মফিজরা নিজের শিকড় না ভোলার পাপে (!?) জর্জরিত। সারা বছর ঢাকার দুরারোগ্য ট্রাফিক জ্যামে তারা নির্যাতিত। গ্রামের বাড়ীতে যেতে আসতেও নানা ভোগান্তি আর হয়রানী তাদের নিত্যসঙ্গী। সেই বেদনা করুণতম রূপ ধারণ করে ঈদের সময় যখন শিকড়ের টানে মফিজরা ঘরমুখো হয়। প্রতি বছর প্রতি ঈদে এর পুনরাবৃত্তি হয়।
টিকিট কিনতে হয় নতুনকরে শেখা গুন করা দামে। সেটাও খুব দ্রুত হাওয়া হয়ে যায়। আবার আরো কিছু টাকা বাড়ালে হাওয়া থেকেও টিকিট পাওয়া যায়। ( এটাকে ঢাকার ভদ্রলোকেরা কালো বাজার নামে সাদরে ডাকেন) এরসাথে বাস,ট্রেন,ট্রাক,লঞ্চের ছাদতো আছেই। সাথে প্রতি ঈদের সড়ক/নৌ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যুও জোট বাঁধে। এবার তো নীরব আকাশের নীচের ততোধিক নীরব নদীতে ডুবে গেলো জ্বলজ্যন্ত একটা লঞ্চ।
এর সাথে এক মর্মন্তুদ সখ্য গড়ে জ্যাম। ঢাকা থেকে নোয়াখালী যেতে এবার ৪ ঘণ্টার জায়গায় ১১/১২ ঘণ্টা লেগেছে। রংপুর যেতে লেগেছে ৩৪ ঘণ্টাও। ফলে ঈদের অনেক কাজ ব্যাহত ( গরু কেনা/অন্যান্য বাজার)। শেষ মুহূর্তে কিনতে গিয়ে গুনতে হয় অহেতুক বাড়তি টাকা। বছরের পর বছর একই গল্পের পুনরাবৃতি হয়।
কেউ কি নেই এই মফিজদের দেখার জন্য?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৫