অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল জিম্বাবুয়ে দলের কাছে বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচে যেভাবে নাস্তানাবুদ হল, এতে হোয়াইট ওয়াশ তো দূরের কথা সিরিজ জয় নিয়েই এখন সংশয় রয়েছে বাংলাদেশের। ১৯.১ ওভারে দলের শীর্ষ ৫ ব্যাট্সম্যান ( তামিম, জোনায়েদ, আশরাফুল, রাকিবুল ও সাকিব) আত্নাহুতি দিয়ে করলেন ৫৯। এ রকম ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে কেন কানাডা, আয়ারল্যান্ডের মত নিম্ন সারির দলের সাথেও জেতা সম্ভব নয়। টপ অর্ডারে ব্যাটিং দুর্বলতা বাংলাদেশের নতুন নয়। তারপরেও শুধু দাম্ভিকতাকে লালন করে রাখার জন্যই নির্বাচকরা আইসিএল ফেরত ক্রিকেটারদের দলে নেননি। অথচ আইসিএল ফেরত নাজিমুদ্দিন, শাহরিয়ার নাফিজ, আফতাব, অলক কাপালি রয়েছেন দারুণ ফর্মে। ক'দিন আগে প্রিমিয়ার টি-২০ ক্রিকেটে এরা যে পারমরম্যান্স দেখিয়েছেন তা বর্তমান জাতীয় দলের যেকোন ক্রিকেটারের চেয়েও অনেক ভাল। এরা জাতীয় দলে থাকলে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার নিঃসন্দেহে বেশ শক্তিশালী হত। ইতোমধ্যে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড আইসিএলের খেলোয়াড়দের দলে ফিরিয়ে শক্তিশালী টিমে পরিণত হয়েছে। যার দরুণ তারা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছে। তাই নির্বাচকদের বলছি, দাম্ভিকতা পরিহার করে দেশের ক্রিকেটের সার্থে আইসিএল ফেরত ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বিবেচনা করে তাদেরকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে নিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২০