েন্ট ছিল
কুল কলমা সব জানতো
এই সব পড়ে তারে তাড়াইত
বাড়ির ভিতর ছিল দুইটা জাম্বুরা গাছ
ছোট্টকালে রাতের বেলা শুনতাম ঐ ব্যাটার আওয়াজ
জাম্বুরা গাছের পাতা নাড়ানোই ছিল তার রেওয়াজ
কয়েক বছর আগে পড়েছিলাম এক ফাঁপড়ে
ঘুমের ঘোরে কে জানি আমারে জাপটে ধরে
লাত্থিগুতা মারার পর আমায় ছাড়ে
বুক উপরে করে ঘুমালে সহজেই ধরে
জিগাইলাম এক অভিজ্ঞ ব্যক্তিরে
সে কইল তোর শোয়ার ধরণ ভাল নয়যে
অনেক ভেবে মনটা কয়
কথাটা খুব মিথ্যে নয়
কাইত হয়ে শুইলে বেটা ভয় পায়
ঠিক করলাম অনেক ভাইবা
বুক উপরে করার অভ্যাস নাইকা
ব্যাটায় এখন আমারে ভয় পায়কা!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২৭