somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজীবের আত্মার সদগতি নয় দ্রুত বিচার চাই

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



খুনের ব্যাপারে মৌলবাদীরা কখনও টার্গেট মিস করে না। এটা সবার মনে রাখা দরকার। আর জামাত শিবির বিভিন্ন ব্লগে ব্লগারদেও নিয়ে যেভাবে কানামাছি খেলে তাতে বোঝা মুশকিল কে জামাত আর কারা জামাত শিবির নয়। হতে পারে জামাত শিবিরও মিশে গেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে আসা ব্লগারদের সঙ্গে। এমনকি এদের অনেকেই শাহবাগের মিছিলে-শ্লোগানেও আছে। রাজীবকে যারা খুন করেছে বা খুন সংগঠিত করার পরিকল্পক তাদের মধ্যে রাজীবের চেনা জানা লোকও থাকতে পারে। থাকতে পারে-এ কারণে ব্লগে দেখা যায় বেশ খায়- খাতির এক ব্লগারের সঙ্গে অন্যের। এ খায়-খাতিরের মধ্যে জামাত শিবিরের কেউ কেউ থাকলে তো চেনা দায়। এরাই ছদ্মবেশি জামাতি যারা ভয়ঙ্কর কৌশলে রাজীবের বন্ধু হয়ে যেতে পারে। আর গণমাধ্যমের ভাষায় যাদের পেশাদার খুনি বলা হয় মৌলবাদীদের তেমন পেশাদার খুনি আছে। অথবা খুনই তাদের রাজনীতির কৌশল। যাদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জামাত সহ অন্য মৌলবাদীদের অতীতের এ ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলো বিশ্লেষণ করলে এটা বের হয়ে আসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এমন ফেব্র“য়ারি মাসেই বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদকে খুন করার জন্য চাপাতি দিয়ে বেদড়ক কুপিয়েছিল মৌলবাদী সংগঠন জেএমবির প্রশিক্ষিত খুনি চক্র। তবে হুমায়ুন আজাদ খুনিদের মধ্যে জামাতের সাঈদীর নামও বলেছিলেন। কিন্তু পরে তার নাম বাদ দেয়া হয়। সেই খুনিরা বা একই পরিকল্পনাকারিরা রাজিবের খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করার কোন কারণ নেই মৌলবাদীদের হাই কমান্ডের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। হুমায়ুন আজাদের যারা খুনি বা তাদের যে প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই একই প্রক্রিয়ায় রাজীবের খুনিকেও ধরা সম্ভব।
রাজীব যতদিন বা যতক্ষণ শাহবাগে ছিল তখন তাকে বাগে পায়নি খুনিরা। যখন তিনি বাসায় গেছেন তখন তাকে খুন করার সুযোগ পায় খুনীরা। অর্থাৎ শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরেও তাকে অনুসরণ করেছে খুনীরা। অথবা তার বাসায় যাওয়ার কোন ফাঁদ তৈরিও করতে পারে তারা।
মৌলবাদীরা ভিন্নমত ও পথ সহ্য করতে পারেনা। যুক্তিতে থাকতে চায়না। গ্রামের একজন চাষাভূষা কিংবা একজন রিকশাওয়ালারও যুক্তি থাকতে পারে। দ্বিমত থাকতে পারে। সহমত পোষণ না করতেই পারে। প্রতিষ্ঠিত মত ও পথের বিরোধিতা করতেই পারে। কিন্তু এটার সমাধান কাউকে খুন করা নয়। যুক্তির অস্ত্র যাদের ভোঁতা তারাই ধারালো ধাতব অস্ত্র ব্যবহার করে। যুক্তিতে তারা অচল তাদের লজ্জাবোধ নেই। খুনী মৌলবাদীরা যুক্তি ও ভিন্নমতকে কখনো স্তব্ধ করতে পারেনি পৃথিবীতে। জামাত -শিবিরের মানবতাবিরোধী অপরাধী যারা আজকের তাদের আব্বাজান বিচারের মুখোমুখি তারাও ৭১ সালে একই রকম মত্ত মাতণ্ডের মত বর্বরতা চালিয়েছিল। ৪২ বছর পর হলেও তারা আজ পার পাচ্ছে না। এরাও পার পাবে না।
সরকারের কাছে একটা আবেদন কোন ধরনের অবহেলা না করে দ্রুত রাজীব হত্যাকারিদের খুঁজে বের করা। শাস্তি দেয়া হোক। হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার এখনও শেষ হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া যেন আর প্রলম্বিত না হয়।
এটাও বলছি যে রাজীবের তথাকথিত নাস্তিকতা নিয়ে অনেকেই কথা বলছে। কিন্তু শাহবাগে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটা রাজীবের ব্যক্তিগত কোন বিষয় নয়। শাহবাগের গণদাবি রাষ্ট্রের মৌল চেতনা প্রতিষ্ঠার দাবি। এ চেতনা ও আদর্শ তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে যখন যুদ্ধাপরাধী ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রে বিভেদ সৃষ্টিকারিদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হবে। এটা রাজীবের একার চাওয়া নয়। যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির ছাড়া দেশের সব মানুষ এজন্য অধীর অপেক্ষা করছে।
আর সরকারের সাইবার প্রশাসনের উচিত থাবা বাবার নামে ওয়ার্ডপ্রেসে যে ব্লগগুলো আছে সেগুলো সত্যি রাজীবের কিনা। তাহলে আন্দোলনে বিরোধিতাকারিদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া যাবে।

খুনের ব্যাপারে মৌলবাদীরা কখনও টার্গেট মিস করে না। এটা সবার মনে রাখা দরকার। আর জামাত শিবির বিভিন্ন ব্লগে ব্লগারদেও নিয়ে যেভাবে কানামাছি খেলে তাতে বোঝা মুশকিল কে জামাত আর কারা জামাত শিবির নয়। হতে পারে জামাত শিবিরও মিশে গেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়ে আসা ব্লগারদের সঙ্গে। এমনকি এদের অনেকেই শাহবাগের মিছিলে-শ্লোগানেও আছে। রাজীবকে যারা খুন করেছে বা খুন সংগঠিত করার পরিকল্পক তাদের মধ্যে রাজীবের চেনা জানা লোকও থাকতে পারে। থাকতে পারে-এ কারণে ব্লগে দেখা যায় বেশ খায়- খাতির এক ব্লগারের সঙ্গে অন্যের। এ খায়-খাতিরের মধ্যে জামাত শিবিরের কেউ কেউ থাকলে তো চেনা দায়। এরাই ছদ্মবেশি জামাতি যারা ভয়ঙ্কর কৌশলে রাজীবের বন্ধু হয়ে যেতে পারে। আর গণমাধ্যমের ভাষায় যাদের পেশাদার খুনি বলা হয় মৌলবাদীদের তেমন পেশাদার খুনি আছে। অথবা খুনই তাদের রাজনীতির কৌশল। যাদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। জামাত সহ অন্য মৌলবাদীদের অতীতের এ ধরনের হত্যাকাণ্ডগুলো বিশ্লেষণ করলে এটা বের হয়ে আসবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এমন ফেব্র“য়ারি মাসেই বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদকে খুন করার জন্য চাপাতি দিয়ে বেদড়ক কুপিয়েছিল মৌলবাদী সংগঠন জেএমবির প্রশিক্ষিত খুনি চক্র। তবে হুমায়ুন আজাদ খুনিদের মধ্যে জামাতের সাঈদীর নামও বলেছিলেন। কিন্তু পরে তার নাম বাদ দেয়া হয়। সেই খুনিরা বা একই পরিকল্পনাকারিরা রাজিবের খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করার কোন কারণ নেই মৌলবাদীদের হাই কমান্ডের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। হুমায়ুন আজাদের যারা খুনি বা তাদের যে প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই একই প্রক্রিয়ায় রাজীবের খুনিকেও ধরা সম্ভব।
রাজীব যতদিন বা যতক্ষণ শাহবাগে ছিল তখন তাকে বাগে পায়নি খুনিরা। যখন তিনি বাসায় গেছেন তখন তাকে খুন করার সুযোগ পায় খুনীরা। অর্থাৎ শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরেও তাকে অনুসরণ করেছে খুনীরা। অথবা তার বাসায় যাওয়ার কোন ফাঁদ তৈরিও করতে পারে তারা।
মৌলবাদীরা ভিন্নমত ও পথ সহ্য করতে পারেনা। যুক্তিতে থাকতে চায়না। গ্রামের একজন চাষাভূষা কিংবা একজন রিকশাওয়ালারও যুক্তি থাকতে পারে। দ্বিমত থাকতে পারে। সহমত পোষণ না করতেই পারে। প্রতিষ্ঠিত মত ও পথের বিরোধিতা করতেই পারে। কিন্তু এটার সমাধান কাউকে খুন করা নয়। যুক্তির অস্ত্র যাদের ভোঁতা তারাই ধারালো ধাতব অস্ত্র ব্যবহার করে। যুক্তিতে তারা অচল তাদের লজ্জাবোধ নেই। খুনী মৌলবাদীরা যুক্তি ও ভিন্নমতকে কখনো স্তব্ধ করতে পারেনি পৃথিবীতে। জামাত -শিবিরের মানবতাবিরোধী অপরাধী যারা আজকের তাদের আব্বাজান বিচারের মুখোমুখি তারাও ৭১ সালে একই রকম মত্ত মাতণ্ডের মত বর্বরতা চালিয়েছিল। ৪২ বছর পর হলেও তারা আজ পার পাচ্ছে না। এরাও পার পাবে না।
সরকারের কাছে একটা আবেদন কোন ধরনের অবহেলা না করে দ্রুত রাজীব হত্যাকারিদের খুঁজে বের করা। শাস্তি দেয়া হোক। হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার এখনও শেষ হয়নি। বিচার প্রক্রিয়া যেন আর প্রলম্বিত না হয়।
এটাও বলছি যে রাজীবের তথাকথিত নাস্তিকতা নিয়ে অনেকেই কথা বলছে। কিন্তু শাহবাগে যে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটা রাজীবের ব্যক্তিগত কোন বিষয় নয়। শাহবাগের গণদাবি রাষ্ট্রের মৌল চেতনা প্রতিষ্ঠার দাবি। এ চেতনা ও আদর্শ তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে যখন যুদ্ধাপরাধী ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রে বিভেদ সৃষ্টিকারিদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হবে। এটা রাজীবের একার চাওয়া নয়। যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবির ছাড়া দেশের সব মানুষ এজন্য অধীর অপেক্ষা করছে।
আর সরকারের সাইবার প্রশাসনের উচিত থাবা বাবার নামে ওয়ার্ডপ্রেসে যে ব্লগগুলো আছে সেগুলো সত্যি রাজীবের কিনা। তাহলে আন্দোলনে বিরোধিতাকারিদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া যাবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×