সিরিয়ায় সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ বলেছেন, সামরিক হামলা থেকে যুক্তরাজ্য সরে গেলেও এতে তার দেশের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।
Published : 30 Aug 2013, 06:32 PM
সিরিয়ায় হামলার সব বিকল্প পথই বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন অলন্দ। তাছাড়া, কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে হামলা চালানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
জনগণের ওপর মারাত্মক রাসায়নিক গ্যাস হামলা চালানোর জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারকে শাস্তি দিতে সেখানে সামরিক হামলা চালানোর কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল এ লক্ষ্যে একটি জোট গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলার পর ফ্রান্স এতে সাড়া দিল। ব্রিটেন এরই মধ্যে পার্লামেন্টের ভোটে সিরিয়া অভিযান নাকচ করেছে।
কিন্তু ব্রিটেনের এ পদক্ষেপে কিছু যায় আসে না উল্লেখ করে ফরাসি দৈনিক ‘লা মন্ডে’র সঙ্গে শুক্রবার এক সাক্ষৎকারে অলন্দ বলেছেন, দামেস্ক সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়াকে তিনি সমর্থন করেন।
ব্রিটেনকে ছাড়া ফ্রান্স সিরিয়ার বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নেবে কিনা -এ প্রশ্নের জবাবে অলন্দ বলেন, “ হ্যাঁ।সামরিক অভিযানে অংশ নেয়া না নেয়ার ব্যাপারে প্রতিটি দেশই স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ব্রিটেন নিজের স্বাধীনতায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্সও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সার্বভৌম”।
ব্রিটেনের মতো সিরিয়ায় সামরিক হামলার বিপক্ষে রয়েছে রাশিয়া, চীন এবং জার্মানিও। ওলাঁদ বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এর স্থায়ী সদস্য দেশ চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলেও আরব লিগ ও ইউরোপীয় দেশগুলো মিলে একটি জোট গড়া যেতে পারে।