মেঘদূত,
কিছু কথা আপনাকে না বলে পারছি না, আপনি যদি মানুষকে দু ভাগে ভাগ করেন, আস্তিক, নাস্তিক(সেটাই আপনি করেছেন) সেখানে আস্তিকের আছে মূল উপজীব্য তার অস্তিত্ব, নাস্তিকের কিন্তু সেটা নেই, অর্থাৎ আস্তিকের সম্বল অস্তিত্ব, এই অস্তিত্বই তার ধর্ম। আপনি যদি একজনের অস্তিত্ব নিয়ে টানা-হেঁচড়া করেন তাহলে সে অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরে আপনাকে প্রতিহত করবে এটাই স্বাভাবিক, আপনি যে অস্তিত্বহীনতাকে পুঁজি করে এত গালগাল করলেন সেই অস্তিত্বহীনতাকে শ্রদ্ধা করেন না কারন আপনি বিশ্বাস করেন অস্তিত্ব নেই! নিজের অবস্থানের পুঁজি হলো আপনার অস্তিত্বহীনতা মানে শূণ্য! আর অস্তিত্বকেও শ্রদ্ধা করেন না কারন অস্তিত্ব আপনার কাছে মূল্যহীন! তাই এমন নির্দ্বিধায় গালাগাল করতে পারেন ধর্ম নিয়ে! কিন্তু আস্তিকের কাছে সেই অস্তিত্ব কিন্তু অনেক কিছু! অনেক বেশি কিছু! আপনি নিশ্চয়ই আপন জনকে ধর্ষণ করে এমন লোককে সামনে পেয়ে ছেড়ে দেবেন না! আর আপন অস্তিত্বকে ধর্ষণ কেউ করার ধৃষ্টতা দেখালে তাকে স্বাগতম জানানোর কোন কারনও দেখি না!
ধর্মকে যে গালি আপনি দিয়েছেন তাও কিন্তু অস্তিত্বহীন! হা হা হা এভাবে নিজের মানবতাকে ছোট করে বড় হতে চাচ্ছেন কোথায় গিয়ে! মানুষতো নিজেকে ভালো ভাবতে ভালবাসে, নিজেকে সঠিক ভাবতে ভালবাসে, আমরা সহজাত ভাবে বিশ্লেষনেও পারদর্শী তাই না! তবু কেন আপনাকে এমন আক্রমণ করতে হবে মানব-ধর্ম কে? আমার কৌতুহলী প্রশ্ন সেখানেই! গোঁড়ামিকে যদি ঘৃণাই করেন সেটার মূলটা তুলে ধরেন।
আপনি আপনার কম্পিউটার যদি ঠিকমতো চালাতে না পারেন তাহলে নিজেকে গালি না দিয়ে কম্পিউটারকে গালি দেয়াটা হাস্যকর তাই না! সেখানে কম্পিউটারের দোষ কোথায়!
একটি সিস্টেমের ভূল না থেকে ব্যাবহারকারীর অপরাগতা থাকতে পারে! ব্যাবহারকারীকে গোঁড়া বলুন, তার গোঁড়ামি তুলে ধরুন! আপনি গড়পরতা ধর্মকে গালি দিয়েও কি গোঁড়ামি করছেন না!!! ধর্মকে গালি দিন নিজের রুমে বসে! একান্ত ভাবে। পাবলিক প্লেসে ধুম করে বলাটা আপত্তিকরই বটে!
এগুলা আপনার কাছে পৌছানোটাও আমার জন্য জরুরী না, চুপ না থেকে কিছু বলা আমার জন্য জরুরী ছিল!