গতকাল ভেবেছিলাম এই উত্তেজনা হয়ত সহজে প্রশমিত হবে, তাই অনর্থক পোস্ট করতে চাইনি। আজ মনে হল, ইচ্ছা করে কেউ ব্লগের পানি ঘোলা করছে, তাই আমার ইচ্ছা ছিল অরনঝ-এর নিশ্চিত পরিণতিটা হোক, তারপর, গত দুইদিনের ব্যাপারে আমার মতামত লিখে একটা পোস্ট দেব। যাই হোক, তা হয়েছে।
একটা কথা অনেকেই হয়ত সৎ সাহস থাকলে স্বীকার করবেন ভারতের ব্যাপারে আমাদের বেশিরভাগ বাংলাদেশীর অভিগ্গতা খুব একটা আনন্দদায়ক নয়। অর্থনৈতিক, সামরিক সবদিক থেকে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও ওদের কিছু কিছু মানসিকতা খুব পীড়াদায়ক। গত দুইদিন বেশ কয়েকজন ব্লগার এসব ব্যাপারে আলোচনা করেছেন, নতুন কোন পয়েন্ট আমিও দেখাতে পারবনা। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারীদের জীবিকা, আমার ধারণা, বাংলাদেশের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তারপর তাদের কিছু আচরণ পীড়াদায়ক, আমরাও পারিনা এগুলোর কোন প্রতিকার চিন্তা করতে। আমার কস্ট লেগেছে দুইটা জিনিস-
১। প্রতিবেশি দেশের প্রতি এই দুজনের ধ্যানধারণা
২। এবং, শেষ পর্যন্ত ধর্মে যেয়ে হামলা শেষ করা।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে হঠাৎ কাছাকাছি সময়ে দুই ব্লগারের এরকম হামলা কোন নতুন চক্রের কাজ কিনা? মডারেটরদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমার সেফ হতে বেশ সময় লেগেছিল, কয়েকজন ব্লগার অভিযোগ করছেন, তারা প্রতিবাদ করে জেনারেল হয়ে গেছেন, এত কড়া মডারেশনের মধ্যে এরা এন্ট্রি পায় কিভাবে? কাল যে হঠাৎ আরেকজন এই ধরনের কোন কমেন্ট করে আবার ব্লগের পরিবেশ অশান্ত করবেনা তার নিশ্চয়তা কি?
বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের সম্পর্ক আজ থেকে না, ব্রিটিশ আমল থেকেই। কোন অভিযোগ করছিনা, তৎকালীন ইংরেজি শিক্ষা তাদের বেশ কিছু অংশে যে প্রবেশ করেনি তা আজ অরনঝ দেখিয়ে গেলেন। কলকাতার শিক্ষিত কিছু লোকের নাকউচু ভাবের কথা আমার নানা সবসময় বলতেন, রনি কোলকাতার কথায় আমি অনেকটা মিল পেয়েছি সেই গল্পের।
যাই হোক, আমার পোস্টের উদ্দেশ্য জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি করা নয়, বরং এধরণের বিতর্কিত কমেন্ট করা থেকে নিজেদের বিরত রাখার আহবান জানাচ্ছি সকলকে। সবাই ভাল থাকুন।
বি.দ: পোস্টের কোন অংশ কাউকে বিন্দুমাত্র আহত বা খোচা দেয়ার উদ্দেশ্যে রচিত নয়। কোন অংশ নিয়ে কারো যুক্তিসংগত আপত্তি থাকলে আমার ডিলিট করতে কোন আপত্তি নেই। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১২ সকাল ৭:৪৫