somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমাপনী পরীক্ষা: কিছু প্রশ্ন ও প্রস্তাব

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'সমাপনী পরীক্ষা' নামে দেশে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। একধরনের উৎসবমুখর পরিবেশে পরীক্ষা-কার্যক্রম চললেও পরীক্ষা ও এর পরবর্তী প্রভাব নিয়ে এখনও দ্বিধা কাটে নি। অনেকে এ পরীক্ষাকে স্বাগত জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন এর কিছু বিরূপ প্রভাবও রয়েছে-- যা ভবিষ্যতে আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হবে।

সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের পক্ষে যেসব যুক্তি দেখানো হচ্ছে সেগুলো খুবই খাঁটি। প্রথমত, দেশের প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান কীরূপ, তা বোঝার জন্য এডুকেশন ওয়াচের দু-একটি গবেষণা ছাড়া আর কোনো স্বীকৃত পরীক্ষা ও মানদণ্ড নেই। এর আগে বৃত্তি পরীক্ষা থাকলেও সেখানে মাত্র ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারতো। এই পরীক্ষা সে অভাব ঘুচাতে পারবে। দ্বিতীয়ত, বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলের সাথে যেহেতু বিদ্যালয়ের ভৌত সুবিধা ও সম্মান জড়িত, তাই চতুর্থ শ্রেণী বা পঞ্চম শ্রেণীর শুরু থেকেই শিক্ষকরা বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের প্রতি আলাদা মনোযোগ দিতেন। এতে অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে যে বৈষম্য সৃষ্টি হতো, তা কোনো কোনোক্ষেত্রে প্রবলতর রূপ ধারণ করতো বলে জানা গেছে। কোথাও কোথাও সব শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্টকৃত কার্যক্রমকে বাদ দিয়ে বৃত্তি কোচিংকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। এতে দেখা যায়, যারা ভালো শিক্ষার্থী, তাদেরকে সযত্নে বিকশিত করে তোলা হলেও দুর্বলরা অবহেলিত থাকছে-- যদিও হওয়ার কথা ছিলো উল্টোটা। তাছাড়া যারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, তাদেরকে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা দুটোতেই অংশ নিতে হতো যা তাদের জন্য ছিলো একটা বাড়তি চাপ। এরকম নানা যুক্তি শোনা গেছে সমাপনী পরীক্ষার পক্ষে।

বিপক্ষে থাকা যুক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জোরালোভাবে যেটি এসেছে তার সঙ্গে শিশুর বয়স ও সামর্থ্যের বিষয়টি জড়িত। অনেকেই মনে করেন, এ বয়সের শিশুদের পাবলিক পরীক্ষা নেয়া উচিত নয়। শিশুর বয়স ও বিকাশ, মানসিক গঠন, এক জায়গায় বসে থাকার ধৈর্য্য বা স্থিরতা এগুলোর শিশুর পক্ষে যায় না। আবার এই পরীক্ষা সনদসর্বস্ব একটি পরীক্ষা হয়ে যায় কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে অনেকের। এই পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে কী হবে অর্থাৎ এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ভর্তি, চাকুরি কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজে লাগে-- এই পরীক্ষার সনদ সেরকম কোনো কাজে লাগবে কিনা সে বিষয়েও কথাবার্তা হচ্ছে। তার মানে পরীক্ষার সার্বিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে অনেকে এখনও অবগত নন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে পঞ্চম শ্রেণীর পর পাবলিক পরীক্ষার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত তিন-চার বছরে দেশের নানা জায়গায় এ নিয়ে পাইলটিংও করা হয়েছে। গত বছর সফলভাবে প্রায় ২৫% শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রণালয় সারা দেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো যা হয়, এখানেও সমাপনী পরীক্ষার ঘোষণাটা এসেছে হুট করে-- এ বছরের আগস্ট মাসে। যেকোনো বিষয়ে তাড়াহুড়া করা, হুট করে সিদ্ধান্ত নেয়া বা সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা না বলে, নিদেনপক্ষে না জানিয়ে উপর থেকে চাপিয়ে দেয়ার যে সংস্কৃতি বিদ্যমান, এই পরীক্ষার ক্ষেত্রেও তা দেখা গেলো ভালোভাবেই। মন্ত্রণালয় যদি পরীক্ষাগ্রহণ করবেই, তাহলে উচিত ছিলো এ বছরের শুরুতে তা জানিয়ে দেয়া। সেটি করা সম্ভব না হলে এর জন্য আরও এক বছর অপেক্ষা করাই সমীচিন ছিলো। এর মধ্যে মন্ত্রণালয় সবাইকে বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানাতে পারতো, মতবিনিময় করতে পারতো, জনগণকে সরাসরি এর সাথে সম্পৃক্ত করে বিষয়টিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারতো। এই কথাগুলো বলার সময় অনেক আগেই পার হয়ে এসেছে, কেউ কেউ বলেছেনও ইতোমধ্যে; কিন্তু আবার বলতে হলো এ কারণে যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় যেনো স্থৈর্য্যের পরিচয় দেয়। পদ্ধতি শুধু ভালো হলেই হয় না, সেটা যে ভালো, তা সবাইকে উপলব্ধি করানোরও প্রয়োজন থাকে। কিছুটা আশঙ্কা কিংবা উদ্বিগ্নতা থাকলে জনগণ শেষ পর্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই এর সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। সবসময় কিন্তু এমনটা নাও হতে পারে, যেটা কিছুদিন আগেই সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর সময় দেখা গেছে। তাছাড়া বর্তমান সরকার প্রাথমিক শিক্ষাকে ধাপে ধাপে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাড়াতে চায়। সেটা হলে এই সমাপনী পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে? তখন কি পঞ্চম শ্রেণীর বদলে অষ্টম শ্রেণীতে সমাপনী পরীক্ষা হবে? তাই সবমিলিয়ে একটু ধীরস্থিরে বিষয়টি চালু করলে বোধহয় ভালো হতো।

যা হোক, এবারের সমাপনী পরীক্ষায় প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এই সংখ্যা দ্বারা প্রতি বছর প্রাথমিক স্তরে শেষ করে কতো শিক্ষার্থী তার একটি ধারণা পাওয়া যায়। এডুকেশন ওয়াচের গবেষণা থেকে দেখা যায়, যতোজন শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়, তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত উঠতে পারে তার ৭৭.৬%, পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত উঠতে পারে ৫৮.৪% এবং পঞ্চম শ্রেণী শেষ করতে পারে এর মাত্র ৫০.১% শিক্ষার্থী, বাকি অর্ধেক নানা স্তরে ঝরে যায়। তার মানে আরও প্রায় বিশ লাখ অর্থাৎ মোট চল্লিশ লাখ শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলো। বাকি শিক্ষার্থীদের কী হলো? তারা কেন সমাপনী পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারলো না? আগামী বছরগুলো থেকে সমাপনী পরীক্ষাকে সার্বিক অর্থেই সফল করতে হলে এ প্রশ্নগুলোর উত্তর বের করা দরকার। তাছাড়া প্রথম দিনের পরীক্ষায় প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে উপস্থিত হয় নি কেন? সে প্রশ্নের উত্তরও জানা দরকার। বাংলাদেশের অনেক জায়গা আছে, বিশেষত হাওর, চর ও পাহাড়ি এলাকা যেখান থেকে শিক্ষার্থীদের একই উপজেলার সংশ্লিষ্ট সেন্টারে যেতে ভৌগলিক ও অন্যান্য কারণে খুব ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। কিংবা নিজ গ্রাম থেকে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার জন্য উপজেলা সদরে পাঠানো, তিন দিন রাখা, খাওয়ানো ইত্যাদি খরচের সামর্থ্য অনেক অভিভাবকের নেই। সমাপনী পরীক্ষার প্রথম আয়োজনের আগে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চয়ই এগুলো নিয়ে ভেবেছেন। তারপরও দেড় লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার অর্থ কিন্তু একপ্রকার ঝরে পড়া। এসব প্রশ্নের ফয়সালা ছাড়া সমাপনী পরীক্ষাকে কোনোভাবেই কার্যকর করা যাবে না।

এবারের সমাপনী পরীক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি দেখে অনেকে খুশি হয়েছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানাতে পারবে দেশে এই বয়সী জনসংখ্যায় ছেলের চেয়ে মেয়ের সংখ্যা বেশি কিনা। যদি বেশি হয়, তাহলে এটা আদৌ খবর নয় বা বলা ভালো-- এটাই স্বাভাবিক। আর যদি না হয়, তাহলেও খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ এ দ্বারা বুঝা যায়, যেকোনোভাবেই হোক মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনা ও তাদের প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার দিক দিয়ে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ছেলেদের পরিপ্রেক্ষিতে সফলতা কম। উপবৃত্তিসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মেয়েদের শিক্ষার প্রতি মনোযোগ দিতে গিয়ে ছেলেরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে কিনা সেটা দেখা দরকার। নাকি এ বয়সী ছেলেশিশুরা পড়ালেখার বদলে কাজে ঢুকে পড়ছে, তাও জানা দরকার। সেটা হলে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। এ কাজগুলো যে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও করতে পারে। সমাপনী পরীক্ষার উদ্দেশ্য সফল করতে হলে এগুলোর নিষ্পত্তি ছাড়া এগুনো যাবে না।

আলাদা কোনো বৃত্তি পরীক্ষা না নিয়ে সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি খুবই ভালো। শুধু বৃত্তির জন্য বিদ্যালয়ে যে বৈষম্যের পরিবেশ সৃষ্টি হতো, এতে সেটি কমবে বলে আশা করা যায়। শিক্ষকদের এখন শুধু মেধাবী শিক্ষার্থীদের নজর দিলে চলবে না, সবাইকে সমানভাবে গড়ে তুলতে হবে। তারপরও কিছুটা যে হবে না, তা না। এ পরীক্ষায় ফলাফলে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ থাকছে। প্রথম বিভাগ পাওয়ার সম্ভাবনা যাদের আছে, তাদেরকে আলাদা যত্ন নেয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। তবে এই পর্যায়ে এই ধরনের বিভাগ না করলেই ভালো হতো। নম্বরের ওপর ভিত্তি করে একদলকে বৃত্তি দেওয়া হবে, একটি দল শুধু পাশ করবে, আরেকটি দল ফেল করবে-- এরকমটা করাই বোধহয় সমীচীন ছিলো। না হলে প্রথম থেকেই গ্রেড পয়েন্ট চালু করার দরকার ছিলো। আর যারা ফেল করবে, তাদেরকে নিয়ে কী চিন্তা? বিভাগভিত্তিক ফলাফল প্রাথমিক স্তর থেকেই বৈষম্য বাড়াতে থাকে কিনা, তা এখন দেখার বিষয়।

তবে কেন্দ্র থেকে পরীক্ষার প্রশ্ন সরবরাহের সিদ্ধান্তটি আখেরে ভালো হয় নি। সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম যখন শুরু হয়, তখন সংশ্লিষ্ট জেলার শিক্ষা অফিসগুলো আলাদাভাবে এ কাজটা করতো। এতে শিক্ষা কর্মকর্তা, বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেকেই জড়িত থাকতেন। এর খারাপ ফলাফল তো দেখা যায় নি! শিক্ষাকে যেখানে দিন দিন বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এই সিদ্ধান্ত উল্টোদৌড়ের শামিল। মূল্যায়নের বিষয়টি নিয়েও আরেকটু চিন্তাভাবনা করা উচিত। মূল্যায়ন পুরোটাই পরীক্ষাকেন্দ্রিক না করে শিক্ষার্থীরা গত পাঁচ বছরে পড়ালেখা ছাড়াও নানা ধরনের যে কর্মকাণ্ড করেছে বা নানাক্ষেত্রে তাদের পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, সেগুলোকেও মূল্যায়নের আওতায় আনা দরকার। প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-অভিভাবক-ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের দিয়ে বিদ্যালয়ে একটি কমিটি করা যেতে পারে যারা প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের সার্বিক কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করে নম্বর দিবে যা পরবর্তী সময়ে সমাপনী পরীক্ষার নম্বরের সাথে সমন্বয় করা যাবে। সমাপনী পরীক্ষার মোট নম্বরের ২০ শতাংশ এ বাবদ বরাদ্দ রাখলে শিক্ষার্থীর অন্য গুণগুলো যেমন মূল্যায়িত হয়, তেমনি পরীক্ষার দিন নানা কারণে যারা ভালো করতে পারে না, তারাও উপকৃত হয়। এটা নিয়ে আরও ভাবা দরকার, কারণ এ কাজের জন্যও আমাদের বিদ্যালয়গুলোকে তৈরি করতে হবে। তবে সমাপনী পরীক্ষা উপলক্ষে চালু করলে নিশ্চয়ই এর একটি ম্যাকানিজম তৈরি করা সম্ভব যাতে নম্বর-দুর্নীতিজাতীয় ঘটনা ঘটতে না পারে।

যেহেতু এই পরীক্ষাটি চালু হয়েই গেছে, সেহেতু পরীক্ষা পদ্ধতিকে সুচারূ করা ও এর ফলাফলকে কার্যকর করার জন্য উপর্যুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা ও সে অনুযায়ী সমাধান খোঁজা জরুরি এখন থেকেই। প্রথম কয়েকবার হয়তো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অভিজ্ঞতা ও গবেষণার দ্বারা সেগুলোর সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি সমাপনী পরীক্ষার উসিলা ধরে আরও বেশ কিছু কাজ এগিয়ে নিতে হবে। যেমন, একটি উপজেলায় সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে। বছরপ্রতি কেন্দ্রগুলো যেন পরিবর্তিত হয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় পর্যায়ে আগেথেকেই সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। এতে যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ভৌত অবকাঠামো নেই, সেসব বিদ্যালয়ে সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে ভৌত অবকাঠামো সুবিধা সহজেই বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এই কাজটি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া শিশুরা নিজেদের বিদ্যালয়ের পরিবেশের বাইরে গিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিবে। এই বয়সী শিশুদের কাছে এটি একটি সাংঘাতিক ঘটনা। সমাপনী পরীক্ষার পরপরই পরীক্ষার বাইরেও শিক্ষাসফর কিংবা শিশুদের দিয়ে বিভিন্ন সহপাঠক্রমিক কর্মকা- করানোসহ অনেককিছুই করা যেতে পারে। একদল ভবিষ্যৎ নাগরিককে এক জায়গায় জড়ো করে তাদের মধ্যে শুভবোধ জাগিয়ে তোলার মতো কিছু প্রয়াস গ্রহণ করাটা একটা দারুণ কাজ হতে পারে। পড়ালেখার বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে বোধ জাগানোর জন্যও সমাপনী পরীক্ষাকে একটা উসিলা হিসেবে দেখা যেতে পারে। একটা পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ঘিরে নানা কর্মকাণ্ড শুরু হতে পারে-- সমাপনী পরীক্ষাকে এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে বোধহয় এ থেকে সর্বাধিক উপকার পাওয়া সম্ভব।
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

---অভিনন্দন চট্টগ্রামের বাবর আলী পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী---

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫





পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি।

রোববার বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সমাধান দিন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১




সকালে কন্যা বলল তার কলিগরা ছবি দিচ্ছে রিকশাবিহীন রাস্তায় শিশু আর গার্জেনরা পায়ে হেটে যাচ্ছে । একটু বাদেই আবাসিক মোড় থেকে মিছিলের আওয়াজ । আজ রিকশাযাত্রীদের বেশ দুর্ভোগ পোয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে গরু দুধ দেয় সেই গরু লাথি মারলেও ভাল।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৮


০,০,০,২,৩,৫,১৬, ৭,৮,৮,০,৩,৭,৮ কি ভাবছেন? এগুলো কিসের সংখ্যা জানেন কি? দু:খজনক হলেও সত্য যে, এগুলো আজকে ব্লগে আসা প্রথম পাতার ১৪ টি পোস্টের মন্তব্য। ৮,২৭,৯,১২,২২,৪০,৭১,৭১,১২১,৬৭,৯৪,১৯,৬৮, ৯৫,৯৯ এগুলো বিগত ২৪ ঘণ্টায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×