প্রত্যেকটা শুরুর একটা সম্বোধন থাকে। আমি কি সম্বোধন করব? দ্বিচারিনী? তোমার নাটকের শেস অংশটা শুরুর চেয়েও ড্রামাটিক। তবে আমি তোমাকে গেমার বলব না। হয়ত আমার নিয়তি এমন ছিল।
নিস্কৃতির অবগাহন থেকে বিঃস্মৃতির কালো রাস্তা অনেক মসৃন হয়। হৃদয়ের রক্তক্ষরনের চেয়ে মস্তিস্কের রক্তক্ষরন অনেক শান্তির। আমি নিস্কৃতি চাইনি। যদিও আমার যেকোন চাওয়ার কথা তোমাকে বলা মুল্যহীন। তারপর্ও কেন জানিনা তোমাকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে ভাল কিছুর ফিডব্যাক চাওয়া আর সহজ মনেহয় নিশ্চিন্তে ধ্বংশ করা। আমার কপাল খুব ভাল। কেননা আমি বিদ্রোহী; দেবদাস নই।
তোমার মুখোমুখি আমি যেকোন সময় হতে পারি। তোমার সব তথ্য আছে আমার কাছে। কিন্তু একজন বিবেকহীন, নীতিহীন মানুষের সামনে আমি কেন দাড়াবো? আচ্ছা তুমি কি সত্যিই মানুষ?
জড় পুতুল নিয়ে খেলে বড় হয়েছো। এখন জীবন্ত পুতুল চাও? যদি আমি তোমার খেলার প্রথম মানুষ হয়ে থাকি তাহলে দ্বিতীয় কাউকে খুঁজো না। আমি জানি আমি অনেক শক্ত মানুষ। তারপরও তোমার গেম আমাকে টলিয়ে দিয়েছে। অন্য কেউ হয়তো সহ্যই করতে পারবেনা!!
সবচেয়ে বড় জোকস কি জানো? তুমি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছ আর আমিও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম। হা-হা-হা-হা । আমি খুব বোকার মত তোমাকে ভালোবেসেছি। নিজেকে কষ্ট দিতেও লজ্জা লাগে।
ফোন বন্ধ করে দেওয়ার পর আমি পাগলের মত খুজেছি তোমাকে। কোথায় আছ, কেমন আছ, বেচে আছ নাকি কোন দুর্ঘটনা ঘটল??? দু:শ্চিন্তা আর যোগাযোগ করতে না পারার আত্নহাহাকারে কাটতে লাগল আমর প্রতিটি মুহুর্ত। আমি কতো বড় গাধা, তাই না? পরে জানলাম তুমি দিব্বি ভালো মানুষের মত ঘুরে বেরাচ্ছ। সবকিছুই করছ। শুধৃ আমার সাথে যোগাযোগ ছাড়া। কি সেলুকাস!
আচ্ছা বলতে পারবা আমার কোন সত্তা এখনও তোমাকে খোঁজে? হয়তো ফিরবে! এটাই কি সেই চিরাচরিত নষ্ট সত্তা যা লোভ, পাপ আর কামনার পিছু ছোটে? নাকি পবিত্র সত্তা? যার জন্য পৃথিবী আজও ধ্বংশ করেন না সৃষ্টিকর্তা।
লেখাগুলো কখনও তোমার পড়া হবে কিনা, জানিনা। তবে খড়-কুটোর মত কোন এক ঠুনকো বিশ্বাস বলে, তুমি পড়বে। হয়তো এটাও মিথ্যা হবে। তোমার মিথ্যার সম্মোহন অনেক বেশি। ভাল থেকো নিজের মত করে তবে অন্যকে ধ্বংশ করে নয়।.........
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪০