somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রিমি (স. ম.)
বুঝি ওই রবির আলো আভাসে দেখা দিল গগন পারে...

ইচ্ছেগুলো বদলায় না

২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চাঁদটা বদলে যায় না। গায়ে চিড়িক বিড়িক কালচে দাগ নিয়ে সবাইকে নিশির ডাকের মত করে টেনেই যায়। কখনো বিরাট গোল থালা হয়ে পড়ে। আবার কখনো আধখানি মুখ ঢাকে ছাইরঙা ওড়নায়।

আকাশও ঘুরে ফিরে নীলেরই নানান রূপ ধরে রাখে। সাদা মেঘগুলো দেখলে মনে হয় তুলাগাছের লক্ষ লক্ষ শুকনো ফল ফেটে ছড়িয়ে গেছে আদিগন্ত। আর কালো মেঘগুলো যেন পিচকিরি দিয়ে ছিটানো রংতুলি ধোয়া জল।

হলদে সূর্যটার তো কোনকালেই কিছু হয় না। গনগনে চুল্লির মত আঁচ ছাড়তেই থাকে ছাড়তেই থাকে। মাঝে মাঝে দুঃখ পেলে চোখ বুঁজে ফেলে, তাও একটুক্ষণের জন্য।

বৃষ্টি পাল্টায় না। ঝিরঝির নাহয় ঝমঝম নাহয় টুপটাপ। মন চাইলে যাবার কালে রংধনুটাকে এনে সেঁটে দেয়। সেই চেনা সাতটা রংই সারি দিয়ে বসে।

মানুষই নাকি কেবল বদলায়। ক্ষণেই ক্ষণেই নাকি বদলায়। এতই যদি বদলায় তাহলে দিনে দিনে ইচ্ছেগুলো কেন বদলে যায় না? বেঁচেই থাকে কেবল।

অনেক বছর আগের যেমনটা হত, বিকেল হলেই ছুটে যেতে ইচ্ছে হয় খেলার মাঠে। পাগলা ঝড়ে শিল কুড়াতে ইচ্ছে হয় তেমনই।

লাল রঙের জামা আর লাল মালা পরে পরী হয়ে ঘুরতে ইচ্ছে হয় ছোটবেলার মত। প্রিয় কোন কিছু কাউকে একটুও ধরতে দিতে ভাল লাগে না। ইচ্ছে করে সবাই অনেক কিছু উপহার দিক যেভাবে দিত।

তখনকার মত এখনও ইচ্ছে হয় একটা টাকার গাছ থাকুক। যখন যে চায় যেন অনেক অনেক দিতে পারি। আমার বা কারোরই কোন অভাব থাকবে না এমন ইচ্ছে হয়।

একটু অসুখ করলেই গলা ফাটিয়ে চেঁচাতে ইচ্ছে হয়, ইচ্ছে হয় মা রাতভর বসে পাখা করুক আর কান্না শুনুক। দাঁত চেপে শুয়ে থাকতে ভালই লাগে না।

আগুপিছু না ভেবে দুম করে অনেক কিছু বলে ফেলতে পারার ইচ্ছে হয়। লোকলজ্জা বা দ্বিধাকে ছুঁড়ে ফেলতে এখনও ইচ্ছে হয়। চাইতেই কেউ চোখের পলকে ফুল পাখি তারা এনে দিক সত্যিই এমনও ইচ্ছে হয়।

অনুচিত জেনেও বার বার কিছু ভুল কিছু অন্যায় করতে প্রচণ্ড ইচ্ছে হয়। কষ্ট দেয়ার বা কষ্ট পাওয়ার লোভটাও মরে যায় না। ইচ্ছে হয় ইচ্ছে হয়।

ইচ্ছেগুলো একটুও উলটে পালটে যায় না। চাঁদ আকাশ সূর্য কিংবা বৃষ্টির মত ধ্রুব হয়ে জড়িয়েই থাকে।
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×