somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগার গোয়েবলস নাকি গোয়েবেলস: ইয়ো ইয়ো জেনারেশনের মধ্যে কনফিউজড একজন!

২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হুমমম....ব্লগারগো নিয়া স্মৃতিচারন করতে বইছি, তাই আগেই একটা খালি জায়গার অর্ডার দিয়া আসছি, কারন যতগুলান মাইনাস, জুতা, পচা টমেটো, ডিম পামু সেগুলা নিয়া গোডাউনে ভইরা রাখলে ভবিষ্যতে ব্যাপক ফায়দা হইবো আশা করি!

যাই হোউক, বুলগে নানা নিক দেখি, কেউ স্বনামে কেউ বেনামে, আমি নিজেও বেনামে। তবে এইখানে একখান কথা: আমি নিজের ফটুক আর নাম দিয়া এতো পোস্ট লিখছি যে আমার মামতো গুলাই কয়,"ভাইজান আমাগো বিয়ার লিগা কতকিছুই করলো, মাগার আফসোস এক ক্যান বীয়ারও খাইলো না!"

তবুও বোলগাই, মনে গান গাই, আর কমেন্ট কইরা ক্যাচাই। সেরকম ঘুরত ঘুরতে এক ব্লগে ঢুইকা দেখি ডিম সর্বস্ব নিক নাকি গোয়েবলস । লেখছে তালপট্টি নিয়া লং ল্যাট উল্লেখ কইরা। পোস্টটা পইড়াই অফিসের শাহাদৎ ভাইরে ফুন
: ভাইজান, নাক চুলকান নাকি?
: ঐ মিয়া অফিস টাইমে ফুন দিছেন কেন? জরুরী থাকলে দরকারী বলেন।
: মিয়া ভাব রাখেন, আমার একখান ইনফো দরকার, আপনের শ্বশুড় বাড়ির লং ল্যাট ঢাকায় বইসা কেমনে মাপুম?
: কেন আমার শ্বশুড় বাড়ি কি জন্য? আমার শালির তো গত মাসে বিয়া হইয়া গেলো, আপনেরে কইলাম আপনি কথা কানে লইলেন না। যাই হোউক, সিটিসিরে ফুন দেন আর নাইলে গুগল আর্থ দেখেন!

থ্যান্কু না লইয়াই ফুন রাইখা দিলো। যাই হোউক কস্ট কইরা না গুগলাইয়া মনে হইলো জ্ঞান বস্তুটি আমার জন্য না কারন অজ্ঞান হবার কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখি না।

ভুলেও এই ব্লগে আসুম না বইলা মনে মনে কীড়া কাটিয়া সপ্তাহ খানেক পর আবারও নাযিল হইলাম নিজেরে কেমনে চিনন যায় সেইটা নিয়া পোস্টে!

এইটা নিয়া আমার স্কুলের এক কাহিনী মনে পইড়া যায়, একবার স্যার মনে হয় ক্লাস সিক্সে পড়াইতেছিলো সক্রেটিসের মহান ডায়লগ,"নিজেরে জানো!" কথাটা সবাইরে এমুন ভাবে বুঝাইলো যে বান্দর পুলাপান গ্রুপ বাইন্ধা টিফিনের সময় পিচকি ভূদাই পুলাপান গো ডাইক্কা আইনা প্যান্ট খুইলা কইছে," আগে নিজেরে জানবি, তারপর স্কুলে আবি!"

কি খেল জামানার!

তার পর আরকি, পুরান দিনের কথা মনে করতে আইসা দেখি পোলা মাইয়াগো বিভেদ নিয়া মহাচিন্তার কথন, একসময় জানবার পারলাম এই নিক লিখনে ওয়ালা নাকি হিটলারের প্রেমে পাগল। তখন আমি ধইরাই নিছিলাম ঐ নিপুংসক হিটলাররে প্রেম করে যেহেতু সে পোলা না হইয়া যাইবোই না। একদিন কেমনে জানি আমার ওয়ার্লড ফ্যামাস ইন ইয়াহু আইডি জুনিচিরো কামাগুচিতে এই ইতালীর সাবেক ডিক্টেটর এ্যাডাইলো। আমি তাজ্জুব বইনা সুরা নাস পড়লাম তিনবার। কারন আমি রাইতের বেলা খানিক ভূতের ভয় পাই!

এরপর আর কি; কথা চললো কথার মতো, সে বলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর কথা, আমি বলি সেই সময় সেমি কন্ডাক্টর ফিজিক্স আর বিজ্ঞানীদের কথা, সে বলে ছোটবেলার কথা আমি বলি টাইম মেশিনের কথা, সে বলে তার কিছুই ভালো লাগে না আমি বলি টেস্টি লবন ছাড়া কাজ হবে না। আমার বদ অভ্যাসের কারনে নিজের অজান্তেই দিয়া দিলাম ফুন নম্বর, সেইখানেও দুই দুইজন দুই মেরুর কথা কইতে কইতে হঠাৎ জিগাইলাম," তুমার পোলা মাইয়া কয়টা?"
: মানে? আমার তো এখনও বিয়াই হয় নাই!
: (শুইনা এমুন ডিগবাজী দিলাম যে ভুলে খাটের বাইরে পইড়া গেলাম) বাহ বাহ কি চমৎকার। তা আজকা বিকালে কি করলা?
: বাইরে থেকে ফোন আসছিলো। ওর সাথে অনেক কথা হইলো!
: এই "ও" আবার এ্যাটোমিক যুগে কই থিকা নাযিল হইলো?
: আমি এ্যাঙ্গেজড!

শুইনা আমি পানির বোতল খুজতে ফ্রিজে গেলাম, বোতল না পাইয়া মাথায় বরফ দিলাম। ভদ্রভাবে কথা কইয়া ফোন রাইখা উদাস হইয়া আসমানে চাইয়া রইলাম!

যাই হোউক, এক শুক্রবার কুনো কাম আছিলো না দেইখা বোইনরে কইলাম অর বান্ধবী লগে ঘুরতে গেলে আমারে জানি নিয়া যায়!
উত্তরে যা কইলো তা যদি সেন্সরও করি তাইলেও বুঝন যায় মাইয়ারা এখন মেলা আগাইয়া,"তুমার মতো ক্ষেত পুলাপান যার শরীর দিয়া গুবরের গন্ধ ছুটে তার সাথে আমরা চলি না!"

মেজাজ খান বিলা কইরা চইলা গেলাম টিএসসি। পার্কে বইসা ৭ নম্বর মশা মারনের সময় খেয়াল হইলো গুবলীর ফুন দেই। উল্লেখ্য এই "গুবলী" নাম খান দেওনের পর মেলা গাইল আর গুতা খাইতে হইছে! যাই হোউক কলাভবনের সামনে আইসা ইগলু আইসক্রিমের ভ্যাননওয়ালারে খাড়া করাইয়া ওর কাছ থিকা আয়না নিয়া মাথার চুল ঠিককইরা কইলাম," মামা, দেখেন তো কেমুন লাগতাছে?"
: পুরা কুদ্দুস বয়াতী, অখন আইসক্রিমের দাম দেন!

মন চাইল গালে একটা চড়াই, মাগার মুড নস্ট করার টাইম নাই, দাম দিয়া বিদায় কইরা দিলাম গুবলীরে ফুন। কিছুক্ষন পর ক্যাম্পাসের সকল মাইয়ারে চিনাইয়া আইলো সে। আমার তখন মাইয়া দেখতে দেখতে মাথা খারাপ অবস্হা!

যাই হোউক, ওর বান্ধবী পূরবীর কাহিনী তো সবারই জানা! আমি তো তখন পূরবীর লগে দেখা করনের লিগা চুলে স্পাইক কাট দিলাম ৩ মাস পর। গিয়া দেখি সে হিন্দু, আর ওর ভায়ের বিয়ার পর মনে হয় ওরটাও বাজবো। মনের দুঃখে মন চাইলো শাহবাগের চটপটির কড়াইতে জাম্প মাইরা সুইসাইড খাই!

তবে যতদূর মনে পড়ে গুবলীর লেখা পইড়া ইদানিং সে খুব বেশী টেনস...বাংলাদেশে আসলে অনেক সুখ তাই টেন্স থাকাটাও আমার কাছে খুব অস্বাভাবিক মনে হয়। তবে গুবলী যেহেতু মেটাল পছন্দ করে সেহেতু যেকোনো টেন্স বিরক্তিতে কনভার্ট করন ব্যাপার না!

উপসংহার:

গুবলী আরও ভালো লেখুক, তার চেয়ে বড় কথা গুবলী নিজের লাইফটাকে সুন্দর কইরা গুছাক। আমার কেনো জানি মনে হয় ২-৩ বছরের মধ্যে গুবলীকে এমন কেউ বেছে নেবে যে গুবলীর জন্য খুবই পারফেক্ট। তবে গুবলীর একটা সমস্যা সে নিজে কখনো কাউকে বেছে নিতে পারবে না, কারন সে মানুষ চিন্তে ভুল করে!

যাই হোক, ভালো থাকো গুবলী!

বি:দ্র: যদি ব্লগার মনে করেন এই পোস্ট টা মুছে ফেলা উচিত, তাহলে কমেন্টে জানালেই হবে! আমি কালকে মুছে ফেলবো বা যখনই দেখবো মুছে ফেলবো!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:১৩
৩২টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×