নিজের সমস্ত জমিয়ে রাখা রঙ গুলো কে দিয়ে
রংধনু আকার চেষ্ঠা করছি।
এটাকে ঠিক চেষ্ঠা বলা যাবে না,
এট কে অভিপ্রায় বলা যেতে পারে।
অভিপ্রায় শব্দটির সঙ্গে কেমন যেন একটা কাব্যিক ভাব রয়েছে,
কাব্যময়তা বা কাব্যিকতা কি এই ঠুনকো শহুরে বাস্তবতার বেমানন?
নাগরিক ব্যাস্ত সমাজকে আমি আসলে সস্তা রসিকতা বলব,
ঠাসবুনোটের বাসা এখন অদৃশ্যমান,
বাবলা গাছের ধার ঘেসে লতা গুল্ম ও জন্মায় না,
আমার পড়ার টেবিলটার পাশেই দুটি মাকড়সা বাসা বানাচ্ছে,
আমি প্রতিনিয়ত তাদের লক্ষ্য করি,
কি অসীম ধৈর্য তাদের, আটপৌড়ে বাস্তবার ভীড়েই চরম অনাদরে আর অবহেলায় বেড়ে উঠছে আমার মনটা;
নাগরিক সমাজে ছন্নছাড়া, উলটা পালটা অনেকটা বাউন্ডুলে টাইপের মনটাকে নিয়ে বেজায় বিপদে পড়েছি আমি;
পাখি প্রকৃতির চঞ্চল এই মন,
তারপরো মানিয়ে চলতে হয় আমাকে,
ইট কাঠের ভেজা ভেজা গন্ধ নাকে আসে আমার,
৪০০ বছরের পুরানো শহর।
নিশ্চই অনেক স্নৃতি, অনেক ইতিহাস,
আমি অবশ্য অত কিছু বুঝি না, আমি শুধু উপলব্ধি করতে পারি
এই আটোসাটো বাস্তবতার ভীড়েই মানিয়ে নিতে হবে আমার এই মনটাকে,
আর যাই হোক নাগরিক সমাজ বলে তো একটা ব্যাপার আছে।