somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবনে যা জানা প্রয়োজন

১৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

.
বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদের গুরুত্ব অনুধাবনে যা জানা প্রয়োজন তা হচ্ছে মৎস্য পরিসংখ্যান-২০০৯ (বছরঃ ২০০৭-০৮)।

চাষের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ।
গত দুই দশকে অহরণকৃত মাৎস্য উৎপাদন বেড়েছে ৬ শতাংশ এবং চাষের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে ২২ শতাংশ।
মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৬.৬৭ শতাংশ এবং মোট বদ্ধ জলাশয়ের ৫৭.৭৩ শতাংশ পুকুর। অথচ মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৪১.৯২ শতাংশ এবং মোট বদ্ধ জলাশয়ের ৮৬.১২ শতাংশ মৎস্য উৎপাদন হয় পুকুর থেকে।
চাষকৃত পুকুরের মোট মৎস্য উৎপাদনের ৮৪.২২ ভাগই আসে রুই জাতীয় মাছ থেকে।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ৩৯ ভাগ (অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৪৯%) আসে মাছ চাষের মাধ্যমে।
হেক্টরপ্রতি গড় মৎস্য উৎপাদন পুকুরে ২,৮৩৯ কেজি, বাঁওড়ে ৮৭১ কেজি, চিংড়ি খামারে ৬১৮ কেজি।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদন ২৫,৬৩,২৯৬ মেট্রিক টন যা গতবছরের চেয়ে ৫.০৫ ভাগ বেশি।
দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৯.৪১ শতাংশ আসে সমূদ্র থেকে আর বাকী ৮০.৫৯ ভাগ আসে অভ্যন্তরীণ জলাশয় থেকে।
অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদানের প্রায় ৫১ শতাংশ (মোট উৎপাদনের ৪১%) আসে মুক্ত জলাশয় হতে এবং অবশিষ্ট ৪৯ শতাংশ (মোট উৎপাদনের ৩৯%) আসে বদ্ধ জালাশয় হতে।
প্রাণীজ আমিষের ৫৮ ভাগে আসে মাছ থেকে।
দেশে মাছের বাৎসারিক চাহিদা জনপ্রতি ১৮ কেজি (বাৎসরিক মোট চাহিদা ২৫.৯০ লক্ষ মেট্রিক টন)। বর্তমানে বাৎসারিক জনপ্রতি মাছ গ্রহণের পরিমাণ ১৭.২৩ কেজি (বাৎসিরিক মোট মাছ গ্রহণ ২৫.৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন)। জনপ্রতি বাৎসরিক ঘাটতি ৭৭০ গ্রাম (বাৎসরিক মোট ঘাটতি ২৭ হাজার মেট্রিক টন)।
মৎস্যখাতের অবদানঃ জিডিপি’তে ৩.৭৪%, কৃষিখাতে ২০.৮৭% এবং বৈদোশিক মূদ্রা অর্জনে ৪.০৪%।

আরও জানতে অনুগ্রহ করে এখান থেকে ঘুরে আসুন
.
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×