somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি চিঠি এবং অনামিকা

০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি চিঠি এবং অনামিকা

প্রিয় এডগার এ্যালান পো,

অবশেষে তোমাদের ভূমিতে আমার প্রত্যাবর্তন হলো। এখনো তোমার সাথে আমার দেখা হয়নি ।আশা করছি দেখা হবে। কিছুদিন হলো এখানে এসেছি। আশা করছি তোমার সাথে শীঘ্রই দেখা হবে। তার আগে এই চিঠিটা লেখার প্রয়োজন বোধ করলাম। দুঃখের বিষয় এখানে এসে আমার আপন কারও সাথে এখনো দেখা হয়নি। কারও বাড়িও চিনিনা। তোমার ঠিকানাটা এখানকার পোস্ট মাস্টারের কাছ থেকে নিয়েছি। আমি আশ্চর্য হয়েছি আমাদের পোস্টমাস্টারের দায়িত্বে আছেন গীনসবার্গ। তিনি আমাকে চিনতে পারেননি। এটা ভালো লাগছে ধীরে ধীরে সবার সাথেই দেখা হবে। এখানে এসে সবার আগে তোমাকেই মনে পড়ল। তাই বিস্তারিত তোমাকেই জানাচ্ছি। পনের দিন আগের ঘটনা। অন্যমনস্কভাবে রাস্তা পার হবার সময়একটি দৈত্যাকৃতি বাস আমায় থেতলে দিয়ে যায়। এবং আমার লাশ মিউনাসিলিটির একটি পিকআপ এসে নিয়ে যায়। এবং আমাকে অগ্যাত ও চিনতে না পারায় কোনো ময়না তদন্ত ছাড়াই ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়। মরে যাবার পর কী হলো তাতে আমার মাথা ব্যাথা নেই। শকুনে খেলো না কুকুরে খেলো না পোকায় খেলো এতে আমার কিছু এসে যায় না। মার জন্য কষ্ট হয়। মা আর আমাকে দেখতে পাবে না। আজ পনের দিন মা আমাকে খুঁজে পাচ্ছে না। তার ধারণা আমি আত্মহত্যা করেছি । কারণ আমার জন্মেও পরে দাদা জ্যোতিষি দিয়ে কোষ্ঠী বিচার করে দেখেছে আমি আত্মহত্যা করবো। আমার প্রেমিকারাও দলে দলে তাই এসে বলে যাচ্ছে। সারা বলছে আপনার ছেলে মেঘনায় ঝাপ দিয়েছে। মেঘনা আমার প্রিয় নদী ।এভাবে না মরলে হয়ত আমি মেঘনায় ঝাপ দিয়েই মরতাম।যাহোক যেজন্যে তোমাকে চিঠিটা লিখলাম। সে কথাই এখন বলবো। আমি জানি তোমার মন ভাল নেই। তোমার বউ র‌্যাবোর সাথে চলে গেছে। এ নিয়ে মন খারাপ করোনা নতুন একটা প্রেমিকা খুঁজে নিতে পারো। বউরা যে কেন যায়! জানা যায় না। জানি বিরক্ত হচ্ছ। আমার ভালো লাগে ওদের চিন্তাগুলো। মনে হয় অনেক বেশি সুরিয়াস্টি ,প্যারডক্স আর বেশির ভাগ ক্যাপিটালিস্টের মিশ্রণ। হয়ত তুমি একটা গাছ পছন্দ কর কিন্তু সে করে না। তা নিয়ে একটি পোস্টমর্ডানিস্ট নোভেলেট হয়ে যেতে পারে। অনেক কথা বলে ফেললাম। এবার আমার কথায় আসি। আমাকে বাসটি থেতলে দেবার আগে বেশ কয়েকদিন ধরে একটি গল্প মাথায় পোষছিলাম। হাঁটতে চলতে সব সময় গল্পটা থাকত। ভেবেছিলাম বাসায় ফিরে গল্পটা লিখে ফেলব। কিন্তু লেখা হয়নি। আজ তোমাকে সেই গল্পটাই বলব। মাথাটা থেতলে মগজটা ছিটকে গেলো এক ভিুকের থালায়। সে সেটা তার টিউমার বানিয়ে বেশ কয়দিন ভিা করল। হঠাৎ একদিন দেখা যায় ঐ ভিুক একজন জ্যোতিষি হয়ে ওঠে। আমার মাথার মগজটাই হয়ত তাকে পাল্টে দেয়। একদিন তাকে এক বিদেশী হাই কমিশনারের বাসায় দেখা যায়। তার সামনে হরেক রকমের খাবার। হাই কমিশনারের স্ত্রী এক বাঙালী চিত্রশিল্পীর প্রেমে পড়েছে । মহিলাটি চায় তার স্বামীকে ছেড়ে ঐ বাঙালী ছেলেটার সাথে চলে যেতে। জ্যোতিষিটির কাছে মহিলাটি জানতে চায় কীভাবে সে সফল হতে পারে। জ্যোতিষি জানায় তার স্বামী বিষয়টি জাননার পর আর তার সাথে থাকবে না। তোমার কাছে অদ্ভুত মনে হবে ঐ ফকির জ্যোতিষিটি সত্যিই সফলতা অর্জন করে। এবং অনেক টাকা বকশিসও পায়। কিন্তু ফকির জ্যোতিষিটি একটি বিশেষ আবদার করে বসে ঐ বিদেশীনির কাছে সেটা না করলে তাদের সফলতা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে এই অজুহাতে বিদেশীনির সাথে ফকির জ্যোতিষিটি এক রাত কাটায়। এরপর যা ঘটল তা তুমি নিশ্চই আন্দাজ করতে পারছ। বিদেশীনি ঐ বাঙালী চিত্রশিল্পীকে ছেড়ে ফকিরের সাথে পথে বের হয়ে যায়। এটি আমার গল্প নয় ইহ জগতের প্যারালাল গল্পগুলিও আমাকে টানে। আমি এদের এড়াতে পারি না। এবার গল্পটা শুরু করছি। আশা করছি তোমার বিরক্তি কিছুটা কমেছে। শোন তবে- ১০ কি ১১ বছরের একটি বালিকা স্কুল ছুটির পর রাস্তার এক পাশে দাড়িয়ে থাকে। দেখলে তোমার মনে হবে না সে কারও জন্যে অপো করছে। বরং মনে হবে সে দেখছে বা ভাবছে। এটি খেয়াল করে সৌভিক নামের এক যুবক। সেও প্রতিদিন ঐ রাস্তা ধরে টিউশনি করতে যায়। তাদেও মাঝে চোখাচোখি হয় কিন্তু কথা হয় না। একদিন সৌভিক নিজেই এগিয়ে যায় কথা বলার জন্য। কিন্তু সে ল্য করে মেয়েটির মাঝে চরম অনাগ্রহ। তবুও সে বলে ফেলে, প্রতিদিন একি সময়ে একি জায়গায় দাড়িয়ে থাকো কেন?
-এমনি।
Ñকিছু কি ভাবো না দেখো?
-ভাবি।
Ñকী?
Ñ এক রাজকন্যার কথা।
Ñতুমি থাকো কোথায়?
Ñধারেকাছে কোথাও।
সৌভিক ভেবেছিল মেয়েটি হয়ত তার কথার উত্তর দিবে না।
সৌভিক বলে,তুমিতো বাসায় গিয়ে ভাবতে পারো নিজের ঘরে। ঐটা ভালো নিরিবিলি পরিবেশ; ভাবনার জন্য অনুক’ল।
Ñবাসায় আমি ভাবতে পারি না। বাসার লোকদের মুখ চোখে পড়তেই আমার ভাবনা চলে যায়। তাছাড়া ঠিক এই জায়গাটিতেই রাজকন্যার কথা আমার মাথায় আসে।
Ñএটা কি কোনো রূপকথা গল্পের রাজকন্যা যার কথা তুমি ভুলতে পারছো না?
Ñনা।
Ñতবে?
Ñআমি জানি না। তার হাতে হীরের আংটি।
Ñমানে!
Ñরাজা তার রাজত্ব হারিয়েছে বহুকাল। তাদের অন্নের সংস্থান নেই। রাজা রাজকন্যাকে বলে, মা তোমার হাতের আংটিটা দাও ওটা বিক্রি করে আমরা কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারবো কোনো কাজ না হওয়া পর্যন্ত। রাজকন্যা ওটা দিতে নারাজ। রাজারও ওটা ছাড়া উপায় নেই। রাজা চিন্তা করে কীভাবে ওটা হস্তগত করা যায়। চারদিন না খাওয়া ওটা না বিক্রি করলে না করলে হয়ত একদিনও আর বাঁচতে পারবে না।
সৌভিক কথার মাঝখানে বলে, এসো আমরা কফি সপে বসি। তারপরর কফি খেতে খেতে তোমার বাকী গল্পটা শোনা যাবে। তারা কফি সপে গিয়ে বসে। কফি আসে। তারা কফিতে চুমুক দেয়। এবার সৌভিক বলে,এবার শুরু কর। মেয়েটি বলে, আজ আমার হাতে সময় নেই বাকীটা কাল বলব। সৌভিক হতাশ হয়। তাদের কফি খাওয়া শেষ হয়। মেয়েটি বলে, এখন আমাকে ওঠতে হবে। এবং তারা ওঠে পড়ে।
সৌভিক কফির টাকা মিটাতে গেলে মেয়েটি তাকে বাঁধা দেয় বলে,এখানে প্রতিদিন আমি কফি পান করি। মাস শেষে টাকা দেই অতএব আপনাকে টাকা দিতে হচ্ছে না। সৌভিক মেয়েটির কথা বলার ভংিঙ্গ দেখে। সে কথায় শবদ ব্যবহারেও পারদর্শি। সৌভিক বলে, চলো তোমাকে পৌছে দেই?
-না। আমি একাই যাই।
সৌভিক বুঝতে পারে মেয়েটি তাকে বাসা চেনাতে চায় না। তাই সে কথা না বাড়িয়ে নিজের মত করে বাড়ি ফিরো আসে। সেদিন আর তার পড়াতে যাওয়া হয় না।
সৌভিক পরের দিন আবার মেয়েটির স্কুলের সামনে দিয়ে যায় কিন্তু মেয়েটিকে দেখতে পায় না। কিছুটা সময় অপোও করে। তারপর চলে যায়। এভাবে সৌভিক মেয়েটি এক সপ্তাহ ধরে দেখতে পায় না। মেয়েটির জন্য একরকম ছটফটানি অনুভব কওে ব ুকের ভেতর। আরও এক সপ্তাহ গেলে সে কিছুটা হালকা হয়। সময়টা বর্ষাকাল। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ঘন্টা দুই ধরে। এদিকে সৌভিককে পড়াতে বের হতে হবে। ইচ্ছা না থাকা সত্বেও তাকে ছাতা নিয়ে বের হতে হয় কারণ এই কয়েকদিন বাচ্চাদেরও সে ঠিকঠাক পড়াতে পারেনি। অন্যমনস্ক হয়ে থাকত। ভাল করে না পড়ালে হয়ত টিউশনিগুলি চলে যাবে। পথে পানি জমে গেছে প্যান্ট বল্টিয়ে সে মেয়েটির স্কুল পাস করতে গেলে চোখ পড়ে মেয়েটি ঐ কফি সপে ঢুকছে। সে দৌড়ে ছুটে যায়। মেয়েটির সামনে যেতেই সে বুঝতে পারে আসেলে সেই মেয়েটি না। তাকে হতাশ হয়ে পড়াতে চলে যেতে হয়। সে এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐ পুরো ব্যাপারটা আসলে তার বিভ্রম ছিলো। সে মেয়েটির দেখা পাওয়ার আশা ছেড়ে দেয়।এরপর আর সে মেয়েটির দেখা পায়নি। সৌভিক চাকরি পায়। এখন আর ঐ পথে তাকে পড়াতে যেতে হয় না।সকাল আটটার মধ্যে তাকে অফিসে রওনা দিতে হয়। এক বর্ষা গিয়ে আরেক বর্ষা আসে। সে ছাতা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। এটা কখনও ঘটতে পারে তা গল্পকারেও মাথায় আসে না। ঐ মেয়েটি মানে সেই মেয়েটি তার বাড়ির নিচে দাঁড়ানো। মেয়েটি তার বাড়ি চিনল কী করে। সে তা ভেবে পায় না।
মেয়েটি বলে, কেমন আছেন?
Ñভালো। কোথা থেকে এলে এতদিন পর। তুমি কি আর ঐ স্কুলে পড় না?
Ñপড়ি।
Ñতাহলে এতদিন যে তোমাকে দেখতে পেলাম না।
Ñচলেন আজ আমরা ঐ কফি সপে গিয়ে কফি খাবো।
Ñআমাকেতো অফিসে যেতে হবে।
Ñআজ না হয় আমার জন্য না যান।
সৌভিক মেনে নেয়। তারা একটি রিক্সায় করে সেই কফি সপে আসে। পিছনের দিকে একটি টেবিলে গিয়ে তারা বসে। আবারও সেই কফি আসে। তারা এক সাথে কফিতে চুমুক দেয়।
সৌভিক বলে,এখন তোমার খবর বল। আর তোমার সেই রাজকন্যা।
মেয়েটির মুখ গম্ভীর হয়ে যায়। তারপর বলে, সব ঠিকঠাক আছে।
মেয়েটি কিছুসময় চুপ থেকে বলে,রাজকন্যার গল্পের পরিসমাপ্তি হয়েছে।
Ñকী হলো আমাকে বলো।
Ñবলব।
মেয়েটি ব্যাগ থেকে একটি ডায়রি বের করে সৌভিকের দিকে এগিয়ে দেয়। এটা আপনার জন্য।
Ñধন্যবাদ। অনেক সুন্দর।
মেয়েটি মাথা নিচু করে বলতে থাকে রাজা রাজকুমারীর আংটিটি নিয়ে নেয়।
Ñকীভাবে নিলো?
Ñরাজকুমারী সেদিন না খেতে পেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রাজা আর কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে রাজকুমারীর অনামিকায় লাগানো আংটিটি আঙুলসহ কেটে নেয় কারণ আংটিটি স্বাভাবিকভাবে খোলা সম্ভব ছিল না। তখনকার রেওয়াজ এমন ছিল রাজকুমারীদের হাতে হীরের আংটি পড়ালে সেটা খুলতে পারা যেত না। ওটা এমনভাবেই আঙুলে পড়ানো হত। রাজকুমারী তখন সাথে সাথে মূর্ছা যায়। রাজা ঐ আংটি বিক্রি কওে খাবারের ব্যবস্থা করে। কিন্তু রাজকুমারী খাবে না। সে কিছুতেই খাবে না। অনেক চেষ্টা করেও রাজা তাকে খাওয়াতে পারেনি। তার দুইদিন পর রাজকুমারী মারা যায়।
Ñস্যাড!
Ñস্যাড কেন?
Ñভয়াবহ গল্প। এমন গল্প তোমার মাথায় এলো কী করে?
Ñবানিয়েছি।
Ñঅসাধারন।
Ñঅসাধারন বলার কিছু নেই।
Ñকেন?
মেয়েটি তার বাঁ হাত তুলে রাখে টেবিলের উপর। সৌভিক অবাক হয়ে হাতের দিকে চেয়ে থাকে।
তারপর চিৎকার করে বলে তোমার অনামিকাটি কোখায়?
Ñনেই।
Ñমানে!
Ñআজ থেকে আমরা ভালো বন্ধু।
Ñআমার কথার উত্তর দাও। কীভাবে এটা হারালে?
Ñএর উত্তর আমি দিতে পারবো না।
Ñকেন?
Ñসব কিছুর উত্তর হয় না। আপনি কি আমার হাতটা একটু ধরবেন।
সৌভিক হতভম্ব হয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকে।
Ñআপনি যদি আমার হাতটি না ধরেন তবে হয়ত মধ্যমাটিও থাকবে না।
সৌভিক মেয়েটির হাত তার হাতের মুঠোয় পুরে নেয়। তার শরীরে এক ঝলক শীতল রক্ত বয়ে যায়। সে টের পায়।
মেয়েটি বলে, বৃষ্টি কিন্তু এখনও হচ্ছে চলুন আমরা ছাতা নিয়ে হাঁটতে বের হই। সৌভিক রাজী হয়। তারা কফি সপ থেকে বের হয়ে হাঁটতে রমনায় এসে পৌছায়। তারা এখন একটি বকুল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকেই দেখছে দুজন অসমবয়সি ছেলে মেয়ে ছাতার নিছে। মেয়েটি খিলখিল করে হাসছে।
Ñহাসছো কেন?
Ñআমার ভালো লাগছে মনে হচ্ছে আমি বড় হয়ে গেছি ।
Ñতাই নাকী। পুচকিটা বলে কী!
Ñআমি পুচকি না। আমি তোমার বয়সি।
সৌভিক তার কথা শুনে হাসে। কিন্তু মেয়েটির মুখ গম্ভীর হয়ে যায়।
মেয়েটি বলে, আমার হাতে ছাতাটা দিন।
Ñকেন?
Ñএমনি।
সে মেয়েটির হাতে ছাতাটি দেয়। মেয়েটি ছাতাটি হাতে নিয়ে ঝড়ো বাতাসে ছেড়ে দেয়। অনেক দূর গিয়ে ছাতাটি পড়ে।
Ñএটা কি করলে এখনতো আমরা ভিজবো।
Ñভেজার জন্যই ফেলছি।
Ñএখন বুঝতে পারছি তুমি বড় হয়েছ।
Ñনা আপনি বুঝেননি।
সৌভিক চুপ করে থাকে।
মুষল ধারে বৃষ্টি আরও বাড়তে থাকে। তারা দুজনই ভিজে চুপচুপ হয়ে আছে।
আচমকা বিদ্যুৎ চমকানোর মত বলে ফেলে,আমি বড় হয়ে গেছি আপনার মুখ দেখে।
-আমার মুখ দেখে !
Ñআপনি প্রেমে পড়েছেন।
Ñনা।এটা হতেই পারে না।
Ñহ্যাঁ এটাই ঠিক। আপনি কিন্তু আমার বাঁ হাতটি এখনও ধরে আছেন। সৌভিক এতখন খেয়াল করেনি। তার ভালো লাগে মেয়েটির হাত ধরে রাখতে সে তবুও ছাড়ে না মেয়েটির কথায়।
বকুল ফুল ঝরে পড়ছে তাদের গায়ে।
মেয়েটি বলে আপনার ডান হাতটি এবার আমার বুকে রাখুন। বুঝুন আমি বড় হয়েছি।
সৌভিকের হাত কাঁপছে।
Ñমেয়েটি বলে রাখুন।
কিন্তু সৌভিক পাড়ছে না।
Ñআমি জানি আপনি পারবেন না।
এবার মেয়েটি নিজেই সৌভিকের ডান হাতটি তুলে তার সবুজ আকাশী মেরুন রঙের বুকের উপর ধরে
রাখে।

প্রিয় পো,গল্পটা আমি শেষ করতে পারিনি। কারণ এর আগেই আমাকে থেতলে দিয়েছিল ঐ বাসটি। সাাতে বাকীটুকু বলব। তার আগে সমাপ্তিটা আমাকে ভাবতে হবে। ভালো থেকো।

তোমার স্নেহের


Ñ
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে চিরতরে যুদ্ধ বন্ধের একটা সুযোগ এসেছিল!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩


মনে হয় শুধু মানুষের কল্পনাতেই এমন প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন সম্ভব- যদি বাস্তবে হত তবে কেমন হত ভাবুন তো?
প্রত্যেকটি দেশের সমস্ত রকমের সৈন্যদল ভেঙে দেওয়া; সমস্ত অস্ত্র এবং সমর-সম্ভার, দুর্গ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

টুইস্টেড মাইন্ড অফ আ সিরিয়াল কিলারঃ কবি কালিদাস স্পেশাল

লিখেছেন এইচ তালুকদার, ২৭ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



সিরিয়াল কিলারদের নিয়ে আমার আগ্রহ শুরু হয় এই ব্লগেরই একজন অসাধারন ব্লগার ''ডক্টর এক্স'' এর লেখা পড়তে যেয়ে। বাংলা ভাষায় সাইকোলজির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেলফ হেল্প ধরনের অসাধারন কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিলিস্তিনে কী শান্তি সম্ভব!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:২১

এক.
প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আলজাজিরা দেখি৷ গাজার যুদ্ধ দেখি৷ রক্ত দেখি৷ লাল লাল৷ ছোপ ছোপ৷ সদ্য জন্মানো শিশুর৷ নারীর৷ কিশোর কিশোরীর৷ বৃদ্ধের৷ সারি সারি লাশ৷ সাদা কাফনে মোড়ানো৷ ভবনে চাপা পড়া৷... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রাকৃতিক দূর্যোগে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫

আমার জীবনে আমি সরাসরি প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভেতরে পড়েছি বলে আমার মনে পড়ে না । ২০১৯ সালের ঘটনা। ঘূর্ণিঝড়ের নাম সেবার ছিল সম্ভবত বুলবুল ! সেটা যখন আসছিল তখন আমি ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্কাই ডাইভিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টায় সফল বাংলাদেশের আশিক চৌধুরী

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৭ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬




দেশে এখন চলছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তান্ডব। তার মধ্যেই সুখবর এলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে-

বিশ্ব রেকর্ড গড়তে ৪১ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে যাওয়া বিমান থেকে শূন্যে লাফ দিলেন বাংলাদেশের আশিক চৌধুরী।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×