somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টেকনাফে একদিন

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেন্ট মার্টিন থেকে ফিরে একদিন টেকনাফে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম, কারণ টেকনাফকে এখনো ভালোভাবে ঘুরে দেখা হয়নি । টেকনাফ শহরটা অপরিচ্ছন্ন শহর কিন্তু এখানকার প্রকৃতি খুবই সুন্দর । অনেক কিছুই আমার দেখা হয়ে উঠেনি, তবে যেটুকু দেখা হয়েছে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।


এই জায়গাটাকে বলে টেকনাফের শাপলা চত্বর, এখান থেকে রিক্সা নিয়ে খানা খন্দকে ভরপুর একটা দীর্ঘ রাস্তা পারি দিয়ে গেলাম সমুদ্র সৈকতে । আমার মনে হয় প্রায় দুই কিলোমিটারের মতো রাস্তা হবে, কিন্তু এমন একটা পর্যটন এলাকার রাস্তা এতো বেশী ভাঙ্গাচোরা থাকতে পারে তা অকল্পণীয় ।


তবে সাগরে পৌছে আপনি রাস্তার কষ্টের কথা ভুলে যেতে বাধ্য, অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন একটা সৈকত, হরেক রঙের পতাকা দিয়ে সাজানো জেলে নৌকাগুলো মাছ ধরার শেষে সমুদ্রের পারে ফিরে এসেছে ।


মাছের বোঝাটা উঠাতে গিয়ে আমাকে বেশ বেগ পেতা হলো, অনেক বেশী ভারি বোঝা । আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না ওরা এমন ভারি বোঝা নিয়া এমন টেকনাফ শহরের দীর্ঘ পথ পারি দেয় কিভাবে, অথচ দেখলাম ওরা দিব্বি এই বোঝা নিয়ে দৌড়াচ্ছে........


আমি তো শুধু বোঝা উঠিয়ে দেখলাম তাহার ওজন কতটুকু, আমার বন্ধু ওখানকার সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে কাঁচা মাছই খেয়ে টেষ্ট করতে চায় :D


মাছ ধরে ট্রলারগুলো তীরে ভীরলে ওরা ট্রলারের নীচে এভাবেই চাকা লাগিয়ে ট্রলারগুলোকে শুকনায় নিয়ে আসে ।




ট্রলার থেকে মাছ নামানো হচ্ছে


মাছ নামিয়া সাজিয়ে রাখা হচ্ছে


এবার শহর অভিমুখে ছুটে চলা





বালুতে একটা খুলে থাকা ঝিনুক


দূরে থেকে দেখবেন সমুদ্রের বালির উপর লাল আস্তরণ, কাছে আসার চেষ্টা করলেই দেখবেন ওখানে একটা ঢেউ উঠেছে, এবং শুধুই বালি পড়ে আছে, এগুলো আসলে লাল কাকড়া, ওরা বালির উপর ঘুরে বেড়ায়, ার মানুষের আঘমনটা অনেক দূর থেকেই টের পেয়ে গর্তের ভেতর ঢুকে পড়ে । অনেক উৎপেতে থেকেও ওদের ছবি এর চেয়ে বেশী উঠানো সম্ভব হয়নি ।


ফেরার পথে গ্রামে ঢুকে লাল কাকড়ার ছবি অবশেষে আমি উঠাইতে সমর্থ হয়েছিলাম ।


ওর কল্যাণে আমি ছবি উঠাইতে পেরেছিলাম, এই বাচ্ছা কাকড়াটাকে নাইলনের রশইতে বেধে খেলা করছিল ।


সমুদ্র শেষ করে এবার পাহাড়ের দিকে নজর দিলামঃ উপরের ছবিটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশদের তৈরী একটা ব্যাংকার , এই ব্যাংকারের ভেতরের সুরঙ্গ পথে নাকি পার্রশবতী পাহাড়ের চুড়ায় যাওয়া যেত, ঐ সুরঙ্গ পথটা বর্তমানে বন্ধ আছে ।


বন্ধুরা পাহাড় বেয়ে ঐ ব্যাংকারে না ঢুকলেও আমি ঠিকই ভেতরে গিয়ে ছবি তুলে এনেছি ।


ছোট্ট একটা পাহাড়ী ঝরণা


সব শেষে আপনাদের জন্য এই ছবিটাও তুলে আনলাম ।

[img|]
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×