কিছু ই করার নেই আমার।একা একা বসে আছি।
পিচ্চির দল টম & জেরী দেখার জন্য ঘোরাঘুরি করছে আশপাশে।বড় আপুর বড় ছেলেটার সাহস বেশী বলে সে এসে বললো,মামা,টম&জেরী দেখবো।
ধমক দিয়ে বললাম,যা ভাগ!!!
ফাজিল টা সোজা মায়ের কাছে।নানু বাড়ি তে থাকবো না।মামা ধমক দিছে।
আপু এসে গরম।নিলয় রে ধমক মারলি ক্যান?কি হইছে তোর?
এমন চোখে তাকালাম,আপু দরজা টেনে রুম থেকে সোজা লগ আউট!!!!!!!
শুনতে পেলাম,ছেলেকে বলছে,তোর মামার মাথা গরম।কাছে যাবি না!!!!!
রিহাম।বড় ভাইয়ার ছেলে।আমাকে আব্বু ডাকে।চুপি চুপি পাশে এসে বলে,আব্বু কি করো?
ধমক মারতে গিয়ে থেমে গেলাম ।ওর চোখের দিকে তাকালে লাবিবের কথা মনে পড়ে যায় আমার।
কি গভীর সরল চোখ!!!!লাবিবের চোখ আরো সরল,গভীর হবে নিশ্চয়!!
মাথা টা খুব ব্যথা করছে।জ্বর টা কমছেই না।ডা:রনজিৎ বললো,মে বি টাইপয়েডের লক্ষণ।ব্লাড টেস্ট করাও।
বললাম,লাগবো না।দুইটা নাপা দেন।
উনি ধমক মারলেন।নিজের ব্যপারে এত কেয়ারলেস হইলে চলে!!!!!উঠো।
নিজেই প্যাথলজি সেন্টারে নিয়ে গেলেন।কান্না পেয়ে গিয়েছিলো।এরকম মমতার স্পর্শ অনেক দিন পাই নি।
প্যাথলজিতে মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেল।দুই শিশি ব্লাড নিলো।আবার বিল ও দিলো।
শালা!!!!!!আমারে মরে যাওয়ার ওষুধ দে!!!!! তোদের প্যাথলজিময় দুনিয়ায় বেঁচে থাকার ইচ্ছা মিটে গেছে।
রিহামের গালে একটা থাপ্পড় মারতে ইচ্ছা হচ্ছে।গলা ফাটাইয়া গান ধরছে।"হোলা মাইয়া লোদ গাডের।গরু দুগা গাছে উডি গেছে...."।
মাথাব্যথা বেড়ে যাচ্ছে।ডা:রনজিতের একটা কথায় ভয় ঢুকে গেছে মনে।
টাইফয়েডে নাকি অঙ্গ হানি হয়!!!
কেন জানি মনে হচ্ছে,আমি অন্ধ হয়ে যাবো।
আমি অন্ধ হতে চাই না।অন্ধ হলে ফ্যমিলির বোঝা হয়ে যাবো।সেটা চাই না।
মেজাজ টা খুব খারাপ হয়ে আছে।সব কিছু তে আগুন ধরিয়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।
তাওহীদের কথা মনে পড়ছে খুব।দু'দিন হাতে জুস ধরিয়ে দেয়ায় আমি এখন তার জুস ভাইয়া।
কাল বললো,তার নতুন ভাইয়া ফোন করে।টিপ ভাইয়া।টিপ ভাইয়া টা কে ,জানি না আমি ।তবে আন্দাজ করতে পারছি।
ঘুম আসছে।
আর লিখতে পারছি না।বিশেষ কিছু স্মৃতি খুব কাতর করে তুলছে।
তাওহীদ কে অনেক দিন জুস দেয়া যাচ্ছে না।হয় তো আর দেয়া হবে ও না।নতুন ভাইয়া পেয়ে গেছে সে।আমার জুস এখন করলা তিতা মনে হবে!!!!!
মাথা টা কাজ করছে না।
কি লিখলাম এসব?লেখার সাথে অপার হয়ে বসে থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।তবুও শিরোনাম টা পাল্টাতে ইচ্ছা করছে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০১