somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অ আ আজকের লেখালেখি - ২৪৩ (মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ আমার চিরদিনের অহংকার)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"মুক্তিযুদ্ধ" শব্দটা কারো মুখে উচ্চারিত হলেই আমার ভিতরে অদ্ভূত একটা শিহরন জাগিয়ে তুলে।

বাবার কাছে যখন মুক্তিবাহিনীর গল্পগুলো শুনি তখন খুব আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি। বাবারা কিভাবে পরিকল্পনা করতেন, বাবার সাখে খোকা চাচা, মতি চাচা, মুক্তা চাচা, মুরাদ চাচা সবাই মিলে ঝটিকা হামলা চালাতেন ঢাকাতে। বাবার অপারেশন গেরিলা টিমে বাবা একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন যিনি গাড়ী চালাতে পারতেন। প্রতিটি অপারেশনে বাবা গাড়ী চালিয়ে যেতেন। বিজয় নগর ওয়াসা ভবন উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

আমার বড় হওয়ার সময়ের গল্পগুলো সবগুলো মুক্তিযুদ্ধ। আমি ছোটবেলা থেকে আফসোস করে আসছি, "ইশ! বাবার সাথে যদি যুদ্ধে যেতে পারতাম, তাইলে একদম সব হানাদারকে মেরে ফেলতাম"। বাবা হাসেন আর বলেন, "খোকা! যুদ্ধ কোন খেলা নয় এইটা অনেক কঠিন একটা কাজ। সবাই পারে না"।

আমরা প্রতিদিন না খাওয়ার কথা ভাবতে পারি না, নির্ঘুম রাত কাটাতে পারি না। আমরা ভয় পাই দুম করে মরে যেতে। আমরা অন্ধকার হলে বাড়ী ফিরে চলি। ক্লান্ত হলে নরম ফোমের বিছানা খুঁজি। আমরা মাইলের পর মাইল না খেয়ে হাঁটি না। আমাদের কোন বন্ধু কবর খোরার মতন আমাদের মানসিকতা আমাদের নেই। আমরা রেডিও শুনে উজ্জীবিত হতে প্রস্তত নই।

অথচ ঠিক বেয়াল্লিশটা বছর আগে এই আমার বয়সে একটা যুবক বন্দুক হাতে নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। সারাদিন পানি খেয়ে আছে। সারা শরীর জুড়ে মাইলের পর মাইল বয়ে বেড়ানো ক্লান্তি। ঘুমানোর জায়গা নেই। মশারা কামড়াচ্ছে কিছুক্ষন পর পর। রেডিও খবর বাজছে।

আমি গর্ব করি এই যুবকটাই আমার বাবা। আমার অহংকার আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা ও আমার স্বপ্নের মুক্তিযুদ্ধ।

৯ই ফ্রেবুয়ারী , ২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২৪৩/৩৬৫
(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×