সে এক অদ্ভুত ঘটনা। আইজ্যাক নিউটন নামে কেউ একজন বসে ছিল আপেল গাছের নিচে, হঠাৎ না-কি তার মাথায় আপেল পড়ে। আরে, আপেল গাছ থেকে তো আপেলই পড়বে, আম তো আর পড়বে না! আর আপেলের তো ডানা নেই যে উড়ে চলে যাবে, তাই সে নিচেই পড়েছে। এতে বাবা দোষের কি আছে? এই ব্যক্তির আপেল পড়া মাথা থেকে পরবর্তিতে না-কি মহার্কষ বলের সৃষ্টি হয়। যাক বাবা, আপেল অন্তত একটা কিছু সৃষ্টি করলো। এর আগে তো আর মহার্কষ ছিলো না! ১৬৮৭ খৃষ্টাব্দের আগে র্সূয পৃথিবীকে আকর্ষণও করতো না, পৃথিবীও করতো না চাঁদকে।
এর অনেক পরের ঘটনা। এক বিচিত্র পরীক্ষা। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম- দুটো রুম পাশাপাশি (ছবি: A, B), মাঝে একটা বড় দেয়াল (M)। এতোই বড় যে এই রুমে আলো জললেও ওই রুমের কিছুই দেখা যায় না (যদিও ওই রুমে দেখার মতো কিছু নেই)। দেয়ালের মাঝে দুটো ছোট ছোট ফুঁটো (1 & 2), একটু দুরে। যে কোন একটা ফুঁটো বন্ধ করে যদি মাঝের দেয়ালের একপাশে আলো রাখা হয় অন্য রুমের দেয়ালে (C) তার আলো পড়বে খোলা ফুঁটো দিয়ে। শেষের দেয়ালের (C) উপর যে কোন একটি বিন্দু (p) খেয়াল করি, এবং আসা আলোর পরিমান মাপি। এবার অন্য ফুঁটো বন্ধ করে, এবং এই ফুঁটো খোলা রেখে একই বিন্দুতে একই কাজ করি। এবং শেষে দুটো ফুঁটোই খোলা রেখে ওই বিন্দুতে আবার আলোর পরিমান মাপি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওই বিন্দুতে কখন সবচেয়ে বেশি আলো পাবো? স্বাভাবকি ভাবেই যখন দুটোই খোলা ছিলো তখন, কারন দুটো দিয়েই আলো যাচ্ছিলো। একটা দিয়ে আর কতটুকু যাবে?
কিন্তু দেখো খেলা, বাস্তবে ন-কি ঠিক তার উল্টো! দুটো খোলা থাকলে ন-কি আরো আলো কম যায়, এমনকি একটা ফুঁটো বন্ধ থাকালে যেটুকু যায় তার থেকেও কম! বিশ্বাস করা যায়?
ওরা থাক ওদের পরীক্ষা নিয়ে, আমাদের ব্লগই ভালো। মাঝে মাঝে মনের ঝাল মেটানো যায়!!!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২২