somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সড়ক যোগাযোগে বেহালদশা : দুর্ভোগে ১০ লাখ মানুষ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নোয়াখালীর সর্বত্র সড়ক যোগাযোগে বেহাল দশা। সংকীর্ণ ও ভঙ্গুর সড়কপথ পাড়ি দিয়ে এখনও জেলা সদরে যেতে হয় অনেক এলা-কার মানুষকে। বিশেষত বড় যানবাহন চলাচলের উপযোগী সড়ক না থাকায় জেলার দক্ষিণাঞ্চলের দশ লাখ মানুষকে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বছরের পর বছর এ অবস্থা বিরাজ করলেও দুর্দশা লাঘবের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
জানা যায়, ১৯৬০ সালের পর নোয়াখালীর অভ্যন্তরীণ সড়ক পরিকল্পনায় আর কোনো পরিবর্তন আসেনি। অথচ এ সময়ের পরও নোয়াখালীর দক্ষিণে ভূমি বেড়েছে জেলার এক-তৃতীয়াংশের সমান। এসব স্থানে হয়েছে ব্যাপক জনবসতি।
জেলার পুরনো অংশেও বেড়েছে জনবসতি ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অথচ অতীতের সীমিত যান চলাচল এবং স্বল্প অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের নিমিত্তে তৈরি সড়কের ওপর মাঝে মাঝে কার্পেটিং করেই টিকিয়ে রাখা হয়েছে সড়কপথ। তাই পুরনো রাস্তাগুলোর সবখানেই দেখা যায় গর্ত আর খানাখন্দক। নোয়াখালী সদর থেকে কোম্পানিগঞ্জ, কবিরহাট উপজেলায় যাতায়াত এখনও সরু সড়কপথে। সোনাপুর থেকে পূর্বদিকে পুরনো বেড়ির ওপর পাকা সড়কটিরও বেহাল দশা। আর দক্ষিণে যাতায়াতের জন্য সোনারপুর থেকে আক্তার মিয়ার হাট হয়ে সন্দ্বীপ ঘাট এবং কালিতারাবাজার হয়ে চরজব্বর সড়ক ত্রিশ বছর আগে যে প্রস্থে ছিল তাই আছে। মূলত নোয়াখালীর দক্ষিণে সোজাসুজি ৫০ কিলোমিটার জুড়ে ঘনবসতি হয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে। এ এলাকায় এখন পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের বাস। আর হাতিয়া উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষের চলাচলও নতুন এ সুবর্ণচর উপজেলার মধ্য দিয়ে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ উপজেলার কোথাও সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা নেই। এ অঞ্চলের দশ লাখ মানুষের যাতায়াত এলজিআরডি নির্মিত সরু সড়ক দিয়ে। জানা যায়, নোয়াখালী শহরের দক্ষিণপ্রান্ত সোনাপুর থেকে হাতিয়ার উত্তরপাশে চেয়ারম্যানঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি কোথাও ১২ ফুট আর কোথাও ১৪ ফুট চওড়া। এ সড়কপথটি বড় যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হলেও জনগণের চাপেই কয়েকটি বাস চলাচল করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। দক্ষিণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহন মালিকরা এ ঝুঁকি নিচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জনচলাচল বৃদ্ধি এবং হাতিয়ার সংযোগ সড়ক হওয়া সত্ত্বেও এ রাস্তাটি এখনও সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তরের প্রস্তাবও করা হয়নি। এছাড়া জেলার দক্ষিণাংশে পূর্ব-পশ্চিমে চলাচলের জন্য সড়ক নেই বললে চলে। জানা যায়, চট্টগ্রামের মিরসরাই থেকে জোরারগঞ্জ হয়ে ফেনীর সোনাগাজী, কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণাংশ দিয়ে সোনাপুর হয়ে আলেকজান্ডার পর্যন্ত সড়ক প্রস্তাব রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের। কিন্তু বছরের পর বছর এ প্রস্তাব পড়ে আছে সংশ্লিষ্ট দফতরে। এ সড়কটি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সন্দ্বীপের সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ হয়ে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ অনেক সহজ হবে বলে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান। নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক সম্পর্কে কথা বললে কালিতারাবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি বাচ্চু মহাজন বলেন, দক্ষিণের দুটি ভাঙা রাস্তা স্বাধীনতার পর থেকে একইভাবে আছে। মাঝে মাঝে জোড়াতালি দেয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলেই ভেঙে যায়। দক্ষিণের মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে চরজব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির মাস্টার আমার দেশকে বলেন, চরের মানুষ বলে আমাদের প্রতি যত অবহেলা। চরে খাদ্য উত্পাদন হয়, সাহেবরা তা-ই খেয়ে বাঁচেন। কিন্তু চরের দুর্ভোগ নিয়ে ভাবেন না তারা। তিনি জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক বড় যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন। এদিকে চৌমুহনী চৌরাস্তা থেকে জেলা শহর হয়ে সোনাপুর সড়কটি এখনও সরু। এ সড়কটি চার লেন করা হলে জেলা শহরের যানচলাচল সঙ্কটে স্থায়ী সমাধান হতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করেন। নোয়াখালী জেলা সড়কের এ বেহাল দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, নোয়াখালীর সড়ক উন্নয়নে অনেক প্রস্তাব রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কেবল তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে কোনাপুর থেকে চেয়ারম্যানঘাট সড়কটি হাতিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকার করলেও এ নিয়ে কোনো প্রস্তাবনা নেই বলে তিনি জানান। জেলাটি দক্ষিণে অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় নোয়াখালীর সড়ক ব্যবস্থাপনায় নতুন পরিকল্পনা প্রয়োজন বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।http://www.amardeshonline.com/pages/details/2009/12/06/8438
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×