১৮ এর নীচে কেউ পড়বেন না, এটা মানে হলো,একেবারেই কেউ যেন না পড়েন। এটা দেখে অনেকেই অতি কৌতূহলি হয়ে আবার পড়তে পারেন, তাই এই সাবধানী করা হলো।
মিসেস জামাল এবং মিস্টার জামাল দু জনেই কর্মজীবী। ডিজিটাল সময়ে দুজনকেই খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে অফিসে ছুটতে হয়। এ কর্মময় দুনিয়ায় অভিসারের আর রোমান্চের এতো সময় কই।
যাই হোক,
মিস্টার জামাল ভোরে ঘুম থেকে ওঠেই একটু অসুস্থ বোধ করলেন। তাড়াতাড়ি করে ডাক্তারের চেম্বারের গেলেন। ভগ্ন হৃদয়ে ফিরে আসলেন।
মিসেস জামাল - স্বামীর প্রতি কৌতুহলী হয়ে বললেন-- কী ব্যাপার ডাক্তার কি বললো?
মিস্টার জামাল বললেন-- কী আর করা সবাইকেই একদিন যেতে হবে। আমার ও সময় হয়েছে। ডাক্তার বলেছে--আর মাত্র ২৪ ঘন্টা ,তারপরই প্রস্থান।
মিসেস জামাল--স্বামীর প্রতি অতি সোহাগি বললেন, বলো প্রিয়তম-এই সময়টুকু কীভাবে আমি তোমার মনোবাসনা পূর্ণ করতে পারি।
জামাল সাহেব বললেন--চলো ভালোবাসায় পূর্ণ অভিসার করি।
তাদের যথারীতি অভিসার হলো।
এবার জামাল সাহেব বললেন, সখী আর মাত্র ১৮ ঘন্টা বাকি আছে, চলোনা আরেকবার মিলিত হই।
আরেকবার, তারা কামনা পরিপূর্ণ করলেন।
কিছুক্ষণ পর,জামাল সাহেব বললেন, ওগো প্রিয়তমা, তোমাকে ছাড়া কেমনে থাকবো। চলোনা ,আরেকবার ভালোবাসার সমূদ্রে ভাসি।
যথারীতি আরেকবার তারা আদর সোহাগে ত্বপ্ত হলেন।
কিছুক্ষণ পর-আবার জামাল সাহেব--ওগো আর মাত্র চার ঘন্টা বাকি আছে।
চলোনা , আরেকবার ।
এবার স্ত্রী বললেন---শুনো,তোমারতো সুখ।সারা জীবনের ছুটি পেয়ে গেলে। তোমাকে তো আর চার ঘন্টা পর ঘুম থেকে ওঠতে হবেনা, আমাকে সকালে ঘুম থেকে ওঠেই অফিসে যেতে হবে। তাই আমি ঘুমালাম।
জামাল সাহেব বললেন--
আরে এতো তাড়াতাড়ি মরবো নাকি, ডাক্তারের নাম ভাংগিয়ে জন্মদিনটা এভাবেই কাটালাম, তুমি আমি কাজে এতো ডুবে থাকি সারা সপ্তাহে তো একবারও কাছে পাইনা। তাই পুরা সপ্তাহ আজ একবারেই কভার করে নিলাম।