ক্র্যাক প্লাটুন গঠিত করা হয়েছিলো ১৯৭১ এর মে-জুন মাসে ঢাকার ও পাশ্চবর্তী এলাকাগুল হতে আগত ছাত্রদের নিয়ে।এদের সার্বিক তক্তাবধনে ছিলেন কে ফোর্সের খালেদ মোশারফ ও তার টূ আই সি মেজর হায়দার।এরা প্রশিক্ষিত হয়ে জুলাই-আগস্টে ঢাকায় আরবান গেরিলা ওয়ার ফেয়ার শুরু করে।পাক-বাহিনী আক্রমনের ধবংশাত্বক ক্রিয়া দেখে হতচকিত হয়ে পড়ে।এসময় এরা টঙ্গীতে তিতাস গ্যাস-লাইন,রামপুরায় উলনে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সফল আঘাত হানে।এরা এখনকার হোটেল শেরাটন তৎকালীন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগনের সংগ্রামীযাত্রার খবর পৌছে দেন।
কিন্তু গতকালের দিনটা ২৯ আগস্ট ১৯৭১ এ আমাদের বীর যোদ্ধা গেরিলা বাহিনী ক্র্যাক প্লাটুনের জন্য এক মর্মান্তিক দিন।এ দিন রাজাকার ও আল বদরদের ইনফরমেশনে পাক-বাহিনী রুমী,বদি,আজাদ,চুল্লু সহ আরো অনেককে গ্রেফতার করে ফেলে।তাদের ব্যাপক নির্যাতনের মাধ্যমে অস্ত্রের ভান্ডারের খবর বলতেও বাধ্য করা হয়।সাথে গ্রেফতার করে বরেন্য সুরকার আলতাফ মাহমুদকে।তাকে ভয়ানক নির্যাতন করা হয়।এর পর তাদের আর কখনো কোন খোজ পাওয়া যায়নি।
এদের গ্রেফতারের খবর জানার পর ক্র্যাক প্লাটুনের স্রস্টা কে ফোর্সের বীর-যোদ্ধা খালেদ মোশারফ শোকে বিহবল হয়ে যান।মেজর হায়দার মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদেন।
এ বাহিনীর জীবিত সদস্যরা হলেন বর্তমানে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা,কিংবদন্তী পপ গায়ক আযম খান,আওয়ামি লিগের মোফাজ্জল হোসেন মায়া,চুল্লু,নাসিরুদ্দীন বাচ্চু,শহিদুল্লাহ খান বাদল,ইশতিয়াক আজিজ উলফাত আরো প্রমুখ।