চরম অনীহা। কিংবা অনিচ্ছা। তবু সে যায়। তাকে যেতে হয়। যেতেই হয়। সে বাধ্য হয়। বেলুনে ভরা বাতাসের মতো। গ্লাসে ভরা পানির মতো। নড়াচড়া নেই। সাড়া-শব্দ নেই। নেই নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছার মালিকানাটুকু। সে পরিস্থিতির শিকার। কিংবা শিকার কিছু হঠকারী সিদ্ধান্তের। সে সব মেনে নেয়। জীবন দর্শন তার পরিবর্তন হয়- মেনে নেয়ার মাঝেই সুখ-শান্তি-মুক্তি।
বিকেলের নরম রোদ। সন্ধ্যার আলো-আধারীর খেলা। গভীর রাতের গাঢ় অন্ধকার অথবা পূর্ণিমার জোসনার ঢেউ। এসবই তাকে কাছে টানে। তীব্র আকর্ষণে মাতাল করে তুলে। আগে এমন ছিলোনা। কেমন ছিলো? অন্য রকম। অন্য রকম- কেমন? সম্পূর্ন বিপরীত? হবে হয়তো...
অভিধানে জীবনের প্রতিশব্দের তালিকায় কি 'অভিনয়' শব্দটা আছে! সে জানে- নেই। তবু আমাকে সেদিন জিজ্ঞেস করলো। আমি অবাক হলাম। অনেক বেশি অবাক হলাম। বললাম- মানে কী? সে বললো। অনেক কিছুই বললো...
দোস্ত, জীবনের প্রতিশব্দ হিসেবে 'অভিনয়'টা থাকা উচিৎ। দেখ- আমরা যা কিছু করি, সব অভিনয়। নিজের স্বাধীনতা, এ জীবনে নেই। নেই একান্ত নিজের ব্যক্তিগত কোন কিছু। সব কাজেই, সব কিছুতেই কারো না কারো ভাগ থাকে। অংশিদারিত্ব থাকে। মন তা মানেনা। মানতে চায়না। তবু মানতে হয়। করতে হয় অভিনয়। এ রকম কয়েক টুকরো অভিনয় মিলেই একটা জীবন হয়ে যায়।
ও বলে। আমি শুনি। ও বলে। আমি হাসি। কিন্তু আমার মতো ও হাসেনা। ও বলেই যায়। এক সময় আমি খেয়াল করি- ওর চোখের কোণে জলর ভীড়। ওকে কিছু বলে সান্ত্বনা দিতে মন চায়। কিন্তু আমার বলার মতো কিছু থাকেনা। আমি চুপ করে থাকি। ভাবনারা আমাকে খাবলে খায়...
মানুষের জীবন আসলে কী!?
ভাবনারা আমাকে জড়িয়ে থাকে। আমি ভাবতে চাই সাতপাঁচ। কিন্তু পারিনা। আমি ভাবতে পারিনা... ভাঙ্গা মনে ভেজা চোখের ওকে আমি দেখি। চুপ করে থেকে ওকে শুধু দেখেই যাই...
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২৬