আজ ২২ নভেম্বর গণসঙ্গীত যোদ্ধা হেমাঙ্গ বিশ্বাস এর মৃত্যৃ দিবসে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
১৯৮৭ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
তাকে শ্রদ্ধা করে এই লিখাটুকু শেয়ার করলাম-
ত্রিশ ও চল্লিশের গণসঙ্গীত নতুন সম্ভাবনা সঞ্চারিত করে। কলকাতাকেন্দ্রিক সংগঠিত হলেও এর ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছিল সমগ্র বাংলার গ্রাম-গঞ্জে, মফস্বল শহরে। কলকাতার বাইরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, নোয়াখালী এবং বরিশাল ছাড়াও আসাম প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় সাংস্কৃতিক স্কোয়াড গড়ে ওঠে। সাংস্কৃতিককর্মীরা সেদিন সাম্যবাদের পক্ষে এবং ফ্যাসিজম, সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদের বিরুদ্ধে অনেক গান লিখেছেন। তারা স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণকে সংগ্রামে উদ্বৃদ্ধ করতে নানাভাবে চেষ্টা করেছেন। তবে বাংলা গণসঙ্গীতে অনেক সংগঠনের নাম উচ্চারিত হলেও এই ধারার যোগ্যতম নায়ক রূপে যিনি বেরিয়ে এলেন, তিনি হলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। তার সুরেলা কন্ঠ এবং সাংগঠনিক প্রতিভা জনগণকে বিপ্লবী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে সবচেয়ে অনুপ্রাণিত করেছিল। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা নিবদন করে লিখেছেন তারই সহযোদ্ধা হেনা দাস- 'একজন কমিউনিস্ট হিসেবে হেমাঙ্গদা একদিকে যেমন জনজীবের সাথে গভীরভাবে একাত্ম ছিলেন, তেমনি জনগণের মুক্তি সংগ্রাম ও তার লক্ষ্য সম্পর্কেও ছিলেন পরিপূর্ণ সচেতন। তাই তার গানের মর্মবস্তু হয়েছে নগণের দুঃখ কষ্ট বেদনা এবং তাদের মরণপণ বলিষ্ঠ সংগ্রামের হাতিয়ার। তার গানে জীবন্ত হয়ে উঠেছে দুর্ভিক্ষপীরিত মানুষের মর্মান্তিক কষ্ট ও হাহাকার, ফুটে উঠেছে সাম্রজ্যবাদী ও ফ্যাসিবাদী দানবের ভয়ঙ্কর র্রপ, চিত্রিত হয়েছে পুঁজিপতি-জমিদার-মহাজন-কালোবাজারি-মুনাফাখোরদের নিষ্ঠুর শোষণের চিত্র।
সূত্র/সংগ্রহ; লেখক ও গবেষক-মাহফুজুর রহমান