আল্লাহর রহমত, করুনা এবং তার সন্তুষ্টির আশায় আমরা রীতিমত প্রতিযোগীতায় অবতীর্ণ হইয়া কোরবানি সম্পাদন করিলাম। আল্লাহুম্মা আমেন। গো-মাংস ভক্ষন করিলাম. যত্সামান্য বিলাইলাম এবং অবশিষ্ট হীমাগারে সংরক্ষন করিলাম। আত্বিয়স্বজন সমেত ভোজে মজিয়া গিয়া, আর গোস্ত বেশি হইয়াছে নাকি কম হইয়াছে, জিতিয়াছি না হারিয়াছি, তাহা লইয়া তর্ক-বিতর্ক করিয়া যাহা বেমালুম ভুলিয়া গেলাম তাহা হইলো, গরুখানা যেখানে জবেহ করা হইয়াছে সেই স্থানের জবেহত্তর উচ্ছিষ্ট, রক্ত, ভাঙ্গা হাড় ও উক্ত পদার্থ হইতে নির্গত দুর্গন্ধ।
সমস্যাটা এইখানে নয়। এটাই স্বাভাবিক যে মানুষ তার সুবিধা ভোগ করিয়া পরবর্তি দায়িত্বসমুহ ভুলিয়া যাইবে। সমস্যা বা আশঙ্কার কথা হইলো এই যে, জবেহ তো আর কোন বিচ্ছিন্ন স্থানে হয় নাই, হইয়াছে আমাদেরই বাসার কাছের রাস্তায় বা সংলগ্ন কোন স্হানে। বাসা থেকে বের হইলেই সেই রক্ত-পঁচা গন্ধ আমাদের নাকে আসিয়া সজোরে ধাক্কা মারার কথা! এবং এমনটা হইলে এই ঘটনায় আমাদের বিস্মৃত স্থানটির কথা পুনরায় মনে পরিয়া যাইবার কথা! কিন্তু কি আশ্চর্য, তা হইতেছে না! আমরা নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা ভুলিয়া গিয়া নাকে অঙ্গুলী সজোরে চাপিয়া ধরিয়া, দ্রুত পদ-চালনা করিয়া চলিয়া যাইতেছি আর যার কারনে আমি এইখানে গুরুচন্ডালী দোষে দুষ্ট হইয়া লিখিতে অবতীর্ণ হইয়াছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৪১