somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিয়ার্স গার্লস : এ কোন্ ধরনের ক্রীড়া সংস্কৃতি

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল- এ কথাটি আমরা সকলেই পরিজ্ঞাত। তাই দেহ-মনের সুস্থতার জন্য খেলাধুলা অপরিহার্য। পাশাপাশি সুস্থ বিনোদন দেহ ও মনের খোরাক জোগায়। তাই বিনোদনের জন্য খেলাধুলা অন্যতম। বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে সাধারণত খেলাধুলা বা বিনোদনের তেমন কোন মাঠ বা প্লে স্পট না থাকায় উন্মুক্ত মাঠে ময়দানেই বিনোদনের নিমিত্তে নানা ধরনের খেলাধুলা গ্রামীণ ছেলেপেলেরা করে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, দাড়িয়াবাঁধা ইত্যাদি। হালে অবশ্য সে সমস্ত খেলাধুলা সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটেছে। শহুর সংস্কৃতির সাথে সাথে গ্রামীণ জীবনেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যেমন শহরে এখন গ্রামীণ সেই ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার প্রচলন আর নেই। এখন সেখানে আছে আধুনিক বিশ্বের নতুন নতুন খেলার প্রচলন এবং আরো নিত্যনতুন সংযোজন হচ্ছে। শহরের খেলাধুলার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, গলফ, ফুটবল, টেবিল টেনিস, স্কোয়াসসহ নিত্য নতুন খেলাধুলা। যাতে প্রযুক্তির ব্যবহারও সমান তালে এগিয়ে চলেছে। এতে অবশ্য জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ আরো অনেক প্রযুক্তির ডিজিটাল প্রোগ্রামের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, যা বিনোদন সহায়ক উৎকর্ষতার পরিচায়ক। যাই হোক, আমার আজকের প্রসঙ্গ : শহরের খেলাধুলার মান এবং দর্শকদের রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে পর্যালোচনা। আগেই বলেছি, সুস্থ বিনোদন দেহ ও মনকে প্রফুল্ল করে এবং তা জীবনের জন্য প্রয়োজনও বটে। কিন্তু তা যদি হয় বিড়ম্বনা ও বিরক্তির কারণ, তখনই প্রশ্ন জাগে- এ কোন ধরনের ক্রীড়া সংস্কৃতি যা মানুষের সুস্থ বিনোদনের পরিবর্তে বিকৃত সংস্কৃতি ও রুচিবোধগর্হিত অপসংস্কৃতির দেহবল্লরী প্রদর্শন মাত্র! কেননা, উর্বশী তন্বী তরুণীর উদ্যাম নৃত্যছন্দের মাধ্যমে পাশ্চ্যাত সংস্কৃতির উগ্রনারীর দেহ প্রদর্শনই যদি মুখ্য হয় তাহলে তাকে আর সুস্থ বিনোদন বলা যায় না। তা সর্বোতই কু-রুচিপূর্ণ এবং মুসলিম সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক। ইদানীংকালে পাশ্চাত্য জগতের মত আমাদের দেশেও সংস্কৃতি বিনোদন অর্থাৎ খেলাধুলার মধ্যেও অনাবশ্যকভাবে পাশ্চাত্য ঢঙ্গে তথাকথিত ‘চিয়ার্স গার্লস' দের ব্যবহার করা হচ্ছে। যা এদেশের জাতিসত্তা ও সংস্কৃতির সম্পূর্ণ বিরোধী। অন্তত এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মনুষ্যত্ব ও সংস্কৃতিবিরোধী এ ধরনের লাম্পট্য ও কু-রুচিপূর্ণ নৃত্য ঢঙে নারী দেহের উন্মাদনা প্রদর্শন করে দর্শক আকর্ষণের এ কোন ধরনের অভিলাষ পূরণে ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ এগিয়ে চলেছেন, তা সুস্থ মানসিকতাসম্পন্ন জনগণের কাছে এক বিরাট প্রশ্ন! এ ব্যাপারে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখবেন কী? কেননা আজকাল টিভি বা বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে ক্রীড়ামোদিরা ঘরে বসে সেটের সামনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যখন খেলা দেখতে বসেন ঠিক তখনই খেলার মাঝখানে এ ধরনের চিত্তাকর্ষক (!) প্রাণোন্মদনার উদ্দেশ্যে যদি টিনএজার ‘চিয়ার্স গার্লস'দের দেখানো হয়। তখন সকলকেই এক বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। যা আমাদের মর্মপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর যখন একটুখানি সুস্থ বিনোদনের জন্য আয়েশ নিয়ে টিভি সেটের সামনে খেলা দেখার জন্য বসা হয়, তখনই সুস্থ মনটা অসুস্থ হয়ে মানসিক বিষাদ বাড়িয়ে দেয়। অতএব সুস্থ বিনোদনের জন্য সুস্থ পরিবেশ চাই। তাই আমরা আশা করব আগামী দিনগুলোতে যখনই খেলাধুলা বিটিভিসহ বিভিন্ন চ্যনেলগুলোতে প্রদর্শন করা হবে তখন যেন ক্রীড়াসংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ সুস্থ ধারার বিনোদন সংস্কৃতি প্রদর্শনের মাধ্যমে আমাদের খেলাধুলার জগতকে শিল্পমানসম্মত ক্রীড়ানুরাগ দর্শকদের জন্য ক্রীড়া অকর্ষণ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন। বাংলাদেশ সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের প্রতি আন্তরিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন ভবিষ্যতে জাতীয় কৃষ্টি ও কালচারের বিপরীত এ ধরনের অপসংস্কৃতির সয়লাব ঘটিয়ে বিনোদনের সংস্কৃতির নামে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ঈমান আকীদাবিরোধী অপসংস্কৃতি রোধ করে সুস্থ বিনোদন ও ক্রীড়া সংস্কৃতি বিকাশে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে গোটা দেশবাসী আগামীদিনে তাই প্রত্যাশা করে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×