somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জুতার সাথে কেন মোজা পরি?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীর মাটিতে প্রথম যেদিন জুতাসমেত পা পড়লো সেই তবে থেকেই মোজা নিত্যসঙ্গী। মোজা ছাড়া জুতো পরা যায় না - এটা সংক্রমিত জ্ঞান, লব্ধ না। কোনদিন মোজা ছাড়া জুতা পরে হাতেনাতে শিক্ষাটা নেয়া হয়নি, গুরুজনেরা কেন শিখিয়েছেন তার কারণও ফলতঃ অজানা। ধারণা করি আমার বাবা, তার বাবা এবং তার বাবা - যে অব্ধি মোজার প্রচলন শুরু হয়েছে তারা সবাই মোজা পরার ব্যবহারিক কারণ সন্বন্ধে অজ্ঞাত ছিলেন।

মোজা কি জুতার সাথে সাথেই আবিষ্কার হয়েছিলো নাকি মোজার পরে জুতো অথবা জুতার পরে মোজা এসব ভেবে ভেবে হয়রান। সৌন্দর্য্যের জন্য মোজার ব্যবহার নাকি পায়ের আরামের জন্য - এসব নির্ণয়ও আমার জন্য অসাধ্য হয়ে উঠছিলো ক্রমশঃ।

একটা মোজা অনেকদিন পরলে তলানীটা স্ফীত হতে থাকে, দুর্গন্ধ চৌদ্দকুলকে অস্বস্তিতে ভোগায় - তজ্জন্য মোজা পরিবর্তন প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে, কিন্তু ইহাতে মোজা ব্যবহারের আদি কারণ সম্বন্ধে কোন ধারণা পাই না।

তবে এভাবে যখন সকল মোজা ফুরিয়ে গেল এবং মোজার স্তুপে আমার ময়লার ঝুড়িটা ফুলে ফেঁপে উঠলো এবং একই সাথে সুগন্ধে পাশ্ববর্তী বাড়ীর বাচ্চাটা মাঝরাতে কেঁদে উঠলো তখন একদিন আমার সাধ হলো পরীক্ষাটা করে ফেলতে। সঙ্গত কারণ হিসাবে আর কোনো নতুন মোজা না থাকা আসলে বলতে চাই না।

অতপর অদ্য মোজা ছাড়া আমার প্রথম জুতাপদখানি পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করলো। মোজা মুক্ত স্বাধীন জুতার বিচরণ আপাতত কোনো অস্বস্তি বা ক্ষতির আলামত প্রদর্শন করিলো না।

দুপুর হইতে ক্রমশ আমি অনুধাবন করতে সক্ষম হইলাম, উহারা মোজা শুধু শুধু আবিষ্কার করে নাই। পায়ের তালু ঘেমে, গরম হয়ে মস্তক পর্যন্ত ফোটাতে শুরু করলো। প্রথমে আমল না দিলেও ক্রমশ আমার পায়ের তালু যেন লোহার কাঁটার মধ্যে বিদ্ধ হতে থাকলো। অসহ্য পা-রিরীক কষ্টে যখন আমার পাবন অতীষ্ট তখন ছুড়ে ফেললাম জুতা - সরবে ছুটোছুটি শুরু করলো আমার সকল কলিগবৃন্দ। অবর্ণনীয় সুগন্ধে দেয়ালে টাঙানো জাতির পিতার নাকটাও কুচকে গেলো। কিন্তু সব কিছু অবজ্ঞা করে আমার ভার্চুয়াল মস্তক অবনত করলাম সেই মহান পিতার মোজাতলে যিনি এই অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করিয়া মোজা সৃষ্টিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

শেষটা না শুনে উঠবেন না। আজকে আমাকে একটু আর্লিই ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছে বস। কারণ হিসাবে তিনি আমার বিরুদ্ধে মুজাৎকারের অভিযোগ তুলেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২৯
১২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×