সম্পর্কটা ভালই চলছিল। হঠাত করে কথার পুরোনো সেই অসুখটা নতুন করে মাথাচড়া দিয়ে উঠল। ছোটবেলায় কথার মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা হত। মূহুর্তেই অজ্ঞান হয়ে পড়ত কথা। শেষবার যখন ঢাকায় নিয়ে আসা হল তখন ডাক্তার বলল প্রতিবার অজ্ঞান হবার পর ওর ১·৫ লড়্গ নিউরণ মারা যায়। তাই এরপর সাবধানে থাকতে হবে।
দীর্ঘ ৮ বছর যাবত কথা সুস্থ। হঠাৎ করেই গত পড়শু মাথা ঘুড়িয়ে পড়ে যায় বাথরম্নমে। প্রচন্ড মাথাব্যাথা। বোন লতা তারাতারি ম্যাচের আঙ্কেলকে নিয়ে হাসপাতালে রওনা হল। কয়েকটি ইনজেকশন দেয়া হল কথাকে। একটু সুস্থ হয়েই সে ফোন করে ছাব্বিরকে। ছাব্বিরকে কথা ভালবাসে, তাই জ্ঞান ফিরেই ওকে ফোন করে। তার আগেই লতা ছাব্বিরকে অসুস্থ হবার কথা বলে।
এইচ এস সি পরীড়্গার আর মাত্র ৩মাস বাকী। প্রস্তুতিও ভাল কথার। ছাব্বির পড়ে অনার্স ৪র্থ বর্ষে। দুজনের স্বপ্ন ভাল একটা সমাজ গঠনের জন্য ভবিষ্যতে একসাথে কাজ করা। আর সে জন্যেই দুজনকে দুজনে আপন করা। কথার স্বপ্ন বড় ল ইয়ার হওয়ার।
হাসপাতালের বিছানায় যখন কথা কাতরাচ্ছিল তখনও বোঝা যায়নি একটি স্বপ্ন ভাঙ্গনের গল্প রচিত হবে। বাবা-মা, বোন লতা, বন্ধুরা কিছু বোঝার আগেই খুব সকালেই কথা চিরকালের জন্য কথা বলা বন্ধ করে দেয়। বেলা বাড়তে থাকে, আর হাসপাতালের বাতাস ভাড়ি হয়। শুধু ছাব্বিরের ছোখ কিংবা মুখ দিয়ে কোন ভাষা বের হয় না। নির্বাক তাকিয়ে থাকে হাসপাতালের সাদা চাদরের উপর। যার নিচে তার স্বপ্ন মুখ লুকিযে আছে···········