১.
যুদ্ধ জয়ের মন্ত্র
কয়লাতে যদি না গলতো সোনা
আমার মায়ের নোলক হতোনা।
কঠিন উত্তাপে যদি না গলতো লোহা
সু-প্রাচির অট্টালিকা হতো না।
অতিত যদি নাইবা হতো
আধুনিকতার ছোঁয়া পেতাম না।
সোনার জন্য কয়লা যেমন
জ্ঞানের জন্য সাধনা তেমন।
লোহার জন্য কঠিন উত্তাপ
জয়ের জন্য অপর শ্রম।
অতিতের জীর্ণতার জন্য
ছিকল ছেড়ার সাহস হলো।
যুদ্ধ করার এই মন্ত্র
আমি প্রকৃতির কাছে শিখেছি।
আজ আমি জয় করতে জানি
তাইতো আমি বিশ্বকে চিনেছি।
২.
নতুন পথের স্বপ্ন
যাব আমি অনেক দূরে
ঐ লাল নীল আলোর পথে
প্রজাপতির ডানায় ভেসে।
জাগবো আমি কুড়ি হয়ে
ডাকবে আলো সকাল সাজে
সুভাস দেব সবার মাঝে।
লুকোচুড়ি খেলে কোকিল যে,
দোল খেলানো বসন্তেরই সাথে
পরবো আমি খোপার তারে।
পলাশ-গাঁদার সমারোহে
ডাকছে আমায় আলো হাতে
একটা মালার বাঁধনেতে।
দেখবো না আর পিছন ফিরে
কষ্ট আর গ্লানিকে মুছে ফেলে
জাগবো আমি ফাগুন হয়ে।
৩.
পথের শিশু
পথের শিশু
একটা শিশু পথের মাঝে
দাড়িয়ে থাকে একা
কেউ করেনা খোঁজ যে তার
কেউ বোঝেনা ব্যাথা।
এই শিশুটির পেথই জন্ম
পেথই হলো বড়।
জানেইনা যে অদৃষ্টে কি
দুঃখ আছে আরও !
মা বলে,ডাকেনি যে
ফোটেনি প্রথম কথা,
সেই শিশুটি না পেয়ে মাকে
পায় যে মনে ব্যাথা।
মায়ের আদর বঞ্চিত এই
হতভাগ্য ছেলেটি,
বাবার স্নেহ ভালোবাসাও
ভাগ্যে কখনও মেলেনি।
পথের মাঝে সেই ছেলেটি
দাড়িয়ে থেকে একা,
প্রশ্ন করেও নিরুত্তর সে
কেন এ বেঁচে থাকা?