somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সন্ত্রাসীদের অবমোল্লায়ন করা হচেছ ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পত্রিকার পাতা খুলতেই দৈনন্দিন চোখে পড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এটা যেন নিত্যনৈমিত্তিক একটা মামুলী বেপার হয়ে দাড়িয়েছে এদেশে। এদের নিষ্ঠুর লোমহর্ষক কর্ম কান্ডে দেশের মানুষ অতিষ্ট দৈনন্দিন জীবন যপন হয়ে উঠছে দুর্বিশহ যন্ত্রনাদায়ক। মনে হচ্ছে আইন, প্রশাসন সহ দেশের আঠার কোটি মানুষ এদের নিকট জিম্মি। এদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত । দেশটা যেন মগের মুল্লুক আর কি ! আপনি নতুন বাড়ি করতে যাচ্ছেন, কিংবা গাড়ি কিনছেন একদল সন্ত্রাসী ক্যাডার জীবনের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের বখরা দাবি করবে। আপনি মার্কেটে দোকানের মালিক , প্রতিমাসে আপনাকে গুনতে হবে মোটা অংকের নযরানা। এখানে আপনার চাদা দেওয়া ছাড়া কোন গতান্তর নেই। আপনি যেন তাদের হাতের পুতুল বিমোট টিপলেই যেন সব হয়ে যায়, আপনার সুন্দরী যুবতী কন্যা কিংবা বোনের উপর তাদের নযর পড়েছে তো আর রা নেই্। সন্ত্রাসের ছত্র ছায়ায় কিডনাপ করে তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে পুনরায় পোছে দিবে বাসায়, অথবা নশ্বর পৃথিবী থেকে চির বিদায় করে দিবে। এই েেত্র কোর্ট বা পুলিশের সহায়তায় বাড়া বড়ি করলে আপনার জীবনেও জলে উঠবে লালবাতি তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রশাসন কে জানিও কোন লাভনেই প্রশাসন কে যেন তারা জিম্মি বানিয়ে রেখেছে।
তবে আসল কথা হলো প্রতি সরকরী দলের নেতা নেত্রী শুধু মঞ্চে বক্তিতার মাধ্যমে সন্ত্রাস দমন করে আসছেন। প্রত্যেক সরকারের স্বরাষ্ট মন্ত্রি ও বক্তিতায় মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাস কে নির্মুল করেন ঠিকই কিন্তু তার নাকের ডগায় নিজ দলের সন্ত্রাসীরা অস্রের মহড়া চালায়া তা তিনি মালুমই করতে পারেন না । বর্তমান সরকার ও কমরে আচল বেধে নেমেগেছে সন্ত্রাস দমনের নিমিত্তে
অপারেশন কিন হার্ট নামে মাঠে নামিয়েছে পুলিশ সেনা যৌথ বাহীনী তার ফলাফল মোটামুটি আশাবাঞ্জক হলেও ইদানিং আবার যেই সেই। অবস্থাদিষ্টে মনেহচ্ছে এদের কে এদেশ থেকে সম্পুর্ন ভাবে নিশ্চ‎˝ করা আদোও সম্ভবনা। বুঝাযাচ্ছে - দেশের প্রশাসন কিংবা বিভিন্ন বাহীনী থেকেও বেশি শক্তিশালী । এক কথায় এরই হল দেশের সর্বময় খমতার অধিকারী
তাই অবস্তাদৃষ্টে আমার ভাবনা জাগছে এখন থেকে তাদের কে নেগেটিভ পর্যায়ে না দেখে পজেটিভ পর্যায়ে ব্যবহারের আধুনিক চিন্তা করলেই যেন ভাল হয়। যেমন আমাদের দেশের প্রয়োজনের তুলনায় সামরীক শক্তি খুবই কম। সুতরং যখন কখনও বহিঃশত্র“ আমাদের দেশের উপর আক্রমন করে,দেশ ও জাতি ধ্বংশের মুখোমুখি হবে,এমত অবস্তায় বহিঃশত্র“র আক্রমনের হাত থেকে স্বাধিন সার্বভৌম দেশও জাতিকে রা করতে সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহীনীর কোন বিকল্পনেই। সুতরাং এদের কে নির্মূলের চিন্তা ভাবনা না করে জামাই আদর করে আরো শাক্তশালী হওয়ার নিমিত্তে প্রয়োজনিয় ট্রেনিং এর ব্যাবস্থা করে দেশে ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য অবাদসুযোগ করে দিলে সময় মত বিরাট কাজ হবে বলে মনে হয় ? তাছাড়া মতার মসনদ অর্জনে কিংবা মতায় টিকে থাকতেও তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অথবা যারা সংসদে বিরোধি দল হয় তাদেরও সন্ত্রাসীদের লালনে মদদ জরুরী। বলতে গেলে খমতাসিনদের কে মতাচ্যুত করতে মতা দখল করতে উচ্চমানের ক্যাডার বাহীনীর কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া দেশের অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরনে সরকার এ সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে দেশে নবদিগন্তের উম্মেচন করতে পারেন। বাড়ি দখল,ব্যাংক লুট সর্বপরি বিভিন্ন ভাবে মোটা অংকের চাদাবাজী বাস্তবায়ন করে একটা অংশ সরকারী তহবীলে জমাকরলে অর্থনৈতিক অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারে। ভাবতে আরো ভাল লাগছে আমাদের দেশের সন্ত্রাসীসা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন। সুতরাং এদের কে দেশের মাটিতে বসিয়ে না রেখে বিভিন্ন রাষ্ট্রে সন্ত্রাসী করে অর্থ সংগ্রহের জন্য প্রেরন করলে নির্ঘাত এদেশ বিপুল পরিমান বৈদিশ অর্থ উপার্জনে সম হবে। এরই ধারাবাহীকতায় তাদেরকে নাইনশুটার, কালাজাঙ্গীর, পিচ্চি হান্নান, মূরগী মিলন, টোকাই শাগর, ট্যারা সুমন, ইত্যাদি কুৎসিত উপনাম বাদদিয়ে প্রয়োজনে
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি দেয়া উচিত। আপনারা কি বলেন ? আমার কথার সাথে যদি আপনারা একমত না হন, কিংবা বিপরীত মত প্রকাশ করেন তাহলে অবিলম্বে তাদের কে প্রতিহত করুন। অগ্নিস্ফুলিংগ কে জিয়ায়ে রাখছেন কেন ?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×