বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে চায়ের আড্ডার মজাটাই যেন অন্যরকম। আজ ক্লাসের ফাঁকে বন্ধুরা বসলাম চায়ের আড্ডায়, ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে। চায়ের অর্ডারের পর আড্ডার ফাঁকে চা নিয়ে হাজির ১০-১২ বছরের এক ছেলে। দেখে খুব খারাপ লাগল এই ভেবে যে যেই বয়সে একজন শিশুর বই খাতা নিয়ে স্কুলে থাকার কথা, সেই বয়সে একজন শিশু চায়ের দোকানে কাজ করছে। শুধু কি চায়ের দোকান? প্রতিদিন কত কারখানা, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ বা ইট ভাঙার কাজ করে কত শিশু শ্রমিক। বাংলাদেশের আইন কি বলে তা আমার জানা নেই, কিন্তু আমরা কি তৈরি করছি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে? আজ হয়ত এরা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করে, ইট ভাঙে, কারখানায় কঠিন কাজ করে, কিন্তু ভবিষ্যতে? কি করবে এরা ভবিষ্যতে? দেশের উন্নতিতে কি হবে এদের ভূমিকা? হয়ত এরা একদিন পেশা পরিবর্তন করে জড়িয়ে পড়বে অন্য কোন পেশায় যাতে তাদের মেধা বা স্বকীয়তার কোন পরিচয় থাকবে না। পরিণত বয়সে অনেকে জড়িয়ে যাবে বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে, সমাজকে করে তুলবে অস্থির। আর তখন এদেরকে দমন করতে আবার আমাদের র্যাব-পুলিশ বাহিনী চালাবে ক্রসফায়ার। কিন্তু আসলে কি দোষ এই নিষ্পাপ শিশুদের, যাদের পরিণত জীবনের নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না? পারি না যাদের সুন্দর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিতে। সোনার চামচ মুখে না দিয়ে জন্মানোই কি তাদের অপরাধ? একজন মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। আর এই অধিকার কতটুকু পূরণ করছে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র? একজন উচ্চবিত্তের সন্তান যখন স্কুল ব্যাগ কাঁধে রওনা দেয় কোন ইংলিশ মিডিয়াম বা উচ্চমানের স্কুলে, তখন নিম্নবিত্তের সন্তান বের হয় জীবিকার তাগিদে, সামান্য প্রাথমিক শিক্ষাও জোটে না তাদের ভাগ্যে। আর এভাবেই জীবনের প্রথম ধাপ থেকে আমাদের সমাজ শেখায় শ্রেণী বৈষম্য। যদি আমরা এই শিশুদের শিক্ষার নিশ্চয়তা দিতে না পারি তবে কিভাবে গড়ে তুলতে পারব স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ? শুধুই কি তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে, শিক্ষিত ও আলোকিত জনগোষ্ঠী সৃষ্টি ব্যাতিরেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন সম্ভব? অবশ্যই নয়। তাই আসুন, আমরা অন্ততঃ শিশুশ্রম বন্ধ করি। সকল শিশুর জন্য সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করি। জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে আমাদের সবার অংশগ্রহন সমানভাবে প্রয়োজন। শুধু আমরা যদি সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকি, তাহলে সরকার একা আর কতদুর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এই দেশ? এই দেশ আমাদের সবার। তাই দেশের যেকোন উন্নয়নে প্রয়োজন সকলের সমান এবং সক্রিয় অংশগ্রহন। আমাদের অনেকের বাসায় আমরা আমাদের কাজের জন্য যে শিশু নিয়োগ করি তাও কিন্তু শিশুশ্রমের মধ্যে পড়ে। তাই আমাদের সবারই উচিত জাতীয়স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ এই স্পর্শকাতর বিষয়ে সম্মিলিত ভাবে কাজ করা। একজন শিশুর কাজ করার ক্ষমতা আর কতটুকুই বা হতে পারে? যে কাজটুকু আমরা পূর্ণবয়স্ক মানুষরা করতে পারব না। আমি আপনি যদি এগিয়ে আসি তাহলে অবশ্যই শিশুশ্রম প্রতিহত করা সম্ভব। আর সামর্থ্যবানরা যদি শিশুশ্রম বন্ধে এগিয়ে আসেন, তবে আমরা খুব সহজেই পারি এই সমস্যা দূর করে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে।
অপরাধের সেকাল ও একাল
সেকাল
--------------------------------------------------------
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা হেনরি বেভারিজ ছিলেন বৃটিশ-ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য৷বেভারিজ ১৮৭০ সালের মার্চ হতে ১৮৭১ সালের মার্চ এবং ১৮৭১ সালের জুন থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তির কোরাস দল
ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!
নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী
আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিশ্ব কবি
বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।
কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।
সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।
যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন