উপকথা। ভয়ঙ্কর। মাঝে মাঝে রোমাঞ্চকর। দু:সাহসী ঘটনার শিহরিত গল্প। মেডুসা, শার্সি, জলপরী, এমাজনীয় মেয়ে এমনসব উপকথার চরিত্র। গ্রীক উপকথার ভয়ঙ্কর নারী মূর্তি। শুনলে শঙ্কিত আত্মা আরও আতঙ্কিত হয়।
মেডুসা। তিন বোন তারা। তাদের চোখের দিকে যদি কোন পুরুষ তাকায় তবে সঙ্গে সঙ্গে সেই মানুষটি পরিণত হবে পাথরের স্তুপে। শুধু মেডুসাদের ইচ্ছা করা অপেক্ষা।
শার্সি। স্বামীঘাতকিনী। রাজত্ব করত এক দ্বীপে। মায়াবিনী এই নারী জাদু জানে। পুরুষকে কাছে পেলে তাদেরকে কাবু করে ফেলে। পরিণত করে হীন পশুতে।
জলপরী। হ্যাঁ, পরীই বটে। অর্ধেক মানব অর্ধেক মানবী। গান গায় মায়াবী সুরে ও স্বরে। নাবিকদের পথ ভূলিয়ে নিয়ে আসে পাহাড়ের কাছে, যাতে জাহাজসহ তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যায়।
এমাজনীয় মেয়ে। এরা মায়াবিনী নয়। দুর্ধুর্ষ যোদ্ধা এবং ভয়ঙ্কর পুরুষ বিদ্বেসী। তাদের জীবনে সন্তান প্রজনন ও যুদ্ধে প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা ভিন্ন অন্যকোনো ব্যাপারে পুরুষের প্রয়োজন নেই। বক্ষের ডান স্তন কেটে এরা সমান করে নিয়েছে, যাতে ধনুক ধরতে সুবিধা হয়। কি দুর্ধুর্ষ!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৫