somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পার্বত্য চুক্তির একযুগ পূর্তি হলো

৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর ।
কালের পরিক্রমায় আজ ১২ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে।
কিন্তু এ চুক্তির ফলে কার কি লাভ হয়েছে তা ভাবার সময় এসেছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলে ছিল, যে
ক্ষমতায় গেলে তারা পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করবে।
কিন্তু পাহাড়ী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ তাদের কথায় বিশ্বাস করেনি। তাই তারা নির্বাচনের সময় আওয়ামীলীগকে সমর্থন না করে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে। যেখানে প্রার্থী দিতে পারেনি সেখানে তারা না ভোট দিয়েছে। যার ফলে দেখা গেছে না ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে রাঙ্গামাটি সংসদীয় আসনে রেকর্ড হয়েছে। সেখানে ৩৩ হাজার না ভোট পড়েছে। এর কারণ ছিল, এখানে ইউপিডিএফ-এর প্রার্থী বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তাই সেখানে ইউপিডিএফ সমর্থকরা না ভোট দিয়েছে। অপর দিকে জেএসএস তথা জনসংহতি সমিতির প্রার্থী পেয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার ভোট।

যাই হোক পাহাড়ী সংগঠন গুলো আওয়ামীলীগের কথা বিশ্বাস না করলেও সরকারে এসে তারা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে জেলা পরিষদ সমূহ পূনর্গঠন করেছে।
অবশ্য আঞ্চলিক পরিষদ পূনর্গঠন করা হয়নি। আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ গত দশ বছরের বেশি সময় ধরেই সন্তু লারমার করায়াত্ব আছে বিধায় কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রয়োজন অনুভব করে না।
ভূমি কমিশন গঠন করেছে।
একটি ব্রিগেডসহ ৩৫ টি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করেছে। যদিও চুক্তিতে আছে ৬ টি ব্রিগেড তথা ৬ টি স্থায়ী সেনা ক্যাম্প পার্বত্যাঞ্চলে থাকবে। কিন্তু বর্তমানে সেখানে আছে ৪ টি ব্রিগেড। তার পরেও সন্তু লারমা খুশি হতে পারেন নি । তিনি চান সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার। এটা পার্বত্য চুক্তির বাইরে তার নতুন দাবী বলেই মনে হচ্ছে।
নতুন দাবী আরো আছে-পার্বত্যাঞ্চলের তিনটি সংসদীয় আসন পাহাড়ীদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবে।
পার্বত্যাঞ্চল থেকে বাঙ্গালীদের সরিয়ে নিতে হবে। ইত্যাদি।
নতুন দাবীর বহর দেখে সরকার সম্ভবত কিছুটা বড়কে গেছে । এ কারণেই তাদের আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।
কারণ ক'দিন আগেও সরকারের পক্ষথেকে একের পর এক বক্তব্য দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু ইদানিং আওয়াজ একটু কমে এসেছে । সন্তু লারমাও সম্প্রতি বান্দরবানে এক বক্তব্যে তারা চিরাচরিত হতাশা ব্যাক্ত করেছে।

সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×