somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুঘু-সুরের একেলা গান

০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্প
ঘুঘু-সুরের একেলা গান

সরসিজ আলীম

নতুন কবিতার বইয়ের ভেতর পৃষ্ঠার ভাঁজে একটি ঝরাপাতা আয়েশ করে ঘুমাচ্ছিলো, কিন্তু প্রেসার কুকারের গোঙানি, আর মৌসুমী ভৌমিকের ঘুঘু -সুরের একেলা গান পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যাচ্ছিলো। পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যাচ্ছিলো বলেই একটি পাতার ঘুম পালালো বা ঘুম ভাঙলো একথাটি বলার প্রয়োজন পড়বে না।

তবে একথাটি বলার প্রয়োজন পড়বে যে, বায়সী পড়শিদের চিৎকার ধোঁয়ায় বিকেলের ঘুম ভেঙেছে। ছয়তলা বিল্ডিংয়ের টপফ্লোরে থাকা বেশ অসুবিধার, বেশ অস্বস্তির, শীতে বেশি শীত, গরমে বেশি গরম। এই বেশখানিক বিরক্তির মধ্যে বেশ কিছুদিন হলো জুটেছে ধরাশায়ী পড়শি, আধাকাঁচা বসতির গাঢ় বুননের বাসিন্দা, আল্লার পেয়ারা দোস্তগণ, সময় অসময় নেই কারণে অকারণে যে চিল্লাচিল্লি আর ধোঁয়া ছড়ায়, তা অতিদ্রুত উপরে উঠে আসে, যা কানের ভেতর, নাকের ভেতর, চোখের ভেতর, চুলের কান্ডের ভেতর দিয়ে ঢুকে মগজের ভেতরে এমনভাবে ধাক্কা দেয়, পাকিস্থানের কোন মসজিদে আত্মঘাতি বোমা হামলা হয়ে গেলো যেন। ব্যাপারটি এমন এক পর্যায়ের মনে হয়, যেন প্রধানমন্ত্রিকে নির্দেশ দিতে হবে তিন বাহিনীকে সমন্বয় করে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য। নাহ্, সে নির্দেশটা না আসলেই ভালো! যে আগুনটা এক ঘন্টায় নিভবে, সরকারী নির্দেশের পর লাগবে পাঁচঘন্টা। এসব ভাবতে ভাবতেই বিকেলটা ওয়াশরুমে ঢোকে। শব্দের ধোঁয়া থেকে বাঁচতে শাওয়ারের নিচে কলাপাতা হয়ে বসে থাকে অনেকক্ষণ। শাওয়ারের জল গড়ানো গতি দেখে বোঝা যায়, বাড়িঅলা নিজেকে আগে বদলাতে শুরু করেছেন। হঠাৎ করেই বাড়িঅলী আপার কথা মনে পড়লো ভেজা-কলাপাতা-বিকেলের। আপা ডায়াবেটিসের রোগী, কিছুদিন হলো একটা অপরেশান করাতে হয়েছে, ক্ষতটা শুকাতে দেরি হচ্ছে, একদিন পর পর ড্রেসিং করাতে হচ্ছে! আহ্হা, আপার ঘা-টা যেন খুউব দ্রুত সেরে ওঠে! নিজমনে কথাগুলো এমনভাবে উচ্চারণ করলো, যেন উচ্চারণ করা-মাত্র ঘা-টা শুকিয়ে যাবে। শাওয়ার বন্ধ করার পর, ওয়াশরুমের দরোজা খোলার পরও কোন শব্দই আর কানে আসছে না, ভেজা কলাপাতায়-চিকচিকে-রোদ্দুর তাওয়াল দিয়ে ভেজাচুল ঝাড়তে ঝাড়তে বাথরুম হতে বের হয়ে তাজ্জব বনে যায়, ব্যাপার কি? টু শব্দটি নেই, তবে কি বিস্ফোরণের পর সব ধ্বংসস্তুপ! সব শেষ! তারপর ফোঁস ফোঁস বাতাস! নিজেকে খুবই হালকা লাগছে, এখন হাত দুটো বাতাসে ভাসিয়ে দিলেই উড়ে যেতে পারে একটি পালক। আহা, কী যে ভালো লাগছে! ওহ্হ, পেটটা খালি খালি লাগে। হ্যা, প্রতিদিনকার অভ্যাস, প্রতিসন্ধ্যায় ছোলা-ঘুঘনি রান্না করে মুড়ি মাখিয়ে খাবে। ছোলা পানিতে ভেজানো ছিলো, আলু আর স্পেশাল ফর্ম্যুলার মশলাপাতি দিয়ে প্রেশারকুকার চুলাতে বসিয়ে দেয়। পালকটি এই ফাঁকে পরিষ্কার-কোমল কাপড় দিয়ে কম্পিউটারটা, টেবিলটা তন্ন তন্ন করে মোছে, কম্পিউটারটা চালু করে। এরপর মৌসুমী ভৌমিকের গড়িয়ে-গড়িয়ে যাওয়া গান বাজিয়ে দেয়।
চোখ চলে যায় দূরে, চোখ গড়িয়ে যায় দূরে। ফিরে ফিরে আসে চোখ। চোখ গিয়ে বসে বইয়ের তাকে। বইমেলা থেকে আনা বইগুলো পড়ে আছে সেই থেকে। চোখ এগিয়ে আসে তাকের কাছে। একটা একটা বই হাতে তুলে নেয়। হ্যা, এটাতো উপন্যাস, এটা গল্প, এক তরুণ কবির কবিতার বই এটা। বইয়ের নামটা সুন্দর। প্রচ্ছদটাতে আকৃষ্ট হয়েই বইটা পছন্দ হয়েছিলো। গহিন অরণ্যের ভেতর একটা টিলা বা পুরাতন বৃক্ষের গুড়ি, সিডরের আঘাতে ডালপালাসহ কোমর ভেঙে দাঁড়িয়ে আছে। গুড়ির উপর দিয়ে লাল পশ্চিমাকাশ দেখা যায়। বৃক্ষ পরিবেষ্টিত। বৃক্ষের ঝোপ থেকে লতাগুল্মেরা ঝুলে পড়েছে টিলার গায়ে বা গুড়িটির গায়ে। বৃক্ষদের ঝোপ পেরিয়ে এসে পড়েছে অরণ্যের ভেতরে, ঢুকতে পেড়েছে তবু ম্লান রক্তিম আভা। প্রচ্ছদটি বেশ খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো চোখ। বইটা নিয়ে ব্যালকনির চেয়ারটাতে বসে।
চেয়ারটা পড়শিদের ছাদে ছাদে উঁকি দিয়ে বসে থাকে। সে এখন বই হাতে চোখকে কোলে কাছে পেয়ে বকবক জুড়ে দেয়। এই বুবু! আমাদের এই উত্তর পাশের বিল্ডিংটাতে পাঁচতলার ফ্ল্যাটের একটি মেয়ে দেখেছো না তুমি? শুধু গেঞ্জি পরে ব্যালকনিতে এসে বসে, ওর বুক-দুটো কেমন দেখা যায় বল? আমারই তো কামড়ে দিতে ইচ্ছে করে, আর তোমার হাজব্যান্ড দেখলে..., তুমি তো এমনিতেই তোমার হাজব্যান্ডকে নানা-পদের সন্দেহ আরোপ করো, আর করবেই-বা না কেন, ওর মোবাইলে খারাপ খারাপ পিকচার ম্যাসেজ পেয়েছো না তুমি? ওরকম সম্পর্ক না থাকলে কোন মেয়ে ওমন ছবি পাঠায়? এ বয়সে বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদের সাথে রাতদিন ফোনে এত কি বলার থাকে? যাগগে সেটা তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার ভাই! ঐযে পুবদিকের বিল্ডিংটাতে তিন বোনকে দেখেছো না? ছোটটা সবার থেকে লম্বা, মেঝোটা একটু খাটো কিন্তু গায়ের রঙ ওদুটোর চেয়ে উজ্জ্বল, সুইট গড়ন, আর বড়টা একটু স্থূলাঙ্গী, কিন্তু দেখতে খারাপ লাগে না। ওদের মধ্যে বেশ ভাব কিন্তু! ওদের ভাই নেই বলে কি এসে যায়! কিন্তু বাবা-মায়ের মনে একটা কবিতা কবিতা ভাব বয়ে যায়। প্রেসার কুকুারের গোঙানি-ফোঁসানিটা থামাও-না বুবু!
বুবু: Ñ আরে আর কয়েকটা হুইসেল দিক না! ছোলা ভালো করে সেদ্ধ হতে হয়।
চেয়ার: Ñতাহলে চলতে থাকুক হুইসেল। সবুজ রঙের টিনে ছাওয়া প্রাচীর ঘেরা বাড়িটার কুঁজো লোকটার ষাটের কাছাকাছি বয়স, এ বয়সে বাচ্চা জন্ম দিতে পারলো কিভাবে? মহিলার বয়সও-তো পঞ্চাশের কাছাকাছি, কাছাকাছি কেন পঞ্চাশোর্ধ!

প্রেসার কুকারের হুইসেলের ভেতর, মৌসুমী ভৌমিকের গান গড়ানোর ভেতর, ব্যালকনির চেয়ারটার বকবকের ভেতর নতুন বইটার, কবিতার বইটার পৃষ্ঠা উল্টানো চলছে। পৃষ্ঠার ভেতর ঘুম থেকে জেগে ওঠা পাতাটি কিছুক্ষণ চেয়ারের বকবকানি আর পৃষ্ঠা উল্টানো হাতের কথাবার্তা শুনে প্রসঙ্গের কোন মাথামুন্ডু না পেয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে গড়িয়ে ব্যালকনি থেকে বাতাসে ভর দিয়ে ক্রমশঃ নিচের দিকে গড়াতে লাগলো। টিনের চালের উপর গোঁফে তা’ দিয়ে একটি বিড়াল ঘুমিয়ে ছিলো, পাতাটি পড়লো গিয়ে বিড়ালটির গোঁফের উপর।
বইয়ে রাখা হাত উঠে গিয়ে কুকারের ফোঁপানি থামালো। ...আমার কিছু কথা ছিলো তোমায় বলার কেবল তোমায়... যেই না আমি ঠোঁট নেড়েছি সেই কথাটি তলিয়ে গেল... আমরা এখন একলা থাকি..., ঘুঘু-সুর ভেসে চলেছে, ভেসেই চলেছে মৌসুমী ভৌমিক।

গোঁফের তাড়া খেয়ে পাতাটি চলতে থাকলো বিড়ালের পায়ে পায়ে। পায়ে পায়ে সন্ধ্যা নামে সড়কে সড়কে। সড়ক গিয়ে বসে ছেলেরা-মেয়েরা-শিশুরা আকাশ দেখতে আসার ভিড়ে। ভিড় ছেড়ে আড়াল খোঁজে কিছু মেয়ে(লোক) কিছু পুরুষ(মানুষ)। মেয়ে আর পুরুষে খুব কাছাকাছি খুব কানাকানি কথা ফিসফাস চলে। তাদের অপেক্ষায় থাকে গাড়ি রিকশা। তারা হাত ধরাধরি গাড়ি রিকশা উঠে যায়। মেয়েটির ফেলে যাওয়া বড়শি-ফেলা চাহনি, ভ্র“র আঁচড়, আর ঠোঁট দিয়ে খামছে ধরাটা অসহায় করে তোলে পাতাটিকে।
যখন বৃষ্টির গানের তালে গাছেরা দুলতে থাকে, সেই দুলুনিতে কেবল ঘুমিয়ে যাওয়া পাতারা গাছের থেকে খসে পড়ে যায় মাটিতে। যে পাতাটি বয়ে চলা পানির তোড় পেয়ে যায়, ভাসতে থাকে, ডুবতে থাকে, চলতে থাকে। ঘাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে, ঘাস ফড়িংয়ের লাফ বুকে করে, লাফ মাথায় করে, ঝরাপাতার পথ পেরিয়ে, মেঠোপথ পেরিয়ে, শামুক গড়ানো পথে, এক কিশোরের শামুক থেতলানো পা, শামুকে কাটা পা, রক্তঝরা পা দেখে অসহায় করে তোলে নিজেকে হায় পাতাটি।

বুবু, তোমার পড়শি মহিলাটি দেখ, একাজ সেকাজ করতে করতে সন্ধ্যা নামে প্রতিদিন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় গোছলে যায়। আর তোমার দেখ, এঘরটার ভেতর গড়িয়ে বেড়ানো। এ বেলা ছোলামুড়ি চিবাচ্ছো, এত যে বকবক করছি তোমার সাথে তুমি একটুও বিরক্ত হচ্ছো না।

ভেসে যাওয়া অসহায় পাতাটি সাঁতার দিতে দিতে উঠতে পারে একটি মরাবৃক্ষের গুড়ির উপর। রোদে ডানা শুকিয়ে উড়তে লাগে হাওয়ায়। মরা ইঁদুর ছিঁড়ে খাচ্ছে কাক, হাওয়ায় উড়ছে মরা ফড়িংয়ের খসে পড়া ডানা। বালুর মাঠে শেয়ালের গর্তে ঢুকে যাচ্ছে হুহু বাতাস। গর্তের ভেতর ঘুমাচ্ছে বেশ কতকগুলো শেয়ালছানা। ডানার ঝটপটানি আর বালু উড়ে আসে, মা-শেয়াল গর্তে ঢোকে। ছানাগুলো মায়ের মুখ থেকে শিকার করা একটা মৃত মুরগিকে ছিনিয়ে নিয়ে টেনেছিঁড়ে খায়, ছিঁড়ে পড়া পালকগুলো হাওয়ায় ওড়ে, ছড়িয়ে পড়ে সারা বালুর মাঠ। হাওয়ায় ওড়ে বুক চাপড়ানি আর একটি মেয়েলি চিৎকার, অসংখ্য মেয়েলি চিৎকার হয়ে নাচে তালগাছের মাথায়, বুড়ো বটগাছটির ঘাড়ে। ...হায়! হায়! আমার (মুরগির) বাচ্চাগুলোর এখন কি হবে! গ্রামীন ব্যাংকের কিস্তির কি হবে!... শোরগোল বাড়তে থাকে, নিকটবর্তী গ্রাম থেকে শোরগোল গড়াতে থাকে, গড়িয়ে আসে পুকুর পেরিয়ে মেঠোপথে, পথ পেরিয়ে ক্ষেতের আইলে, শোরগোলের সারি বালু ওড়াতে ওড়াতে এসে শেয়ালের গর্ত ঘিরে থমকে পড়ে। বালুর মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা শেয়ালের গর্তের সব মুখগুলো একে একে বন্ধ করে দেয় গ্রামবাসী। হাতে হাতে নাড়ার আগুন ঢেলে দিতে থাকে কেবল একটা গর্তমুখের ভেতর। আগুন জ্বলতে থাকে, ধোঁয়া উড়তে থাকে সারামাঠ। বুক চাপড়ানি জ্বলতে থাকে গর্তের ভেতর। গর্তের ভেতর ইরাক, ফিলিস্তিন, আফগানিস্থানের শিশুরা পুড়তে থাকে। মুরগিছানারা ফিরে যায় ঘরে, ডাকাডাকি ভুলে গিয়ে খুদ খুঁটে খায় নিজেদের মতো করে। পাতাটি ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় ভেসে যায় সারামাঠ। সারামাঠের পোড়াগন্ধের ভেতর দৌড়ে বেড়ায়, ইরাকের শিশুদের কান্নার ভেতর, ফিলিস্তিন শিশুদের কান্নার ভেতর, আবগানিস্থানের শিশুদের কান্নার ভেতর।

চেয়ার: Ñ বুবু, তোমার মৌসুমী ভৌমিকের গান আর তো বাজে না, একটা কবিতা পড়ে শোনাও না!
বুবু: Ñ কবিতা শুনবে তাহলে! তুমি তো সারাদিন আকাশ দেখে দেখে কাটাও। তবে শোন:

চক্ষুচড়কগাছ, বিকেল তোমাকে মনভালো হাওয়ায় বসিয়ে রেখে পাখিদের ডানায়
রৌদ্রের ওড়াউড়ি দেখেছে,
বিকেল তোমাকে মনখারাপ হওয়া ছাতার তলে বসিয়ে মাঠে মাঠে ভিজেছে,
বিকেল তোমাকে দূরপাহাড়ের সৌন্দর্যে ভিরমি খাইয়ে অকপটে বলেছে কোন
বয়েসী মেয়েদের বুকে কোন কুসুমের সৌরভ থাকে।

চক্ষুচড়কগাছ, বিকেল তোমাকে কাঁধে কাঁধ পায়ে পা মিলিয়ে মিছিলে নিয়েছে, আর
শ্লোগান দিয়েছে: শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই, শ্রেণীর বিরুদ্ধে লড়াই,
বিকেল তোমাকে সুউচ্চমঞ্চে দাঁড় করিয়ে জনতার বিশাল কাতারে ঘোষণা করেছে:
রাষ্ট্রতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই,
বিকেল তোমাকে সমুদ্রের সামনে দাঁড় করিয়ে গলা ফাটিয়ে বলেছে:
সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।

পাতাটির খুব ঘুম পাচ্ছে, এত কান্নার ভেতর, এত ধোঁয়ার ভেতর ঘুম হবে না। ঐযে একটা গান বেজে চলেছে হাওয়ায়:

নিশি-পাওয়া পুরুষের হাত ধরে তুমি গেলে উড়তে উড়তে
দখিনা বাতাস গেলো না, পূর্ণিমার দোল গেলো না
খোঁপায় একটি জোনাকির আলো বসতে পারলো না
পিছু ফেরা, খসা খোঁপা, খোলা চুল গেলো উড়তে উড়তে

কেউ একজন প্রতীক্ষা করে, কেউ একজন প্রতীক্ষা করছি...
ফিরে এসো ফিরে এসো কেউ তোমার জন্য অপেক্ষা করছি...

আপাতত এই গানের ভেতর ভেসে থাকুক পাতাটি। উড়তে উড়তে ঠিকই খুঁজে পাবে নতুন কোন ঠিকানা। হ্যা, পাওয়া যেতে পারে অলস দুপুরকে কেটে কেটে একটি প্রাচীন বৃক্ষের গায়ে ক্ষত এঁকে যায় একটি কাঠঠোকরা, কোন সুযোগ-সন্ধানী পাখি-দম্পতি বাসা বাঁধার আগেই পাতাটি দখল নিতে পারে। একটা নিশ্চিন্ত ঘুমের আবাস পাওয়া যেতে পারে।

বুবু, তোমার আমার এই জীবনের কোন মাথামুন্ডু আছে! আমাদের গল্পের কোন মাথামুন্ডু হয়!


ংড়ৎড়ংরলধষরস@মসধরষ.পড়স, াড়হব২০০৮@ষরাব.পড়স, াড়হবঢ়ৎড়শধংয@মসধরষ.পড়স,
বশলযধশঢ়ধশযর@ুসধরষ.পড়স
০১৯১৬ ৪৫৬ ৮৭২
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:৩৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×