somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শক্তের ভক্ত নরমের যম

২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল একটি খবর দেখলাম:
" বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার আসামীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর না করার আহবান জানিয়েছে অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল। "
তারা বলছে "যে কোনো ধরনের অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিরোধী অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল।"

কিন্তু বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের রায়ে কোন কোন ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায়, তা বলা আছে। এখানে তিনটি শর্ত রয়েছে। নিষ্পাপ শিশু, অসহায় নারী ও জননন্দিত নেতাকে হত্যা করা হয়, তাহলে ফাঁসি কার্যকরের নজির রয়েছে। ১৫ আগস্টের ঘটনায় এই তিনটি শর্ত বিদ্যমান।

বুঝলাম না ১৫ আগস্টে যখন শিশু রাসেল খুন হয় তখন অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কোথায় ছিল ?
যখন ১৫ আগস্টে যখন একজন গর্ভবতী মা ( মাফ করবেন নামটা ভুলে গেছি ) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় তখন অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কোথায় ছিল ?

আচ্ছা দেশের কথা বাদ দিলাম
বুশ যখন সাদ্দাম কে হত্যা করেছিল তখন অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কোথায় ছিল ?

২০শে মার্চ ২০০৩ সালে যখন বুশ আফগানিস্তানে আক্রমন করে তখন অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কোথায় ছিল ?

যখন একটা স্বাধীন রাষ্টে (আফগানিস্তান ও ইরাক) অন্য একটি রাষ্ট্রের লাখের উপর সৈন্য থাকে , ইচ্ছামত মানুষ হত্যা করে তখন অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কোথায় থাকে ?

যখন ১৯৪৮ সালে ইহুদীরা উড়ে জুড়ে বসে ফিলিস্তিনের বুকে এবং ফিলিস্তিনিরা যখন নিজের দেশ ফিরে পাবার জন্য আর্তনাদ করায় সবাই তাদের এই চাওয়াকে সন্ত্রাসী তৎপরতা বলে অভিহিত করছে তখন অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কোথায় থাকে ?


যখন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ( ১৯৯১ সালে নোবেল প্রাপ্ত ) অং সান সুচি কে বছরের পর বছর কারাগারের ভেতর থাকতে হচ্ছে তখন অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল কি করে ?

এরকম আরো হাজার ঘটনা আছে যা আমি জানি না বা এখন মনে পড়ছে না।

যখন অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকারের বুলি আওড়ায় তখন তাদের চোখের পেছনে ঘটে যায় এসব ঘটনা। তখন কি তারা চোখ বন্ধ করে রাখে ?

যখনই দূর্বল কাউকে পায় তখনই তাদের মুখ ভরে যায় মানবাধিকারে
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১০ রাত ১২:২৪
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×