somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মজার ঘটনা!

১৩ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মাগরিবের নামাজ পড়ে বড় মেয়েকে কলেজ থেকে আনতে গিয়েছিলাম। এখন ইংলেন্ডে সন্ধ্যা ৪.১৯ মিনিটে হয়। তিনটা বাজলেই মনে যেন রাত হয়ে গেছে। যাক এখন আসল খবরে আসি। আসার পথে আমার গল্লাস থুক্কু চশমা আনলাম এবং মেয়েদেরকে খাবাবার জন্য ফাস্টফুট শপে যাবার জন্য গাড়ি থামালাম এক শাড়ীর দোকানের সামনে। ওমা, একখান শাড়ীতে চোখ পড়ে আটকে গেল, অত সুন্দর। বউরে কইলাম আনমু নাকি? বউ হেসে কুটিপটি হয়ে বলল, আনলে জবর খুশি হবগো। হাসি দেখে এবং হাসির বিকট শব্দ শুনে বুঝলাম শাড়ীর দাম আকাশ ছুঁয়া হবে। আমি মনে মনে চিন্তা করলাম আমিতো ফাস্টফুট শপে যাব মাঝ পথে একটা ঢু মারমু দাম বেশী হলে কাষ্টহাসি হেসে দোকানিরে একটা সালাম দিমু মাত্র পাট্টাসেলামি দিমুনা। তয় মারলাম গায়ের জোর ঢু। সলাম কইরা জিঘাইলাম, ঔ শাড়ীখানের দাম কত? ওরা তখন বিলম্বে ল্যাঞ্চ করছিল। আমার চেহারা মুবারক দেখে কি করবে কি না ওরা বুঝতে না পেরে নারী কর্মচারি দাড়িয়ে কইল, কিতা নিবার চাইন?
আমি কইলাম, ওই যে শাড়ী ঔখানের দাম জানতে চাই মাত্র।
মহিলা মালিকের পানে তাকালে উনি মাথা দিয়ে ইশার করলেন এবং মহিলা আমার মুখের পানে তাকাল এবং বাহিরে আমার গাড়ির পানে তাকল। মহিলার তাকানুর ঢং দেখে বুঝলাম পাট্টাসেলামিতে হয়তো আমার গাড়িখান চাইবে। আমি আবার জিঘাতে চাইলে কইল শাড়ীর দাম ৯৫ পাউন্ড। আমি মনে চিন্তা কইরা আঙ্গুল দিয়ে কান পরিষ্কার না করে ধেয়ান করে কান পরিষ্কার করে মালিকের পানে তাকিয়ে কইলাম, শেষ এবং এক দাম বলেন।
দোকানি উঠে এসে কি কি যেন দেখলেন এবং কইলেন ৬৫ পাউন্ড দিয়ে দেন। আমি যেন আশমান থেকে পড়লাম। কইলাম দাড়ান টুনিরে, থুক্কু আমার বউরে জিঘাই আই। দৌড়ে গাড়ির পাশে এসে কইলাম বউগো, দোকানি ভাই ৬৫ পাউন্ড কইছে কি করুম? মেয়েরা একে অন্যের পানে হা করে তাকাচ্ছে। বউ হাসির শব্দ আরো বিকট করে কইল, ১৬৫ পাউন্ড নাকি? আমি কইলাম কইতারিনা, কত কইছে ভুইলা গেছি। যাউগ্গা আমি খাবার নিয়া আসি। কইয়া আমি ফাস্টফুট শপে চলে গেলাম। ওর্ডার দিয়ে আমিত টুনার মত চটফট শুরু করলাম। আবার দৌড়ে শাড়ীর দোকানে গেলাম আর কইলাম, আমি ৬০ পাউন্ড দিমু দিলে কন বাসায় যেয়ে টাকা নিয়া আই। দোকানি দেখি মুড়ামুড়ি করে। কইলাম এই ভাংতি রাখেন। (ভাংতি ছিল ১.৫৯ পেনি) তা দেখে দোকানি কইল যান টাকা নিয়া আসেন। আমি আর কথা না বলে গাড়িতে উঠে রেলি ড্রাইভারের মত চালাতে লাগলাম। বউ আর মেয়েরা কথা বলা বলি করছে, ছোট মেয়ে ফিসফিস করে বলছে, আব্বু হয়তো একশ শুনেননি, টাকা নিয়ে আসার পর যখন ১৬৫ শুনবেন তখন মজা হবে। বউ কথা কয়না খালি হাসে। বড় মেয়ে মুখ বেজার করে বসে আছে। ও জানে আমার কিছু পছন্দ হলে আমি কিনে ফেলি। যাউগ্গা, বাসায় এসে টাকা নিয়ে আবার গেলাম। সাথে কিন্তু খালি ৬০ পাউন্ড লইয়া গেছি যাহাতে বিপাকে না পড়তে হয়। শাড়ীর দোকে ঢুকে দোকানির হাতে টাকা দিয়া কইলাম, আপনি ব্যাগে ভরেন আমি খাবার নিয়া আসি। খাবার নিয়ে এসে দেখি মহলা কলার মত ৬০ পাউন্ড ধরে দাড়িয়ে আছে। আমি ব্যাগ হাতে লইয়া মালিকরে কইোম ঠিক আছেতো? মালিক মাথা নেড়ে মহিলারে কইলেন রেখে দাও। আমি পিছনে না তাকিয়ে প্রায় দৌড়ে গাড়িতে উঠে লাগালাম লক। কওয়া যায়না মহিলা যদি আরো দেবার জন্য কয়। দুই ব্যাগ বড় মেয়ের হাতে দিয়া কইলাম আব্বু লুকাও। মেয়ে কয় কেন আব্বু, কইলাম আমি এখন গাড়ি দৌড়ামু। গাড়ি চালাতে শুরু করলে বউয়ে কয়, কত দিলেন? আমি কইলাম মাত্র ৬০ দিছি। বউয়ে আবার কয় ১৬০ নাকি? আমি কইলাম না খালি ৬০ দিছি। বউয়ে কয় হয় আপনার না হয় দোকানিরে আজ ভূতে ধরছে এই শাড়ির দাম ২৬০!
আমি আলহামদুলিল্লাহ পড়তে শুরু করলাম। বউয়ে কয় দোকানি আসল মালিক না হলে মালিক এসে বেটার কল্লা ফাটাবে। আমি কইলাম আমারটা না ফাটালেই হল।

শাড়ী কিনতে হলে আমার বউ দোকে যেয়ে শাড়ী দেখে দাম জেনে দোকানিদেরকে বলে, আমি খালি দেখার জন্য এসেছি কিনতে হলে আমার অর্ধাঙ্গকে নিয়ে আসব। এর মানে এখন প্রায় দোকানিরা বুঝে গেছে। মানে তিন ভাগের এক দাম দিয়ে শাড়ি কিনব।

আজ আর না ......

ছবিটা হল শাড়ীর।
৮টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×