somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্ধত্ব মুক্ত জীবন হোক সবার কাম্য

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিগত কয়েকদিন ধরে কিছু বিষয় লক্ষ করলাম, তা লিখে মনকে হালকা করার চেষ্টা করছি। রাজাকার ইস্যুতে শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে ফেসবুক ও ব্লগ অর্থাৎ সকল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একটা কঠিন বিবাদ তৈরি হয়েছে। অনেক দিনের বন্ধুত্ব তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পরেছে। কিন্তু এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখলাম … এর মূল কারণ হচ্ছে অন্ধত্ব। অন্ধত্ব যে কোনো রকম হতে পারে। চোখের দৃষ্টি হারালেই যে অন্ধ হয় তা নয়।

এই অন্ধত্বের শিকার হয় মানুষের কোমল প্রাণ মন। অর্থাৎ মানসিক অন্ধত্ব। একবার মন যদি অন্ধ হয়ে যায় তাহলে সত্য মিথ্যার ফারাক বোঝা দায়। টিনের চশমা দিয়ে যেমন আকাশ দেখা যায়না তেমনি হৃদয়কে অন্ধ করে ভালোবাসা যায়না। এই অন্ধত্ব অনেক রকম হয় যেমন ধর্মান্ধ হতে পরে রাজনৈতিক মতাদর্শের অন্ধ। এই ক্ষেত্রে কেউ কারো চেয়ে কম না এরা কেউ হারতে জানেনা। সবার অবস্থা বুসের মত হয় আমার দলে না হয় ওর দলে। মধ্যবর্তী কিছু নেই।

এই অন্ধজনদের এতদিনের শালীনতা ভদ্রতা আজ যেনো হারিয়ে গেছে। এরা সবাই এখন এতটাই আক্রমনাত্মক হয়ে গেছে। যা পৈশাচিকতা হার মানায়। যার সাথে এই একটি ইস্যুতে মিল নাও হতে পারে কিন্তু নিবিড় ভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে অন্য আরো ১০টি ব্যাপারে মিল রয়েছে। কেনো ভাবি সবাই আমার মত করে চিন্তা করবে। প্রতিটি মানুষ আলাদা আলাদা মস্তিস্ক দিয়ে চিন্তা করে। তাহলে সে তার মতই ভাববে। এই অন্ধজনরা কেউই কিন্তু স্বেচ্ছা অন্ধত্ব গ্রহণ করেনা বেশীর ভাগই দেখা যায় বংশ পরম্পরায় পেয়ে থাকে, আরো সহজ করে বললে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।

যেমন কোনো আওয়ামী লীগের সমর্থকের সন্তানকে দেখা যায়না জামাত করে আবার দেখা যায়না কোনো বি এন পি সমার্থকের সন্তান লীগ করে। দু’একটি ব্যাতিক্রম আছে সেটা এতই কম যা উদাহরণ হিসেবে টানা যায়না। আমি ভাবি তাহলে এদের নিজের বিদ্যাবুদ্ধি কি কাজে লাগলো। তার মানে বলতে পারি এটা ডি এন এ প্রবলেম। এদের কোনো দোষ নেই। এবং অন্ধত্বের কারণে এরা নিজ দলের মন্দ দিক গুলো দেখতে পায়না।

শুধু অন্যের দোষই দেখতে পায়। এই কদিনের আন্দোলনে যাঁদের ভিতরে অল্প অন্ধত্ব ছিলো তারা পূর্ণ অন্ধত্ব গ্রহণ করেছে। যে হালকা আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করতো সে এখন একশ ভাগের উপরে সাপোর্ট করে এটা সমভাবে জামাত বি এন পির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বি এন পি কিছুটা স্পর্শকাতর অবস্থানে আছে কারণ দুষ্টের সাথে ঘর করলে যা হয়। না পারে কইতে না পারে সইতে, তুমি কি কুয়াশা… ধোঁয়া ধোঁয়া…ধোঁয়া। তবে এই ঘর আওয়ামী লীগও বেঁধেছিলো সেটা মানুষ হয়তো ভুলে গেছে কারণ আবেগ বেশী থাকলে স্মরণশক্তি কম থাকে এটাই স্বাভাবিক।

তবে বর্তমান সকল আলোচনাই অতীতকে ঘিরে, অতীতের একটা সুন্দর সমাধানের সাথে সাথে বর্তমানকে সুন্দর করে আগামীকে সুন্দর করতে গেলে কিছু জিনিস অবশ্য করণীয় যা তা হচ্ছে এমনি …মানবতা বিরোধী অপরাধীদের ফাঁসি হোক এবং সমূলে ধ্বংস হোক। সেই সাথে প্রচলিত ধারার সকল রাজনীতি বর্জন করা জরুরী, রাজাকারের ফাঁসি হবেই কিন্তু তারপর কি হবে?
এ কথা নতুন জেগে উঠা প্রজন্ম একবারও ভেবে দেখেছে কি? নাকি সেই প্রথাগত রাজনীতির অপশাসনের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ থাকবো ? আবারো কি চাই তারেক মামুনের খাম্বা ব্যবসা, নাকি আবুলে আবুলে সয়লাব। লুটপাট হত্যা ধর্ষন এসব কি আবার চাই? এদের হাতে বন্ধী থেকে উন্নতি আসবেনা কারণ দেশটা এদের কারো স্বামীর কারো বাপের। সেখানে আমাদের মত সাধারণ স্বপ্নচারী মানুষের কোনো স্থান নেই। তাই জেগে যখন উঠছেন অন্ধত্ব মুছে ফেলে সচ্ছ চোখে আন্দোলন করুন। আর এটাও মাথায় রাখতে হবে যে এই ইস্যু শেষ হলে দেশের জন্য কল্যাণকর কোনো ইস্যুতে শাহবাগে দাঁড়াতে পারবো তো ??

নোটঃ ঝটিকা পোষ্ট তাই বানান সারিয়া লইবেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×