somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহান ২৮ শে অক্টোবর, খালি মাঠে একলাই সালাম দেই আর বার বার ফিরা আহনের তজবী গুনি!

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল নাকি ধুন্ধুমার ইঙ্গমার মার্কা ঘটনা ঘইটা গেছে, ম্যাসেন্জ্ঞারের অফলাইন ম্যাসেজ দেইখা মনে হইলো, এ আর নতুন আরকি!

আসলে আমাগো দেশে অনেক কিছুই নতুন না!

যেমন ধরেন গোলাম আজম নামের কোনো মানুষ পাইলে সেই মানুষ নিজেরে বেইজ্জতীর হাত থিকা রক্ষা করনের লিগা নিজেই গা ঢাকা দেয়। কোনো এক সময় এফিডেভিটও করায়। হয়তো এই কারনেই কুনো জামাতের নেতার ছাওয়াল পালের নামও গো.আজম বা নিজামী হয় নাই...আরবী তো মানুষ কত নামই রাখে, এমনকি খালেদা হাসিনার নাম রাখা নিয়াও পেপারে সংবাদ ছাপানো হয়!

আমাগো দেশে আরো একখান জিনিস নতুন না, যদি শুনে কোনো মাইয়ার বাপ বা পাত্র নিজে জামাত করে তাইলে জামাতী ভাবধারার বাইরে কেউ বিয়া দেবার চায় না। এই দুঃখ নোয়াখাইল্লা অথবা সামুতে দেয়া লুল পোস্টধারীরও অতো আফসোস থাকে না। যারা মূলত জামাত করে না, তারা দেখা যায় ঐ জামাত শিবিরের নেতা ফেতাগো লগে আত্মীয়তা করতে গলা শুকায়!

দেশে আরো অনেক কিছুই নতুন না, যেমন কোনো হুজুর বা খেজুর অকাম করলে বা উল্টা পাল্ট কাম করলে "শালা রাজাকার" বলে গালি দেয়াটাও ব হুত পুরানা রেওয়াজ। এই রেওয়াজ অনেকটা সেই রকম রেওয়াজ ধরেন পাগলা কুত্তা দেখলা গলির পুলাপান লাঠি দিয়া তাড়ায় অথবা বড় সড় সাপ দেখলে পিটাইয়া মারে। তবে এইখানে বিশিস্ট পশুবাদী মানবতাবাদী সুশীল নামের কিছু গোষ্ঠী বাইর হইছে যারা রাস্তাঘাটে ক্যাটওয়াক করে বলে "যুদ্ধাপরাধীর ফাসি চাই!"

আমার এক বন্ধু ওগো নাম দিছে "হিজড়া রাজাকাড়!"

যাই হোউক দেশ স্বাধীন, বুলগ স্বাধীন (?), অন্য কেউ নিজের মুখ দিয়া বাইর করলে আমি কিছুই কইবার পারি না!

এখন আমি আসল কথায় আসি, মানুষ শিবির করে কেন, এইটা নিয়া প্রশ্ন সবার মনেই মাঝে মাঝে উকিঝুকি মারে! আমি তাগো উল্টা কই, মানুষ বাদ দেন, শুনলে ম্যাচুরিটি লাগে, তার চেয়ে বরং এইটা বলেন পুচকা পুলাপান শিবির করে কেন?

বাংলাদেশ দেশ ছুটো, কিন্তু বিশাল তার জনপদ। এই বিশাল জনপদে অনেক নীত ভাবধারা লোক বাস করে। আমরা সেমি জামাতের শাসনামল দেখছি, আমরা এইটা দেখছি সৎ লোকের শাসনে কেমনে ব হদ্দার হাট টার্মিনালে ব্রাশ ফায়ার কইরা এক মাইক্রোতে থাকা ১২ লোক ঝাঝড়া হয়, আমরা দেখছি কেমনে গোপাল কৃষ্ঞ মুহুড়ী নামের এক শিক্ষক মাথায় গুলি খাইয়া মরে, আমরা এটাও দেখছি নাসির অথবা মুজাহিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা হাতে থাকা সত্বেও পুলিশ তাদের বাড়ি যাইয়া গুপনে চা পানি খাইয়া আসে বলে, তাগো খুইজা পাই নাই!

এদিকে তারেক ভাই আমার ভুল কইরা আমার এ্যাকাউন্টে টাকা না রাইখা নিজের এ্যাকাউন্টে টাকা রাইখা দৌড়ের উপর। যাই হোউক, কথা এইটা না, কারন এই সরকার দুর্নীতির নতুন মাইল ফলক স্হাপন করবে।

সারাংশতে আসি: এই সরকার দুর্নীতি করে জানা কথা। কারন তাগো ইসলামীক সেন্সে কোনো নীতি নাই। এই লীগ সবাই করবার পারে খালি মুজিব কোট গায়ে দিয়া, কিছু লোক বাদে যাগো আবার ঘাদানিকে নাম আছে তবে শেখ হাসিনার বেয়াই হইলে অন্য কথা! বিএনপির জন্যও এরকম কথা কিছুমিছু চলে। কিন্তু জামাত-শিবিরের কথা ধরেন, এরা মুখে ইসলামের কথা বলে, ৫ ওয়াক্ত, রোজা জাকাত সবার কথাই বলে।ইসলামী আইনের কথা, সৎ লোকের শাসনের কথাও বলে। আবার ৫ বছরের শাসনামলে শিল্প মন্ত্রনালয়ের অধীনে থাকা বিএসটিআই আর শিল্প মন্ত্রনালয়ের অনুমদনে বাজারে বীয়ার আসে ক্রাউন বাকলার! ফু ওয়াং এর মতো কিছু রেস্টোরা নাইট ক্লাব চালানোর মতো অর্ডার পায়, তার কিছু দিন আগে সাঈদী সাহেবের পোলা চাচীর সাথে পরকিয়া কইরা পল্টি নেয়, শিল্প এবং কৃষি মন্রনালয়ে যথেচ্ছাচারী স্বজন প্রিয়তার মাধ্যমে নির্দিস্ট দলের লোক ঢুকানোতে খোদ বিএনপির লগেই কাইজ্জা লাগে! আর ভার্সিটি গুলাতে ছাত্রদল আর শিবিরের স হাবস্হান মানে দুই সতীনের এক ঘরে থাকা। আর সৎ লোকের শাসন বলতে গেলে ৭১ সালে তাদের পল্টি দেয়া নীতি আর আকাম কুকামের কাহিনী আমার বাপ দাদা চাচা এখনও বলে!

আসলে এতো কিছু পরনের পরও যদি আপনি কন পুরান কথা, তাইলে কমু এই পোস্ট আপনের লিগা না, এই পোস্ট তাগো লিগাই যারা এই পোস্টে মাইনাস দিতে চায়। কারন তারা এরকম পোস্ট যতো পড়বে তত জ্বলবে!

কেউ একবার অনেক আগে জিগাইছিলো যদি আমার বাপ বা ভাই বা নিকট আত্নীয় রাজাকার বা জামাত করতো তাইলে কি করতাম?

আমি আমার সেই বাপরে অস্বীকার করতাম।
আমি আমার সেই ভাইরে নিজের ভাই বইলা পরিচয় দিতাম না।

আমার সেই আত্নীয়কে নিজের আত্নীয় বইলা স্বীকার করতাম না।

আর যদি এরকম ২৮ শে অক্টোবরে এরকম কারো লাশ দেখতাম তখন আমার কি রকম লাগতো?

যেহেতু আমার বাবা বা ভাই (যদিও স্বীকার যাবো না), তবুও জানাযায় শরীক হয়ে বলবো," আল্লাহ এদের বিচার করুন, কারন উনি ন্যায় বিচারক!"

আত্মীয় স্বজন হইলে জাস্ট ইগনোর!

যদি আপনার কাছে মনে হয় আমি খুব স হজেই বলছি কিন্তু বাস্তবে আমি তা করতে পারবো কি না, তাহলে আমি বলবো আপনি মানুষ চেনেনি!

২৮ শে অক্টোবর ফিরে আসুক প্রতিবার!
১২টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×