somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজ্ঞাপনচিত্র।। কী দেখছি, কেন দেখছি, কী শুনছি, কেন শুনছি?

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টিভি দেখতে দেখতে কাজের ছেলেটা হঠাত চিতকার করে বলে, স্যার দেখেন দেখেন ফ্রিজের ভেতর মাছ লাফাচ্ছে। আমি তাকে ধমক দিয়ে বলি, কী আজেবাজে কথা? সে আবার বলে, বিশ্বাস করেন, আমি টিভির মধ্যে ফ্রিজে মাছ লাফাতে দেখেছি। কিন্তু আমাদের ফ্রিজ থেকে একদিন পর মাছ বের করলেও পচা গন্ধ বের হয়।

তাকে যতই ধমক দিই না কেন, বিজ্ঞাপনটি পরখ করতে বেশ কিছু সময় ব্যয় করতে হলো। কিছুক্ষণ পরই দৃশ্যটি দেখতে পেলাম, সত্যিই ফ্রিজের ভেতর মাছ লাফাচ্ছে, এবং যথারীতি অবাক হলাম। এও কি সম্ভব? যেখানে পুকুরেই তারা তড়পাচ্ছে সেখানে বাস্তবতাশূন্য এই দৃশ্যের জন্য কাকে ধিক্কার দেব ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। সব সম্ভবের দেশে, হদ্দ বোকামির চূড়ান্ত দৃশ্যপটে আমাদের প্রাপ্তি নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন করতেও আর ভালো লাগে না। তাই ফ্রিজের মধ্যে রাখা মাছের লাফানোর বিষয়টি সত্য উতঘাটনে আমাদের মনে সন্দেহের উদ্রেক না করে বরং পণ্য বিষয়ে ঔতসুক্যের সৃষ্টি করে। আমরা ভ্যানের ওপর বসে ফ্রিজের কাঁধে হাত রেখে দিব্যি হাসিমুখে ঘর পর্যন্ত বয়ে নিয়ে আসি।

বিজ্ঞাপন চিত্রটি দেখতে দেখতে হঠাত আরো একটি নির্মম রসাসিক্ত বিজ্ঞাপন চোখের সামনে প্রতিভাত হলো। এক বৃদ্ধের তিন পুত্র দুবাই, আমেরিকা ও লন্ডনে ঘুমোতে পারছে না। তাদের ঢাকা শহরের মধ্যে প্লট দরকার। সন্তানদের আবদার বাবার ঘুম হরাম করে দিয়েছে। বাবা অস্থির। অবশেষে তিন পুত্রের জন্য প্লট কিনে খাঁটি সরিষার তেলের জন্য বোতল হাতে তিনি ঢাকা শহর চষে বেড়াচ্ছেন। অনেক কষ্টে তিনি তিন শিশি খাঁটি সরিষার তেল জোগাড় করে তিন ছেলের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। এই তেল ব্যবহার হবে নাকে দিয়ে ঘুমাবার জন্য। নাকে সরিষার তেল দিলে নিশ্চিন্তে ঘুম হয় এ অভিজ্ঞতা এই বিজ্ঞাপন চিত্র দেখে অবগত হয়েছি।

আর কথাগুলো যার মুখ থেকে শুনেছি তার বয়সই বলে দেয় আর যাই হোক তিনি মিথ্যে বলবেন না। বলা উচিত নয়। নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমানোর বিষয়টি এর আগে প্রবাদ-প্রবচণ হিসেবেই জানা ছিল। যাই হোক, দুবাই, আমেরিকা আর লন্ডনে তার সেই তিন ছেলে প্রতিদিন বাবার পাঠানো খাঁটি সরিষার তেল নাকে দিয়ে কেমন ঘুমাচ্ছে জানতে খুব ইচ্ছে হয়। কিন্তু এটা জানতে আপডেট দরকার, যা এখনো আমরা দেখতে পাইনি, হয়তো খুব তাড়াতাড়ি তারও দৃশ্যায়ন হবে। ছেলেরা লিখে পাঠাবে, বাবা আরও তেল পাঠাও। আমাদের অনেক তেল দরকার।

প্রচারই প্রসার- এই ধারণায় সিক্ত হয়ে যে বিজ্ঞাপন শিল্পের যাত্রা তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন আমরা টিভির পর্দায় কিংবা সংবাদপত্রে অসংখ্য বিজ্ঞাপন কিংবা বিজ্ঞাপন চিত্র অবলোকন করছি। বলা যায় গিলছি। কারণ এ গুলো জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের মাঝে এমনভাবে সেট করা হয়, না দেখে উপায় কী? কিন্তু বস্তুনিষ্ঠতার দিক দিয়ে কিংবা নীতিগতভাবে কতটা যুক্তিযুক্ত, তা প্রশ্নবিদ্ধ।

বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন শিল্পের ব্যাপক প্রসার আশি দশকের শেষের দিকে। সে সময় বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ এবং বিজ্ঞাপন চিত্রে দ্রব্যাদির প্রকৃত গুণাগুণের বিষয় তুলে ধরার একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। আফজাল হোসেনের মাত্রা নির্মিত আলো আলো বিজ্ঞাপন চিত্রসহ অনেক বিজ্ঞাপন চিত্রের কথা উল্লেখ করা যায়। যেখানে প্রচারউদ্দেশ্য আর বাস্তবতার মধ্যে যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যেত। সে সময় রোজা শেষে ইফতারের জন্য রুহ আফজা পানীয়ের বিজ্ঞাপন চিত্রের বাস্তবতাও বিশেষভাবে উল্লেখ্য। সহজ ভাষায় এবং বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে তখনকার প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন চিত্রগুলো কোন না কোন আদর্শকে স্পর্শ করেছে।

পণ্য সামগ্রীর পারস্পরিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিযোগিতার ধরন পাল্টে তার ভাষা এবং উপস্থাপনা আস্তে আস্তে বস্তুনিষ্ঠতা থেকে সরে রঙচঙের একমাত্র বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। নারীকে যেমন খুশি ব্যবহার হয়ে ওঠে- বিজ্ঞাপন চিত্রের মূল উপাদান। নারীকে পণ্যের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে পণ্য আর নারীকে প্রায় সমার্থক করে তোলার প্রবণতা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়। নারীও নিজেকে সহজ সমর্পণে উতসাহী যে হয়নি তাও নয়।

বিষয়বস্তু বিবেচনায় না নিয়ে তাতে অবাধ অংশগ্রহণে নিজেদেরকে বিসর্জণ দিচ্ছে এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। পানির পাইপের বিজ্ঞাপনে, নারীর হতে পাইপ ধরিয়ে দেয়ার বিষয়টি কিছুতেই মাথায় ঢোকে না। নারীও কত সহজে পাইপ ধরে হেসে ওঠে। নারী তো পাইপ না ধরলেও পারতো। বলতে পারতো- এ কাজ আমার নয়। অথচ এ সব দৃশ্য অবলীলায় আমাদের মিডিয়া কিংবা পত্রিকাগুলো দেখাচ্ছে, এবং তাদের প্রথম পাতায় রঙিন কলেবরে ছেপে চলেছে। একটিবারও প্রতিবাদের ভাষায় বস্তুনিষ্ঠতার কথা কেউ কথা বলছে না।

বিজ্ঞাপন চিত্র উপস্থাপনার প্রতিটি ক্ষেত্রে যে অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায় তা রীতিমতো হাস্যকর এবং প্রকৃত অর্থেই অবাস্তব। একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিজ্ঞাপন চিত্রে দেখেছি, বাবার বুকের ব্যথা বেড়েছে, মা বিদেশে টেলিফোন করে ছেলেকে বিষয়টি জানায়। ছেলে ও-প্রান্ত থেকে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত দেয়, টিকেটটা কেটে রেখো আমি আসছি। যাই হোক বাবার অসুস্থতার বৃদ্ধির কারণে ছেলে আসার আগেই দেশে তার চিকিতসা সফলভাবে সম্পন্ন হয়। যদি বিজ্ঞাপন চিত্রটি এ পর্যন্ত এসে শেষ হতো তাহলে হয়তো প্রশ্ন উঠতো না।

কিন্তু বিজ্ঞাপনচিত্রে মেয়ে এবং মা তার চিকিতসা ব্যবস্থা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। ছেলে যথারীতি দেশে ফিরে প্রথমেই প্রশ্ন করে, টিকেট কেটেছ? এ যেন ঢাকা-খুলনা বাস ভ্রমণের মতো কিছু! কথপকথনের মাঝে পেছন থেকে বাবা হঠাত বলে ওঠে, টিকেট লাগবে না, আমার দেশের সোনার ছেলেরা আছে না? বিজ্ঞাপন চিত্রের সমস্তাংশে চিকিতসায় মা-মেয়েকে ছাড়া আমরা অনেক নারী-পুরুষকে দেখতে পাই। অথচ বাবা অবলীলায় সহাস্যে বলে উঠল, আমার দেশের সোনার ছেলেরা আছে না? মা-মেয়েও কী নির্বোধ! এ বক্তব্যেও তারা অবলীলায় হেসে উঠল।

বস্তুনিষ্ঠতা আর বাস্তবতার কী নির্মম পরিহাস! ঘরে ঘরে প্রায় সরারই মুখস্ত, ফেমাস টেলিভিশনের কথা, এরকম একটি বিজ্ঞাপন বিষয়ে স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, ঘরে ঘরে সবাই যদি জানে তবে আবার নতুন করে ওই ভাষায় ঘরে ঘরে সবাইকে জানাতে হবে কেন? মুরগি নিজের হলে জবেহ লেজের দিকে করতে হবে এর কী কোনো যুক্তি আছে?

আর নয় চেয়ে থাকা এবার চাইলেই হাতে পাওয়া, সিমেন্সের একটি বিজ্ঞাপন চিত্র অবলোকন করে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, বেশ তো, চাইলেই যদি পাওয়া যায় তবে মন্দ কী? পুরাতনটি পাল্টে ফেলি। কিন্তু বাস্তবে তা কি সম্ভব? মূল্য কত? টাকা দেবে কে? এ প্রশ্নের উত্তর কি সিমেন্স দিতে পারবে? নিশ্চই নয়। তবে চাইলেই কী করে পাওয়া সম্ভব? বাস্তবতা বিবর্জিত এসব বাক্য প্রয়োগ কতটুকু বাস্তবসম্মত?

সিঙ্গার টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের ভাষা আরো আত্মবিশ্বাসের, প্রতি গৃহে বিশ্বব্যাপী, বিশ্বব্যাপী এই বিশ্বাসের নিশ্চয়তার বিধায়ক কে? আমার নিজের ঘরেই তো ফিলিপস পাওয়ার ভিশন। তাহলে এর ভাষা কী বাস্তবসম্মত? বর্তমান সময়ের রুহ আফজার মতো কিছু কিছু বিজ্ঞাপন চিত্র এ রকম বাস্তবতা বিবর্জিত ইভেন্টে অংশ নিয়েছে। বিজ্ঞাপনচিত্রের ভাষা-শব্দ এমনভাবে প্রচার করা হয় যে, আমাদের ভাবতেই হয়, রোজাদারগণ এসব পানীয়ের স্বাদ গ্রহণের জন্যই কী রোজা রেখেছে? এটি ধর্মবোধের প্রতিও তো আঘাতের শামিল হতে পারে।

জমজম কোলার একটি বিজ্ঞাপনে পারফরমারকে আমরা হঠাত রাজা হতে দেখি। সে খুব আয়েসি ভঙ্গিমায় নায়িকাদের দেখতে থাকে। জমজম কোলার সংগে তাদের সম্পর্ক কী? এই চিত্র কি বাস্তবসম্মত? হাঁসের পেটের সোনার ডিম- মরটিন কয়েলের এই বিজ্ঞাপনে হাঁসসহ যে ডিম দেখানো হয় এবং যেসব বাক্য ব্যবহার করা হয় তা রীতিমতো হাস্যকর। ভদ্রমহিলা যখন সোনার ডিমের বর্ণনা দেয় সেটি ন্যকামো ছাড়া আর কিছুই প্রতীয়মান হয় না। একটি অবাস্তব বিষয় কী করে একটি পণ্যের বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন ঘটাতে পারে?

মেরিল পাউডারের বিজ্ঞাপন চিত্রের যে ভাষা তাতে সম্ভবত পারফরমারের নিজেরই হাসি পায়। এই পাউডার ব্যবহারের আগে চেনা মানুষও তাকে চিনতে পারত না, ব্যবহারের পর অচেনা মানুষও তাকে চিনতে পারছে। তাও শুধু গলায় মেখে গর্বে তার বুক ভরে ওঠে। এত ক্ষমতা মেরিল পাউডারের?

যশোরের জয়িতা চৌধুরীর গল্প তো আমরা সবাই জানি, জন্মদিনে উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মোবাইল ফোন তার জীবন পাল্টে দেয়। এখানে ক্যামেরার প্রেট্রোল হিসেবে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তার ব্যবহার সঠিক নয়, এটি অন্তত হতে পারত ক্যামেরার জ্বালানি। বিজ্ঞাপন চিত্রটি যেমনভাবে আমাদেরকে আশায় ভাসায়, তেমনি অন্যদিকে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো যখন রাত বারোটার পর ফ্রি কিংবা স্বল্পমূল্য দেখিয়ে বিজ্ঞাপনে সবাইকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে তখন তারা একবারও ভাবে না উঠতি বয়সি কিংবা স্কুল-কলেজগামী অনেকে এই অবাধ সুযোগটি ব্যবহার করে রাতের পর রাত ঘুমহীন কাটাচ্ছে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে মানবিক অবয়ও হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেশের তথা যুব সমাজের জন্য কতটুকু উপকারী?

থাকলে প্রাণ ম্যাঙ্গো বার সঙ্গীর আর কী দরকার?- এতই আসক্তির শক্তি ম্যাঙ্গো বারের? ভালোবাসার সঙ্গীকেও প্রতিহত করতে পারে! এসব ভাষা কি বাস্তবসম্মত?

আরসির মজা কত, তোমার মতো, যখন যেমন চাই- এমন বিজ্ঞাপন যত জনপ্রিয় হোক তা সূক্ষ্মভাবে পর্যবেণ করলে বোঝা যায়, প্রকারান্তরে ভালোবাসাকে কতটুকু ছোট করা হয়েছে।

ডলফিন দেশলাই শব্দ হলেও কাঠি বেশি- এখানে কি কাঠি কমের বিষয়টিকে ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে? বারবার না নাড়িয়ে একবার ভরে ফেললেই তো ভালো হয়, ভদ্রমহিলাটিকে বারবার হাত ঝাকানাকা করতে হয় না।

ভালোবাসা ভালোবাসা প্রতি ফোঁটা প্রতিক্ষণের তীর সোয়াবিন তেলে- এই ভালোবাসার স্বরূপ কী? ভালোবাসার প্রকৃত সংজ্ঞা কী? ভালোবাসা সোয়াবিন তেলে সম্পৃক্ত? ভালোবাসা শব্দটিকে নিয়ে এ কেমন রসিকতা?

প্রিয় আমার আমিও নেব- মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপনে এ বাক্যটি শুনেই মনে প্রশ্ন জাগে, নেবার আগেই প্রিয় হবার বিষয়টি কতটুকু বাস্তবতা নির্ধারণ করে?

পালাবে কোথায় বিজ্ঞাপন চিত্রে চুরি করে বিয়ে করা জুটি যে নেটওয়ার্কের বাইরে যেতে পারছে না কোন বাস্তবতায় সিক্ত? সিটিসেলের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানে না এমন কাউকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে, অন্তত যারা এটি ব্যবহার করে? বিজ্ঞাপন চিত্রের ভাষা, দৃশ্যপট, অংশগ্রহণকারী পাত্র-পাত্রীর অঙ্গভঙ্গি উপস্থাপন বাস্তবতার সঙ্গে একেবারই মেলে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পণ্যের পরিচিতির চেয়ে নারীই হয়ে ওঠে প্রধান বিষয়। এটি নৈতিকতার দিক থেকে গ্রহণীয় নয়।

তবে ভালো কিছু বিজ্ঞাপন চিত্র যে হয়নি তাও নয়। বিজ্ঞাপন চিত্রও হতে পারে জীবনধর্মী। গ্রামীণফোনের চঞ্চল চৌধুরীর বিজ্ঞাপন চিত্রটি জীবনধর্মী ছোট একটি নাটক হিসেবে সবার মন জয় করেছিল এবং করার কারণও ছিলো।

পাশাপাশি কবি নির্মলেন্দু গুণ এবং কথাশিল্পী আনিসুল হকের বাংলালিংকের শহীদ মিনার দৃশ্যায়িত বিজ্ঞাপন চিত্রটির সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করতে পারি। যেখানে আমাদের গৌরবময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস প্রতিফলিত হয়েছে। আরো অনেক বিজ্ঞাপন চিত্রের কথা উল্লেখ করা যাবে যেখানে জীবনধর্মী বিষয়াবলি সম্পৃক্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও সত্য ইতিহাস, গ্রামীণ দৃশ্যপট, স্বাধীনতা সংগ্রাম, হেরিটেজ সযত্নে এবং সঙ্গোপনে নির্মাতা সংরক্ষণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন।

প্রকৃত এবং একটি ভালো বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণে প্রয়োজন নির্মাতার মেধার প্রস্ফূটন। জিঙ্গেল ব্যবহারে অনেক বেশি মেধার স্বাক্ষর রাখতে হবে। পণ্যের পরিচিতি এবং গুণাগুণের সংগে চরিত্রের সমন্বয়ের দিকটি গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে বারবার আকাশের দিকে তাকিয়ে শেষ পয্যায়ে এসে ঘাড় বাঁকা করে অসামজ্ঞস্য বিজ্ঞাপন চিত্রটির হাস্যকর ভাষা নিয়ে বলতে হবে- আমার ঘাড় আর সোজা হয় না, অথচ মুখ আকাশের দিকে।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×