somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজাকারদের বিচার চান, নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান ??? অবশ্যই পড়বেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত চার বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধীদের অর্থাৎ মানবতাবিরোধীদের বিচার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,যা খুব প্রশংসা যোগ্য।এই দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় স্বাধীনতার ৪২ বছর পেরিয়ে গেলেও, এখনও ঐসব হিংস্র নরপশুদের বিচার করতে আমরা পারি নি। এখন আমার কথা হচ্ছে-

যেখানে বর্তমান সরকারের আমলে সাড়ে তিন বছরের শিশু ধর্ষিত হয়েছে, প্রতিদিন ধর্ষন, গুম আর খুনের ঘটনা ঘটছে। যারা ধর্ষন করছে গুম আর খুন করছে তারা কি মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে না? প্রকাশ্যে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যা করেছে, বাকৃবিতে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দলে ১১ বছরের শিশু রাব্বী নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে। পুলিশ সদস্যাও এই সরকারের সোনার ছেলেদের কাছে রেহাই পায়নি। শিক্ষকদেরকে অপমানিত করেছে আবার বরিশাল বিএম নিজেদের পছন্দের অধ্যক্ষকে পুর্নবহাল করার জন্য নতুন নিয়োগকৃত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে, ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, টাঙ্গাইলের ধর্ষন, পল্টনে শিশু ধর্ষন, এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম সহ ১৫৬জন গুম কি মানবতা বিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে না? জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ধর্ষনের সেঞ্চেুরিয়ানকে যখন পুরস্কৃত করা হয় এই সব দেখে গোটা জাতি লজ্জায় মাথা নিচু করলেও সরকার মাথা উচু করে বলে সবকিছু ঠিক ঠাক ভাবেই চলছে। এইগুলোও কি মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়?

যতদুর জানি ৭১’রে যুদ্ধাপরাধী বলে কিছু ছিল না, ছিল শুধু আলবদর,আলশামস ইত্যাদি রাজাকারের দল। তাহলে আজ শাহবাগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাসির দাবী চলছে শুধুমাত্র জামায়াতের নামে কেন ??
কেন, আমরা কয়েকজনের বিচার না চেয়ে সবার বিচার চাইতে পারতাম না? আপনাদের জ্ঞাতার্থে- আরো কিছু প্রমানিত রাজাকারদের তালিকাঃ-----------

১) সাজেদা চৌধুরী …সংসদ উপনেতা ও শেখ হাসিনার ফুফু। পাকিস্তানের গেজেট করা রাজাকার। ৭/৮/১৯৭১ তারিখের পাকিস্তান সরকারের গেজেটবদ্ধ।
২। লে.কর্ণেল(অব ফারুক খান: বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ব শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালান এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্বাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ব” বই।

৩। মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর – ৩ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ মির্জা আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদদের গঠিত করে মুক্তিযোদ্বাদের বিরুদ্বে লেলিয়ে দেন। তার বিরুদ্বে নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা “জামালপরের মুক্তিযুদ্ব ( “১৯৮১ সালের সংস্বকরণ” বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের এই নেতা নিজের নাম থেকে গোলাম শব্দটি বাদ দেন।

৪। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর– ৩আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং প্রবাসী কল্যান ও বৈদিশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের পিতা নুল ইসলাম নূরু মিয়া ফরিপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। ফরিদপুরে রাজাকারের তালিকায় ১৪ নম্বরে নুরু মিয়ার নাম আছে। ৭১ সালে তার বাড়িতেই পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিলো। এই মোশারফের বাবা ছিলেন ফরিদপুরের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান।

৫। মুসা বিন শমসের: গত ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাম করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলের জন্য ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেই বলছেনা কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের শ্বশুর। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যুদ্বাপরাধীর তালিকার ক্রমিক নম্বরে ৫৯৫ তে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুর“ত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।

৬। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: ঢাকা ২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগীতা ও মুক্তিযোদ্বাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই য়াকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয় । একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদ ও আশাসম বাহিনীকে সর্বাতক সহযোগীতা করেছেন। । অ্যাডভোকেট কামর“ল ইসলাম মুক্তিযুদ্বের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্বাদের কর্মকান্ডের বিরুদ্বে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগীতা করেন। মুক্তিযুদ্বের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবেও চাকরি করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মুজিবর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ প্রতিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামীলীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে মুক্তিযুদ্বে ইসলামী দল শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

৭। অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন: ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্বের সময় রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম এ হাসানের দেয়া যুদ্বাপরাধের তালিকায় (ত্রমিক নংং ৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈকি ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে যুদ্বাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের র্মত ওয়াহেদ আরী মন্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্বা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোসলেম উদ্দিন স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, দালাল, যুদ্বাপরাধী, জঙ্গি, দেশদ্রোহী ও আইন অমান্য কারী লোক। অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ও তার বাহিনী ১৯৭১ বালের ২৭ জুন দুপুর ২টায় জালাল উদ্দিনের বাড়ি লুন্ঠন করে বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এ সময় মুক্তিযুদ্বা আব্দুর রাজ্জাক , আবদুস সালাম, আবদুস মান্নানের বাড়িসহ ৪/৫টি বাড়ি লুণ্ঠনের পর পুড়িয়ে দেয়। ৭১ সালের ২০ জুন এ বাহিনী ফুলবাড়িয়া কুশমাইল এলাকার বসু উদ্দিন, ১২ জুর ফুলবাড়িয়ার আ:মজিদ এবং ২৯ নভেম্বর ভালুকজান এলাকার তালেব আলী, সেকান্দার আলী ও আলতাফ আলীকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিবাদীরা ২১ নভেম্বর শহীদুল্লাহ মাস্টার ও ছবেদ আলীকে হত্যা করে।

৮। এইচ এন আশিকুর রহমান: রংপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য , আওয়ামীলীগের কেন্দ্রী অর্থ সম্পাদক এইচ এন আশিকুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মাছ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তার সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। এ সময় তিনি পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্বের বিরোধী কর্মকার্ন্ডে সহযোগীতা করেন। এস এস এম শামছুল আরেফিন রচিত ‘ মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপট ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টায় পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত বাঙ্গালী অফিসারদের তালিকায় তার নাম প্রকাশিত হয়েছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী মাসিক ‘সহজকথা’ আয়োজিত “যুদ্বাপরাধের বিচার: বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আশিকুর রহামান যুদ্বের সময় টাঙ্গালের এ ডি সি ছিলেন। আমি যে দিন টাঙ্গাইল দখল করি তার পরদিন টাঙ্গাইল মাঠে আমাদের একটা জনসভা ছিল। আমার মঞ্চের সামনে এ ডি সি হিসেবে বলেছিলেন। তার ছবি এখনো আমার কাছে আছে-বলে মন্তব্য করলেন- বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

৯। মহিউদ্দিন খান আলমগীর: চাদপুর ১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্বায়ী কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন খান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকুরি করে মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। এ.এস.এম আরেফিন রচিত “মুক্তিযুদ্বের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৩৫০ পৃষ্টার মুক্তিযুদ্বের সময় শুরু পাকিস্তানের কর্মরত বাঙ্গালী অফিসারদের তালিকা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পাকিস্তান রক্ষার জন্য রাজাকার বাহিনী নিয়োগ কর্তা ছিলেন তিনি (বলেছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি বীর উত্তম)।

১০। মাওলানা নুরুল ইসলাম : জামালপুরের সাবেক সাংসদ ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাওলানা নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুর সসিষাবাড়ী এলাকার রাজাকর কমান্ডার ছিলেন। তার নিতৃত্বে রাজাকাররা ঐ এলাকায় মুক্তিয্দ্বু বিরোধী সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। “ দৃশপট এক্ত্তার: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামীলীগ ” গ্রস্তের ৪৫ পৃষ্টায় এর বিবরণ দেয়া আছে। এছাড়া দৈনিক আমাদের সময় প্রকাশিত গত ২৮ এগ্রিলের একটি প্রতিবেদনে মাওলানা নুরুল ইসলামকে সরিষাবাড়ি এলাকার রাজাকার কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে

১১। দিলিপ বড়ুয়া ৭১’রে পাকিস্থানের পক্ষে ছিল, তিনি বলেছিলেন ৭১’এর যুদ্ধ হচ্ছে দুই কুত্তার কামড়া-কামড়ি।

শাহবাগ স্কয়ারে কি তাদের বিরুদ্ধে লাখো মানুষের স্রোত কোন বক্তব্য দিবে কিংবা দিচ্ছে ????
ঐ মঞ্চ থেকে একবারো বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার দাবী করা হচ্ছে ????
বিশ্বজিৎ এর মর্মান্তিক মৃত্যুর আমরা সবাই সাক্ষী তবু প্রধানমন্ত্রী বিশ্বজিৎ এর বাসায় সমবেদনা জানাতে যায় নি,কোনও বিচারের আশ্বাস দেয়নি।অতচ আততায়ীর হাতে মৃত্যু হওয়া রাজীবের বাসায় গিয়ে সমবেদনা জানাল, যাক সেটাও কোন সমস্যা না। সমস্যা হল একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিনা তদন্তে অন্যকে এর জন্য দোষী করল কিভাবে ???

আমরা চাই সব রাজাকারেরও বিচার হোক।এই বাংলাকে গড়ুক রাজাকার মুক্ত সে যেই হোক না কেন।আওয়ামীলিগ করে বলে এদের বিচার না করার যৌক্তিকতা কি??? মুক্তি যুদ্ধের তথাকথিত ধারক বাহকদের কাছে আমার প্রশ্ন, বর্তমানে আওয়ামীলীগ ও বাম রাজনীতির এই সমস্ত রাজাকারদের বিচার আপনারা চাইবেন না কেনো ?
আমারতো মনে হয় ৯৬’এর মতো জামায়াত যদি আওয়ামালীগ করতো,তাহলে তাদের বিচারতো দূরের কথা কখনো রাজাকার কিংবা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তাদের চিহ্নিত করাই হত না।
এখানে আমার প্রশ্ন তাহলে,৯৬ এর পর কেন ওদের বিচার হল না ??
হয়তো ইতিহাস মুছে সামনের দিনে ওদের দেয়া হতে পারে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি তারপর সরকার বলবে এই দেশকে আমরা কলঙ্কমুক্ত করেছি।
আর বর্তমানে প্রত্যেক স্কুল-কলেজে বাধ্য করা হচ্ছে ছাত্রদের জামায়াতের বিরুদ্ধে রাস্তায় শ্লোগান দিতে,আমি স্বয়ং এর প্রত্যক্ষ দর্শী।
আর শাহবাগ এখন নাটকের মঞ্চ এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তবু অনেক কষ্ট করে এগুলো সংগ্রহ করলাম আর সাজিয়ে লিখলাম। হয়তো এর জন্য যে কোন সময় আমিও ওদের গুমের স্বীকার হতে পারি।
যেহেতু একদিন মরতেই হবে,সুতরাং ঐসব আমি ভয় পাই না। কুকুরের মতো আমি বাঁচতে চাই না,মানুষ হয়ে জন্মেছি তাই মানুষ থেকেই মরতে চাই, তবু অমানুষ হতে চাই না।
আমি ভূয়া দেশপ্রেমিক হতে চাইনা, আমি হতে চাই সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।কে দেশ চালাচ্ছে সেটা আমি জানতে চাই না, আমি চাই রাজাকার মুক্ত এবং সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক এবং দুর্নীতিমুক্ত, সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশ।
১৩টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×