somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিংবদন্তি সত্যেন সেন

৩০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিংবদন্তি সত্যেন সেনঃ শোষিত মানুষের বিপ্লবী কথাশিল্পী
‘সত্যেন সেনের সাহিত্যকর্ম সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার একটি মহৎ নিদর্শন। এক্ষেত্রে তিনি বাংলা সাহিত্যের অনন্য পথিকৃৎ। মানুষের জীবন ও ইতিহাসকে যে রচনাকার সামগ্রীকভাবে অবলোকন করতে সক্ষম না হন, যিনি মানব সমাজটাকে তার বর্তমানের সকল বৈষম্য দূর করে সঙ্গতিপূর্ণ এক মানব সমাজ সৃষ্টিতে নিজেকে উৎসর্গ না করেন এবং যিনি দূরগামী সেই লক্ষ্যকে নিত্য মুহূর্তের কর্ম ও আচারণের সঙ্গে যুক্ত করতে না পারেন, তাঁর পক্ষে সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার অনুপ্রেরণাদায়ক সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব নয়। কারণ সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার সাহিত্যিক ও তাঁর সৃষ্টি অবিচ্ছেদ্য। উভয়কে নিয়ে সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতার সাহিত্যিক। সত্যেন সেনের জীবন ও সাহিত্য সাধনা এই সত্যেরি সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর সাহিত্য বাংলাদেশের সচেতন সাহিত্য এবং সমাজকর্মীদের জন্য সত্যেন সেনের সাহিত্য নিত্যমুহূর্তের পথ প্রদর্শক এবং অনুপ্রেরণার উৎস স্বরূপ’।-----সরদার ফজলুল করিম
বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেনের সৃষ্টি ও দর্শন বাংলা সাহিত্যের একটি নতুন মাত্রা। তাঁর সৃষ্টিকর্ম মূলত সংগ্রামী ও শোষিত মানুষকে কেন্দ্র করে। তাঁর সাহিত্যকর্মের মৌলিক দর্শন হলো শোষণ-বৈষম্যের অবসান এবং সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার চেতনা নির্মাণ। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তিনি আমৃত্যু পথ চলেছেন। গড়ে তুলেছেন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। তুলে এনেছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের জীবন্ত লড়াই-সংগ্রামের মানুষগুলোকে। তাঁদের জীবন-সংগ্রামকে ইতিহাসের পাতায় সাহিত্যিক রূপ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যাকে আমরা বলি রাজনৈতিক সাহিত্য।
এই সংগ্রামী মেহনতি মানুষের বাস্তব জীবনের কথাগুলোকে লয়, তাল, সুর আর ছন্দে গেঁথে তাঁর শেণির কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁদের উজ্জীবিত করতে গড়ে তুলেছেন গণসঙ্গীত শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী। এই প্রতিষ্ঠান এদেশের মেহনতি মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে। সত্যেন সেন নিজেও অসংখ্য গণসঙ্গীত রচনা করেছেন। তাঁর সঙ্গীতে রয়েছে মেহনতি মানুষের অধিকারের কথা, শ্রম-শোষণের কথা ও শোষণমুক্তির জন্য গণ-বিপ্লবের আহ্বান। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এদেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক ধারার সংস্কৃতি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সত্যেন সেনের সৃষ্টিকর্ম ও সাহিত্য হলো সমাজ বাস্তবতার স্পষ্ট প্রকৃতি-স্বরূপের প্রতিচ্ছবি। তাঁর জীবনের সকল কিছুতেই মৌলিক বিষয় হিসেবে কাজ করেছে মানুষের জীবন-সংগ্রাম ও শ্রম-সভ্যতার ইতিহাস। তিনি বলতেন এই সমাজ-সভ্যতার ইতিহাস মূলত মানুষের ইতিহাস। ইতিহাসের বস্তুনিষ্ঠ বিচার-বিশ্লেষণ এবং সত্য, সুন্দর ও সাম্যের জীবনই গড়াই ছিল তাঁর সাহিত্য-দর্শনের মূলবিষয়। যা ইতিহাসে বিরল। প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড সুনীল রায় সত্যেন সেনের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে মূল্যায়ন করে বলেন, ‘সত্যেন সেন সাহিত্য সৃষ্টি করেছিলেন সাহিত্যিকের খাতায় নাম লিখানোর জন্য নয়, মানুষের সংগ্রাম ও সমাজ-প্রগতির সংগ্রামকে শানিত করে তোলার জন্য’।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যত কিংবদন্তি বিপ্লবী সত্যেন সেনের জন্ম ১৯০৭ সালের ২৮ মার্চ। বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সীগঞ্জ) জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার সোনারং গ্রামের সেন পরিবারে। ছোটবেলায় তাঁর ডাক নাম লস্কর। বাবা ধরনীমোহন সেন, মা মৃণালীনি সেন। চার সন্তানের মধ্যে লস্কর ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। সোনারং গ্রামের সেন পরিবার ছিল শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার এক অনন্য উদাহরণ। লস্করের কাকা ক্ষিতিমোহন সেন ছিলেন বিশ্বভারতীয় উপাচার্য। আর এক কাকা মনোমোহন সেন ছিলেন শিশুসাহিত্যিক।
পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। প্রাইমারী ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনাও পরিবার ও গৃহ শিক্ষকের কাছে সম্পন্ন করেছিলেন। ১৯১৯ সালে সোনারং হাইস্কুলে তার শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ১৯২১ সালে তিনি যখন সোনারং হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তখন থেকেই তার মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ লাভ করে। বাল্যকালেই সত্যেন সেন নিজ হাতে লেখা পত্রিকা বের করেছিলেন। মাধ্যমিক পাস করে কলকাতায় কলেজে ভর্তি হন। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি যুক্ত হন বিপ্লবী দল যুগান্তরের সাথে।
ছাত্র অবস্থায় ১৯৩১ সালে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রথম কারাবরণের বাধ্য হন। বহরমপুর বন্দি ক্যাম্পে থেকেই শুরু হয় তার জেলজীবন। এ সময় তিনি ৩ মাস জেলে ছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লববাদী আন্দোলনের যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনি ১৯৩৩ সালে দ্বিতীয় বার গ্রেফতার হন। এ সময় তাঁর ৬ বছর জেল হয়। তখন তাঁর স্নেহময়ী মা প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলো। ছোট সন্তানকে দেখার জন্য শত আকুতি জানিয়েছিলেন পরিবারের কাছে। কিন্তু সে সুযোগ তিনি আর পাননি। সত্যেন সেন ১৯৩৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পান। ওই বছর শান্তি নিকেতন থেকে তাঁকে দেয়া হয় ‘গবেষণা বৃত্তি’। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলায় এমএ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
১৯৪২ সালের ৮ মার্চ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে এক সমাবেশে শহীদ হন ফ্যাসিবাদ বিরুধী বিপ্লবী কথা শিল্পী সোমেন চন্দ। এ সময় ফ্যাসিবাদ বিরুধী আন্দোলনে সত্যেন সেন কার্যকারী দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৩ সালের মহাদুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় ‘কৃষক সমিতি’র মাধ্যমে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। কৃষক সমিতির নেত-কর্মীকে নিয়ে দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় কাজ করেন। ১৯৪৬ সালে আইন সভার নির্বাচনে কমিউনিষ্ট নেতা ব্রজেন দাস ঢাকা থেকে প্রার্থী হন। ব্রজেন দাসের পক্ষে সত্যেন সেন নির্বাচনী প্রচারণা চালান।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন ভারত সৃষ্টি হওয়া পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৮ সালে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। ১৯৪৯ সালে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য তাঁকে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী গ্রেফতার করে। আবার দীর্ঘ কারাভোগ। ওই সময় কারাগারে কমিউনিষ্টদের প্রতি নানা অত্যাচার ও নির্যাতনে মাত্রা ছিল অনেক বেশী। কমিউনিষ্ট পেলেই বেশী অত্যাচার শুরু করে দিত। সত্যেন সেনকেও কারা প্রশাসন নানা অত্যাচার ও নির্যাতন করে। যার ফলে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা ও চোখের পীড়া দেখা দেয়।
কারাবাসে অবস্থানকালে সত্যেন সেন মার্কসবাদী-লেনিনবাদী রাজনৈতিক মতাদর্শ ও দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হন। এ মতাদর্শ ও দর্শনকে জীবনাদর্শন হিসেবে গ্রহণ করে আজীবন শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। । দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে ১৯৫৩ সালে মুক্তি পেয়ে নিজ গ্রাম সোনারাংয়ে ফিরে আসেন। ওই সময় নানা প্রতিকূল পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে তাদের পরিবারের সবাই নিরাপত্তার কারণে কলকাতায় পাড়ি জমান। তিনি এ সময় যুক্ত হন কৃষক আন্দোলনের সাথে।
১৯৭১ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেন। তবে তিনি প্রত্যক্ষভাবে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়াও তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এক পর্যায়ে তাঁর চোখের পীড়া আরো গুরুতর রূপ নেয়। তিনি প্রায় অন্ধ হতে চলেন। এ সময় কমিউনিষ্ট পার্টি তাঁকে চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য মস্কো পাঠায়। এখানে অবস্থানকালে তিনি বিভিন্ন দেশের বিপ্লবীদের পরিচিত হন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। তাঁরাও স্ব-স্ব দেশে গিয়ে বাংলাদেশের প্রতি সহনাভূতি জানান। মস্কো হাসপাতালে অবস্থানকালে তিনি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সংবাদ পান। সেখানকার বাঙালিদের মুক্তির উল্লাস প্রত্যক্ষ করেন। তিনি নিজেও অশ্রুসিক্ত নয়নে ওই আনন্দ উপভোগ করেন।
মুক্ত, স্বাধীন স্বপ্নের স্বদেশ, বাংলাদেশে ফিরে আসেন ১৯৭২ সালে। শুরু করেন উদীচী পুনর্গঠনের কাজ। সাহিত্য চর্চাও অব্যহত রাখেন। কিন্তু ১৯৭৩ সালে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ফলে আবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। চিকিৎসার জন্য চলে যান ভারতে। আশ্রয় নেন শান্তি নিকেতনের মেজদিদি প্রতিভা সেনের কাছে। সাহিত্য চর্চা ও অসুস্থতার মাঝে চলে যায় ৮টি বছর। শান্তি নিকেতনের গুরুপল্লীতে ১৯৮১ সালে ৫ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এই কিংবদন্তি বিপ্লবী ৭৩ বছর জীবনের ২৪ বছর কাটিয়েছেন কারাগারে, আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে ৪ বছর আর ২৩ বছরে রচনা করে গেছেন উপন্যাস, গল্প, ইতিহাস, বিজ্ঞান, মানবসভ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে তার গ্রন্থ সংখ্যা ৪০টির উপরে।
গান মাধ্যমে মানুষকে জাগরিত করা সহজ। এই উপলব্দি নিয়ে গণমানুষের জন্য মানুষের জীবন বাস্তবতার গান রচনা করেছেন। তাঁর গানের মূল বিষয়বস্তু হলো অধিকার আদায়ের সংগ্রাম, শোষণমুক্তির জন্য আন্দোলন ও সাম্য-সুন্দর মানুষের পৃথিবী নির্মাণ। গান রচনার মাধ্যমেই মূলত তাঁর লেখালেখি জগতে আশা। পাশাপাশি গানের সুর করা ও গান শেখানোর কাজও তিনি করেছেন। শ্রমিকদের নিয়ে তিনি তাঁদের নিয়ে গান এবং পালা রচনা করতেন। গানের দল গঠন করে শ্রমিকদের এ কবিগান তিনি রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ পরিবেশন করতেন। তার লেখা ১১টি গানের মধ্যে ‘চাষি দে তোর লাল সেলাম/তোর লাল নিশানারে’ গানটি তখন চাষিদের জাতীয় সংগীত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ১৯৫৬ সালে বিক্রমপুরের ষোলঘরে কৃষক সমিতির সম্মেলনে প্রথম তারই নেতৃত্বে গানটি গাওয়া হয়। এছাড়া সত্যেন সেন গানের মাধ্যমে বরিশালে মনোরমা বসু মাসিমার ‘মাতৃমন্দিরের’ জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন।
সত্যেন সেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক ছিলেন। জীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের বাঁকে তিনি কোথাও আপোষ করেননি। যারা করেছে, তাঁদেরকে তিনি ঘৃণা করতেন। তিনি মূলত কোনো লেখাই লেখার জন্য লিখতেন না। তিনি লিখতে মানূষের অধিকারের কথাগুলো। প্রথমে দৈনিক ‘মিল্লাত’ পরবর্তী সময়ে দৈনিক ‘সংবাদ’র মাধ্যমে সত্যেন সেন সাংবাদিকতা করেছেন।
বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেনের হাতে গড়া গণসাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী। জন্মলগ্ন থেকে উদীচী অধিকার, স্বাধীনতা ও সাম্যের সমাজ নির্মাণের সংগ্রাম করে আসছে। উদীচী ’৬৮, ’৬৯, ’৭০, ’৭১, সালে বাঙালির সার্বিক মুক্তির চেতনাকে ধারণ করে গড়ে তোলে সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। এ সংগ্রাম গ্রাম-বাংলার পথে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। র সময় উদীচীর কর্মীরা প্রত্যক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। তারা ন্যাপ-কমিউনিষ্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর সাথে ছিল। এই গেরিলা বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে পালন করে ঐতিহাসিক ভূমিকা।
সাহিত্যকর্ম
উপন্যাস ভোরের বিহঙ্গী (১৯৫৯), রুদ্ধদ্বার মুক্ত প্রাণ (১৯৬৩), অভিশপ্ত নগরী (১৯৬৯), পাপের সন্তান (১৯৬৯), সেয়ান (১৯৬৯), পদচিহ্ন (১৯৬৯), পরুষমেধ (১৯৬৯), আলবেরুনী (১৯৭০), সাত নম্বর ওয়ার্ড (১৯৭০), বিদ্রোহী কৈর্বত (১৯৭০), কুমারজীব (১৯৭০), অপারেজয় (১৯৭০), মা (১৯৭০), উত্তরণ (১৯৭০), একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে (১৯৭১) ইত্যাদি। এছাড়া ইতিহাস আশ্রিত ও অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে -গ্রামবাংলার পথে পথে (১৯৬৬), আমাদের পৃথিবী (১৯৬৮), মসলার যুদ্ধ (১৯৬৯), এটোমের কথা (১৯৭০), অভিযাত্রী (১৯৭০), মানবসভ্যতার উষালগ্ন (১৯৭১), মনোরমা মাসিমা (১৯৭১), প্রতিরোধ সংগ্রামে বাংলাদেশ (১৯৭১), বিপ্লবী রহমান মাষ্টার (১৯৭৩), সীমান্ত সূর্য আবদুল গাফফার (১৯৭২), জীববিজ্ঞানের নানা কথা (১৯৭৭) ইত্যাদি। ছোটদের জন্যও গল্প লিখে গেছেন তার মধ্যে -পাতাবাহার (১৯৬৮) অন্যতম।
পুরস্কার
১৯৬৯ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৮৬ সালে সাহিত্য মরণোত্তর একুশে পদক পান।
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×