somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এইডস প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ? ।। বিশ্ব এইডস দিবসের ভাবনা

০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, বাংলাদেশের বিবাহিত নারীদের শতকরা ৮৯ ভাগ যৌনরোগ সম্পর্কে অজ্ঞ। ১৫-১৯ বয়সের ৯৬ শতাংশ মেয়েদের এইডস সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণাই নেই। এদের কেউই জানে না কিভাবে নিজেদেরকে এইডস বা এইচআইভি পজিটিভের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মোতাবেক বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে হয়তো একজনও এইডস আক্রান্ত নয়, তারপরও কোনোভাবেই এটি ঝুঁকিমুক্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। বরং আশঙ্কা, বাংলাদেশে নারীদের অবস্থান, অজ্ঞতা, অসচেতনতা, শিক্ষার নিম্নহার, সর্বোপরি দারিদ্র্যের কারণে দিন দিন এইডস সর্বোচ্চ হুমকি হিসেবে জাতীয় অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে যখন বিশ্বব্যাপী এইডস ছড়িয়ে পড়ে সে সময় মনে করা হতো এটি কেবল একটি যৌনরোগ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ইস্যু। এই রোগটি কেবল সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ অথবা যৌনকর্মীদের মাধ্যমে ছড়ায়। পরে ১৯৯৬ সালের জুন মাসের এক গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বে ২১.৮ মিলিয়ন নারী-পুরুষ এবং শিশুরা এইচআইভি কিংবা এইডসে আক্রান্ত। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে যারা এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছে, তার অধিকাংশই নারী।]

এইডস। ঘাতক ব্যাধি। ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম এর ভাইরাস- এইচআইভি সনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে । এবং ১৯৮৩ সালে এইচআইভি ভাইরাস এইডসের মূল কারণ উল্লেখ করা হয়। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের অনেক দেশেই এ রোগের বিস্তার পরিলক্ষিত হয়।

বিশ্বব্যাপী এইডসের সাম্প্রতিক বিস্তারচিত্র আশঙ্কাজনক। প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এইডসে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে এইডস রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। ২০০৫ সালেই বিশ্বে প্রায় ৩১ লাখ লোক এই ব্যাধিতে মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে এ রোগের প্রতি সচেতনা বৃষ্টিতে সংক্রমিতদের সংখ্যা কমে আসছে। তবে উন্নত দেশের চেয়ে উন্নয়নশীল দেশে এই রোগের বিস্তার প্রায় পঁচানব্বই শতাংশ।

আফ্রিকায় এইডস পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক। প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে এইডস দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। ভারতে প্রতি হাজারে সাত জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশেও এ রোগের বিস্তার ভয়াবহ। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত প্রায় বার'শ’ রোগির দেহে এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৭৪ জন ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে।

UNAIDS-এর তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে প্রতি বছর নতুনভাবে এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অর্ধেকের বয়স ২৫ বছরের কম। তাদের বেশিরভাগই এইডস সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানে না। ফলে এই রোগ সম্পর্কে অজ্ঞতা ও অসচেতনতা অসংখ্য মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সমীক্ষা মতে, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় আট হাজার মানুষ এইডসে মারা যায়। এবং এদের অধিকাংশই কম বয়সি।

বিশ্বব্যাপী নতুনভাবে এইচআইভিতে আক্রান্তদের পঞ্চাশ শতাংশই হচ্ছে যুবসমাজ। এইডস বিস্তারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে অনিরাপদ যৌনমিলন। এ সমস্যা অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রকট। এখানে পেশাদার যৌনকর্মীর সাপ্তাহিক গড় যৌনসঙ্গী গ্রহণ সংখ্যা প্রায় ৪৪ জন, যা এশিয়ার যে কোনো দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এদের মধ্যে নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহারের হার শতকরা মাত্র দুই থেকে চার ভাগ।

ইনজেকশনের মাধ্যমে যারা মাদক নেয় তাদের একই সিরিঞ্জ বহুজনে ব্যবহারের কারণে এইচআইভি কিংবা এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। শতকরা প্রায় পাঁচ জনের রক্তে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে যা এই মাদকসেবীদের মাধ্যমে মহামারী পর্যায়ে পৌঁছেছে। একই সিরিঞ্জ বহুজনে ব্যবহার কারীদের প্রতি দশ জনের মধ্যে সাত জনের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ কারণে এইচআইভি কিংবা এইডস আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের দেশে রক্ত গ্রহণের আগে অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষা করা হয় না। পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের মধ্যে এইচআইভিসহ হেপাটাইটিস ভাইরাস থাকতে পারে যা রক্ত পরিসঞ্চালনের সময় সুস্থ ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করে তার অজান্তেই তাকে দুরারোগ্য কিংবা মরণব্যাধিতে আক্রান্ত করে।

বিশ্বে এইচআইভি বহনকারী মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের বসবাস সাহারার দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকীয় দেশগুলোতে। এই অঞ্চলের পঁচিশ লাখ লোক এইডস রোগে ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। এবং বত্রিশ লাখ মানুষ নতুনভাবে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে শতকরা ষাট ভাগ নারী। রাশিয়াতে শতকরা আটত্রিশ জন নারী এইডস আক্রান্ত; দু’বছর আগেও যা ছিল মাত্র চব্বিশ জনে।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা পরিস্থিতি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বর্তমান পৃথিবীতে এইচআইভি আক্রান্ত যুবকের সংখ্যা পঁয়তাল্লিশ লাখ, অথচ নারীর সংখ্যা তিয়াত্তর লাখ। ইউএনএফপি কর্তৃক প্রকাশিত ‘চতুর্থ গ্লোবাল রিপোর্ট অন এইডস এপিডেমিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বিশ্বে এইচআইভি সংক্রমিতদের শতকরা একচল্লিশ জন ছিল নারী, যা পরে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় শতকরা পঞ্চাশ জনে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এইডস আক্রান্তদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের পঁচিশ ভাগেরও বেশি এবং অল্পবয়স্কদের চল্লিশ ভাগেরও বেশি হচ্ছে নারী। বিশ্বজুড়েই পুরুষ বা ছেলেশিশুর তুলনায় কন্যাশিশু ও নারীদের এইচআইভি সংক্রমণের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যমতে, ভারতে এইডস আক্রান্ত নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশই আক্রান্ত হয়েছে তাদের স্বামীদের মাধ্যমে। আশির দশকের শুরুর দিকে সে দেশে এইচআইভি পজিটিভ নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু এরপর থেকেই পজিটিভ নারীর সংখ্যা আনুপাতিক হারে বাড়তে থাকে। বর্তমানে সেখানে এইচআইভি পজিটিভের অর্ধেকই নারী। বাংলাদেশের চিত্রও প্রায় কাছাকাছি।

দক্ষিণ এশিয়ার যেসব দেশে পাচারপ্রবণতা বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে পাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। পাচার হয়েযাওয়া এসব নারীর অধিকাংশই যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত হতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশে ১৪টি নিবন্ধিত পতিতালয়সহ ভাসমান যৌনকর্মীর কারো পক্ষে নিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে যৌন ব্যবসা করা সম্ভব হয় না। যৌনকর্মীরা পণ্য, সেবা বা অর্থের বিনিময়ে পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য হয়। পুরুষ মক্কেলরা যেভাবেই ভোগ চায় সেভাবেই তারা ব্যবহৃত হতে বাধ্য হয়। নিরাপদ যৌন সম্পর্কের অভিব্যক্তি খদ্দেরের বিরক্তর কারণ হতে পারে এই ভয়েও অনেক যৌনকর্মী নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়।

বাংলাদেশে ভারত, নেপালসহ প্রতিবেশী অনেক দেশ থেকে ট্রাকচালক, হেলপার, জাহাজের খালাসি এবং অনেক ব্যক্তি ব্যবসায়িক কাজে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করছে। এরা অনেকেই বিভিন্ন পতিতালয়ে গিয়ে কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াই যৌনকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়, যা এইডস বিস্তারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত।

এফপিএবির চতুর্থ সেরো অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল সার্ভিলেন্সের একটি জরিপ থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের শতকরা ৬৯ ভাগ ট্রাক ড্রাইভার এবং রিকশাচালক যৌনকর্মীদের সঙ্গে যৌনকর্মে মিলিত হয়। এর মধ্যে ট্রাক শ্রমিকের শতকরা ৫২ ভাগ এবং রিকশাচালকদের শতকরা ৭৫ ভাগ বিবাহিত। ফলে এদের স্ত্রীদের এইডসে আক্রান্ত হওয়ার হার শতকরা প্রায় ৬ ভাগ। বাংলাদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ নারী পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক কোনো বিষয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত থাকে না। এমনকি শিক্ষিত, নিরর, উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত কোনো নারীর পক্ষে যৌন মিলনে শারীরিক স্বাধীনতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এটি অনেকাংশে নির্ভর করে পুরুষদের সিদ্ধান্তের ওপর। ফলে নারীর জন্য এইচআইভির ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চিকিতসকদের মতে, প্রাকৃতিক বা শারীরিক গঠনগত কারণে একজন নারী থেকে পুরুষে এইচআইভি সংক্রমণের তুলনায় পুরুষ থেকে নারীতে সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রায় দুই থেকে আড়াই ভাগ বেশি। এইডস বা এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা সামাজিক, পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে মুখ খোলে না। অধিকাংশ সময় এইডস আক্রান্ত পুরুষরা তাদের সঙ্গীর আস্থা হারিয়ে ফেলবে এই ভয়ে ভীত থাকে। ফলে সময়ের সাথে এটি জটিল আকার ধারণ করছে। পুরুষদের এই গোপনীয়তার কারণে স্ত্রী এবং পরবর্তীকালে শিশুরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।

অথচ এইচআইভি পজিটিভ রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মমাফিক জীবনযাপন করলে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। জাতিসংঘ এইচআইভি কিংবা এইডস কর্মসূচি ইউএন এইডস ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের অজ্ঞতা, দরিদ্রতা, নির্যাতন, অনিরাপদ অভিবাসনসহ নারীর পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থানের অধস্তনতা মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, বাংলাদেশের বিবাহিত নারীদের শতকরা ৮৯ ভাগ যৌনরোগ সম্পর্কে অজ্ঞ। ১৫-১৯ বয়সের ৯৬ শতাংশ মেয়েদের এইডস সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণাই নেই। এদের কেউই জানে না কিভাবে নিজেদেরকে এইডস বা এইচআইভি পজিটিভের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মোতাবেক বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে হয়তো একজনও এইডস আক্রান্ত নয়, তারপরও কোনোভাবেই এটি ঝুঁকিমুক্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। বরং আশঙ্কা, বাংলাদেশে নারীদের অবস্থান, অজ্ঞতা, অসচেতনতা, শিক্ষার নিম্নহার, সর্বোপরি দারিদ্র্যের কারণে দিন দিন এইডস সর্বোচ্চ হুমকি হিসেবে জাতীয় অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

১৯৮০ সালের প্রথম দিকে যখন বিশ্বব্যাপী এইডস ছড়িয়ে পড়ে সে সময় মনে করা হতো এটি কেবল একটি যৌনরোগ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ইস্যু। এই রোগটি কেবল সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ অথবা যৌনকর্মীদের মাধ্যমে ছড়ায়। পরে ১৯৯৬ সালের জুন মাসের এক গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্বে ২১.৮ মিলিয়ন নারী-পুরুষ এবং শিশুরা এইচআইভি কিংবা এইডসে আক্রান্ত। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে যারা এইচআইভি আক্রান্ত হয়েছে, তার অধিকাংশই নারী।

কারণ হিসেবে জেন্ডার বৈষম্যকে চিহ্নিত করা হয়। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নারী-পুরুষের মধ্যে অসম অবস্থা বিরাজমান। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও জেন্ডার বৈষম্য প্রকট। একজন বিবাহিত নারী যদি কোনো কারণে যৌনরোগে আক্রান্ত হয় তখন চিকিতসার ক্ষেত্রেও সে বৈষম্যের শিকার হয়। এইচআইভি এবং এইডস প্রতিরোধে জেন্ডার সেনসেটিভ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কেননা একজন নারীর পক্ষে যদি নিজের শরীর সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয় তবে এইচআইভি ও এইডসের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। নারীরা শিক্ষিত এবং সচেতন হলে প্রাথমিক অবস্থাতেই তারা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, যা বিভিন্ন যৌনরোগসহ এইচআইভি এবং এইডসের হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করবে। এইচআইভি এবং এইডস আক্রান্ত নারী-পুরুষের পারস্পরিক সহায়তামূলক আচরণ এবং যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে এ রোগের বিস্তার রোধ সম্ভব। এইচআইভি কিংবা এইডসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে দেশের প্রতিটি স্তরে জেন্ডার-সেনসিটিভ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে এইচআইভি সম্পর্কে এবং সংক্রমণ রোধের জন্য তাদের গ্রহণীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট লিঙ্গভিত্তিক তথ্য প্রদান করা জরুরি। নেতিবাচক চাপ প্রতিহত করে কিশোরী ও নারীরা যাতে নিজস্ব মতে সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত নিতে পারে এজন্য তাদের সামর্থ্যরে বিকাশ ঘটাতে হবে। মূলত নারীর ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়েই অনেকাংশে এইচআইভি বা এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

তুমি অজ্ঞ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫২


ভাবতে পারো
৮০ টুকরো হতে হয়;
ভাবতে পারো
জ্বলে পুড়ে মরতে হয়!
ভাবতে পারো
কতটুকু লোভ লালসা
থাকলে পরে
এমন হবে বলো দেখি;
ভাবতে পারো
কেমন জন্ম মৃত্যুর খেলা;
জানি আমি
তুমি কিছু ভাবতে পারবে না
কারণ তুমি অজ্ঞ
মৃত্যুর পরে একা... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×