মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতন। ১৪ জুলাই ২০০৮ তারিখে একটি স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়েছিল। লক্ষ্মীপুর জেলার মজু চৌধুরী হাটের মেঘনার বুকে এক জেলে জনগোষ্ঠীর বাস। নদী ভাঙ্গনে বরিশাল, চাঁদপুর, ভোলা থেকে প্রায় ৭০-৮০ বছর আগে কিছু পরিবার এখানে এসেছিল। সম্বল একটি নৌকা। স্লুইস গেট লাগোয়া নদীর এই অংশটুকু শান্ত থাকায় এখানেই আস্তে আস্তে গড়ে উঠে একটি জনপদের। নৌকাতেই তাদের জীবন-যাপন।
এখানকার শিশুরা শিক্ষা বঞ্চিত। প্রায় ১ বৎসর ৪ মাস হয়েছে আমরা একটি স্বপ্নের বীজ বপন করেছি। এটি এখন একটি চারাগাছে রূপান্তরিত হয়েছে। আসুন দেখি স্কুলটি এখন কেমন আছে...
প্রথমে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং সা.ইন.ব্লগ এবং প্রথম আলো ব্লগের বন্ধুদের আর্থিক সহায়তায় স্কুলের একটি সাধারণ অবকাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে।
সুশৃঙ্খলভাবে শিক্ষার্থীরা পড়ছে। ইতিমধ্যে ওরা অআকখএবিসিডি১২৩ওয়ানটুথ্রি লিখতে শিখেছে। সুন্দর করে নিজের নাম লিখতে শিখেছে।
দুইজন ম্যাডাম শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক ফাইনাল পরীক্ষা শুরু।
নদীর বুকে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বসবাসরত জেলেদের নৌকার ঘর-সংসার। এদের সন্তানরাই এই স্কুলের শিক্ষার্থী।
শিশুদেরকে প্রথম আলো ব্লগের চট্টগ্রাম মিটআপ থেকে সাদি ভাইয়ের পাঠানো খাতা প্রদান।
প্রথম আলো ব্লগের নামাঙ্কিত খাতা পেয়ে শিশুদের উল্লাস-
ছেলেটির নাম মরু। ওর বাবা মা কেউই বেঁচে নেই। দাদীর সাথে মেঘনা নদীর বুকে নৌকার থাকে। মরু মেঘনাপাড় ধীবর বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থী। খাতা-বই-কলম পেয়ে ওর চোখ দুটোতে ভবিষ্যতের কী স্বপ্ন ভেসে উঠেছে কে জানে!
এমপ্লয়মেন্ট ফোকাসড লারনিং বাংলাদেশের (ইএফএলবিডি)পক্ষ থেকে শিশুদের বই দিচ্ছেন স্কুলের ম্যাডাম ফারজানা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড স্কুলের জন্য এক টুকরো জমি দিয়েছে। এখানে এই শিশুদের জন্য একটি চমৎকার স্কুল করার পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি আপনারাও আমাদের এই প্রচেষ্টার সাথে থাকবেন।